ফসলের ডাক - ৭ম শ্রেণি অনুশীলনী বিজ্ঞান বই ২০২৩ প্রশ্ন ও সমাধান (PDF)

11
ফেইসবুকে আমাদের সকল আপডেট পেতে Follow বাটনে ক্লিক করুন।




ফসলের ডাক - ৭ম শ্রেণি অনুশীলনী বিজ্ঞান বই প্রশ্ন ও সমাধান | Class 7 Science chapter 1 - class seven science 2023 - Fosoler Dak Class 7 

ফসলের ডাক ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান
সপ্তম শ্রেণির ফেইসবুক স্টাডি গ্রুপে নিচের লিংক থেকে জয়েন করে নিন। সেখানে আমি প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয়ের সমাধান ও ছকসমূহ পূরণ করে দিয়ে দিব। আর আপনাদের বিভিন্ন সমস্যা ও বাড়ির কাজ গুলো সেখানে পোষ্ট করবেন। আমি সেগুলো দেখব এবং ভুল থাকলে কারেকশন করে দিব।
ফেইসবুক স্টাডি গ্রুপ লিংক:  Click Here

গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন:

প্রশ্ন: কোন এলাকায় কোন ফসল বেশি জন্মে?

উত্তর:

  • বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয় ময়মনসিংহ জেলায় 
  • গম বেশি উৎপাদিত হয় রংপুর জেলায় 
  • পাট সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় ফরিদপুর জেলায় 
  • আলু বেশি উৎপাদিত হয় মুন্সিগঞ্জ জেলায় 
  • সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদিত হয় চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় 
  • চা সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় মৌলভিবাজার জেলায় 
  • তুলা সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয় যশোর জেলায় 
  • আনারস সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় সিলেট জেলায় 
  • লিচু সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় দিনাজপুরে 
  • আখ সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় নাটোরে 
  • কলা সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় বগুড়ায়।

প্রশ্ন: কোন মৌসুমে কোন ফসল বেশি জন্মে?

উত্তর:

ফসলের মৌসুমকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়।

১। রবি মৌসুম: আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস (মধ্য অক্টোবার থেকে মধ্য মার্চ)

২। খরিপ ১ মৌসুম: ফাল্গুন মাস থেকে আষাঢ় মাস (মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত)

৩। খরিপ ২ মৌসুম: আষাঢ় মাস থেকে ভাদ্র মাস মেধ্য অক্টোবার থেকে মধ্য মার্চ)

রবি মৌসুমে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা কম থাকে। বৃষ্টিপাতও কম হয়। এ সময় শীতকালীন শাকসবজি যেমন-ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, লাউ, সীম, টমেটো, আলু ইত্যাদির চাষ করা হয়। এ ছাড়া বোরো ধান, গম, ডাল ও সরিষা রবি মৌসুমের ফসল।

খরিপ -১ এর সময়কালকে গ্রীষ্মকাল ও বলা হয়। এ সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে। মাঝে মাঝে ঝড় বৃষ্টি হয়। এ মৌসুমে আউশ ধান, পাট, ঢেঁড়শ, করলা, পটল, কাঁকরোল, বরবটি ইত্যাদি ফসলের চাষ হয়। আম, জাম, কাঠাল, লিচু, পেঁপে ইত্যাদি এ মৌসুমের প্রধান ফল।

খরিপ-২ এর মৌসুমে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এ মৌসুমকে তাই বর্ষাকাল বলে। আমন ধান ও বর্ষাকালীন শাকসবজি এ মৌসুমের প্রধান ফসল। প্রধান ফলের মধ্যে : জাম্বুরা, তাল, আমলকি, কাঁঠাল, জলপাই উল্লেখযোগ্য।

প্রশ্ন: মাটি বা পরিবেশের কোন বৈশিষ্ট্যের জন্য ঐ ফসল/উদ্ভিদ বেশি জন্মে?

উত্তর:

মাটির প্রকারভেদ

মাটি প্রধানত ৪ প্রকার:

  • বেলে
  • পলি
  • এঁটেল/কদম
  • দোআঁশ

তবে দোআঁশ মাটি এর সকল প্রকার এর সাথে সংমিশ্রণ করলে আবার এর ৩ প্রকার হয়:

  • বেলে-দোআঁশ
  • পলি-দোআঁশ
  • কর্দম-দোআঁশ

দোআঁশ মাটিকে বলা হয় ফসল চাষের জন্য আদর্শ মাটি। দোআঁশ মাটিতে জৈব পদার্থ ও পটাশজাত খনিজের মাত্রা যথেষ্ট পরিমানে থাকে। এর গঠন প্রকৃতিও ফসলের বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। এ কারণেই দোআঁশ মাটিতে সব ধরনের ফসল ভাল হয়।

বেলে মাটিতে বালির ভাগ বেশি থাকে। এ মাটির পানি ধারন ক্ষমতা কম। বেলে মাটিতে ফসল তেমন ভাল হয় না তবে তরমুজ শসা, বাঙ্গী, চীনাবাদাম, মিষ্টি আলু ইত্যাদি ভাল জন্মে। বেলে-দোআঁশ মাটিতে গোল আলু, টমেটো, বেগুন বেশি জন্মে।

নদীর নিম্ন প্রবাহে নদীর প্লাবন বা বন্যার ফলে নদীবাহিত, কাদা, বালি ইত্যাদি নদীর পার্শ্ববর্তী সমভূমি অঞ্চলের সঞ্চিত করে যে মাটি সৃষ্টি হয়, তাকে পলি মাটি বলে। পলি ও পলি দোআঁশ মাটিতে পাট, গম, বরো ও আমন ধান বেশি জন্মে।

এটেল মাটিতে বালু অপেক্ষা পলি ও কাদার ভাগ বেশি থাকে। এই মাটির কাদা মাটি খুব নরম, দানা খুব ছোট ও মিহি। এই মাটি বেশি পানি ধরে রাখতে পারে। এ মাটিতে ভালভাবে বাতাস চলাচল করতে পারেনা। তাই এই মাটিতে তেমন ফসল জন্মে না। তবে ধান ভালো জন্মে ও ব্রুকলি জন্মে।

প্রশ্ন: কীভাবে বিভিন্ন ফসল/উদ্ভিদের ভালো চারা বাছাই করা হয়?

উত্তর:

  • একেক ধরনের ফসলের চারা একেকভাবে বাছাই করা হয়।
  • ধানের চারা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বীজতলা থেকে সুস্থ সফল চারা চারাগাছ হিসাবে মূল জমিতে লাগাতে হবে।
  • পেঁয়াজের চারা বীজ তলা থেকে সবল চারা বাছাই করে জমিতে লাগাতে হবে।
  • মিষ্টি আলুর বীজ মাতৃগাচ থেকে রোগমুক্ত শাখা নিয়ে লাগাতে হয় এবং সরাসরি পুষ্ট আলু চারাগাছের জন্য লাগানো যায়।
  • গম, কলাই, তিসি, সরিষা এসব ফসলের ক্ষেত্রে সতেজ পুষ্ট বীজ চারা গাছের জন্য জমিতে বপন করা হয়।
  • জমিতে চারাগাