সাওম পালন ও যাকাত আদায়ের শিক্ষা নিয়ে নাটিকা উপস্থাপন - ৭ম শ্রেণি ইসলাম শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান - Class 7 Islamic Studies 1st Assessment Solution
কাজ-১: মহান আল্লাহর পরিচয় ও প্রশংসামূলক (বিশেষত তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত সংশ্লিষ্ট) বিভিন্ন ইসলামি সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে ইসলামি আকিদাহ গঠন। (একক কাজ)
নমুনা উত্তর-১: হে খোদা দয়াময় রহমান রহিম
হে খোদা দয়াময় রহমান রহিম
হে খোদা দয়াময় রহমান রহিম
নিখিল ধরণীর তুমি অধিপতি
হে বিরাট, হে মহান, হে অনন্ত অসীম।
তুমি নিত্য ও সত্য পবিত্র অতি
চির অন্ধকারের তুমি ধ্রুব-জ্যোতি
তুমি সুন্দর মঙ্গল মহামহিম।
তুমি মুক্ত স্বাধীন বাধা-বন্ধনহীন
তুমি এক তুমি অদ্বিতীয় চিরদিন
তুমি সৃজন- পালন- ধ্বংসকারী
তুমি অব্যয় অক্ষয় অন্ত- আদিম।
আমি গুনাহগার পথ অন্ধকার
জ্বালো নুরের আলো নয়নে আমার
আমি চাইনা বিচার হাশরের দিন
চাই করুনা তোমারি ওগো হাকিম।
নমুন উত্তর-২: আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালুহু
আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালুহু
শেষ করা তো যায়না গেয়ে তোমার গুনগান
তুমি কাদের গফফার, তুমি জলিল জব্বার
অনন্ত অসীম তুমি রহিম রহমান।।
তুমি মাটির আদমকে প্রথম সৃষ্টি করিয়া
ঘোষনা করিয়া দিলে শ্রেষ্ঠ বলিয়া
তাই নুরের ফেরেশ্তা করে আদমকে সেজদা
সবার চেয়ে দিলে মাটির মানুষকে সন্মান।।
যখন ইউনুছ নবীরে খাইল মাছেতে গিলিয়া
ফেরেশতা পাঠাইলে তুমি এছমে আজম দিয়া
দমে দমেতে হরদম সে যে পেল পরিত্রান।।
শিশু মুছা নবীকে যখন দুশমনেরই ডরে
সিন্ধুকে ভরিয়া দিলে ভাসায়ে সাগরে
প্রানে ছিল যাহার ভয়, সেথায় পেল সে আশ্রয়
সেই দুশমনেরই হাতে তাঁহার বাঁচাইলে প্রান।।
নমুনা উত্তর-৩: রসূল নামে কে এলো মদিনায়!
রসূল নামে কে এলো মদিনায়!
রাসুল নামে।
ওরে আকাশের চন্দ্র কেড়ে
ও কে আনল দুনিয়ায়।
গলেতে তসবীর মালা
কে চলে ওই কমলিওয়ালা রে
-ওরে আমার বুকের দরজা খোলা
তাঁরে ডেকে নিয়ে আয়।।
দেখি নাই শুনি নাই কথা
মাইনষে নাশে মাইনষের ব্যথা রে
-ওরে এমনও দরদীর কথা
শুনলে পরাণও জুড়ায়।
নমুনা উত্তর-৪: ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়।
ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ
এলো রে দুনিয়ায়।
আয় রে সাগর আকাশ বাতাস, দেখবি যদি আয়।
ধূলির ধরা বেহেশ্তে আজ,
জয় করিল দিলরে লাজ;
আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়।।
দেখ আমিনা মায়ের কোলে
দোলে শিশু ইসলাম দোলে,
কচি মুখে শাহাদাতের বাণী সে শোনায়।
আজকে যত পাপী ও তাপী
সব গুনাহের পেল মাফী,
দুনিয়া হতে বে-ইনসাফী জুলুম নিল বিদায়।।
নিখিল দরুদ পড়ে লয়ে ও-নাম-
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ও-সাল্লাম;
জীন পরী ফেরেশ্তা সালাম
জানায় নবীর পায়৷৷
কাজ-২: সঠিকভাবে সাওম পালন ও যাকাত আদায়ের শিক্ষা কিভাবে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ দূর করতে পারে তার উপর নাটিকা প্রস্তুত ও উপস্থাপন (দলগত কাজ)
নাটিকায় অংশগ্রহণকারী সদস্যদের নাম: আবির, নাহিদ, রাকিব, ইমাম সাহেব।
নাটিকার প্রসঙ্গ: রাকিব ঠিকমত যাকাত আদায় করে না। এমনকি পবিত্র রমজান মাস আসলে সে নিয়মিত সাওমও পালন করে না। এবিষয়টি তার বন্ধু আবির ও নাহিদ জানতে পারে এবং রাকিবের কাছে যায়। এরপরের ঘটনা...
সাওম পালন ও যাকাত আদায়ের শিক্ষা নিয়ে দলগত অংশগ্রহণে একটি নাটিকা
দৃশ্য-১: রমজান মাস। দুপুর বেলা রাকিবকে একটি দোকানের মধ্যে খাবার খেতে দেখে তার বন্ধু আবির ও নাহিদ।
নাহিদঃ আরে রাকিব... তুমি এখানে? আর তুমি এটা কী করছ? তুমি কি জানো না, যে এটা পবিত্র রমজান মাস চলছে? এই মাসে দিনের বেলা সাওম পালন করা উচিৎ।
রাকিব: আসলে আমি না খেয়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারি না। তাই আমি রোজা রাখতে পারি না।
আবির: এটা তুমি একদম ঠিক বলছ না রাকিব। তুমি চাইলেই একটি একটি করে রোজা রাখার চেষ্টা করতে পারো।
নাহিদঃ হ্যাঁ, আবির ঠিকই বলেছে। দেখো, না খেয়ে থাকতে সবারই কষ্ট হয়। কিন্তু তুমি যদি চেষ্টা করো, তাহলে তুমি ধীরে ধীরে রোজা রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারো। রোজা রাখা প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ। অর্থাৎ এটি একটি বাধ্যতামূলক কাজ।
রাকিব: সত্যি কথা বলতে আমি ছোট বেলা থেকে রোজা রাখার অভ্যাস করিনি। তাই এখন আমার রোজা রাখতে কষ্ট হয়।
আবিরঃ হ্যাঁ, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু তুমি যদি মনে মনে সংকল্পবদ্ধ হও, তাহলে কোনো কষ্টই তোমাকে রোজা রাখা থেকে দূরে রাখতে মাকে রোজা পারবে না।
নাহিদ: আমি শুনেছি, তুমি নাকি যাকাত প্রদান করো না। এটি কি সত্যি?
রাকিব: হ্যাঁ, তুমি ঠিক শুনেছ। আসলে আমি যাকাত সম্পর্কে খুব ভালো জানি না।
আবির: শোনো, যাকাত হচ্ছে ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ। তাই এটি অবশ্যই পালনীয়
দৃশ্য-২: আবির, নাহিদ এবং রাকিবের মধ্যে কথা চলাকালীন সময়ে তারা দেখতে পেল স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেব মসজিদ থেকে বের হচ্ছেন। তখন তারা ইমাম সাহেবের কাছে গেল।
নাহিদঃ আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আপনি কেমন আছেন?
ইমাম সাহেব: ওয়ালাইকুম আসসলাম। আমি ভালো আছি, তোমরা ভালো তো?
আবির: হ্যাঁ হুজুর, আপনার দোয়ায় আমরা ভালো আছি। আমাদের কিছু বিষয় জানার জন্য আপনার কাছে এসেছি
ইমাম সাহেব: হ্যাঁ অবশ্যই। বলো, তোমরা কী জানতে চাও?
নাহিদঃ হুজুর, সাওম পালনের আবশ্যকতা কী? এটি আমাদের কী উপকার করে?
ইমাম সাহেব: খুবই সুন্দর প্রশ্ন করেছ। শোনো, সাওম পালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। সিয়াম সাধনার ফলে সমাজের লোকদের মাঝে পারস্পরিক সহানুভূতি ও সহমর্মিতা সৃষ্টি হয়। ধনীরা গরিবদের অনাহারে, অর্ধাহারে জীবনযাপনের কষ্ট অনুধাবন করতে পারে। ক্ষুধা ও পিপাসার যন্ত্রণা যে কীরূপ পীড়াদায়ক হতে পারে তা তারা উপলব্ধি করতে পারে। ফলে তাদের মাঝে অসহায় নিরন্ন মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতার ভাব জাগ্রত হয়। এ কারণে তারা দান-খয়রাতে উৎসাহিত হয়। তাই আমাদের সকলের উচিৎ নিয়মিত সাওম পালন করা।
আবিরঃ হুজুর, যাকাতও কি মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ দূর করতে কোনো ভূমিকা পালন করে?
ইমাম সাহেব: অবশ্যই। ইসলাম এমন একটি জীবন ব্যবস্থা, যেখানে মানুষে মানুষে সমতা বিধানের কথা বলা হয়েছে। যাকাত প্রদান করলে যাকাত প্রদানকারী ব্যক্তির মনে কৃপণতার যে কলুষতা রয়েছে তা দূরীভূত হয়ে মন পবিত্র হয়। তা ছাড়া বিত্তশালীদের সম্পদে দরিদ্রদের যে অধিকার রয়েছে যাকাত প্রদানের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা হয়। ফলে এর মাধ্যমে তার সম্পদও পবিত্র হয়। এছাড়া যাকাত দরিদ্রদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। যাকাত প্রদানের ফলে দরিদ্রদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সমাজের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়, তাই যাকাত প্রদানের মাধ্যম সম্পদও বৃদ্ধি পায়। এজন্য যাকাতের অন্য অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া।
নাহিদঃ দেখলে তো রাকিব, ইসলামে সাওম ও যাকাত কতটা গুরুত্বপূর্ণ? তোমার অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিৎ।
Tag: সাওম ও যাকাত নিয়ে নাটিকা তৈরি, সাওম পালন ও যাকাত আদায়ের শিক্ষা নিয়ে নাটিকা উপস্থাপন, ইসলাম শিক্ষা নাটিকা, সাওম পালন ও যাকাত আদায়ের শিক্ষা নিয়ে নাটিকা উপস্থাপন - ৭ম শ্রেণি ইসলাম শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান, সাওম পালন ও যাকাত আদায়ের শিক্ষা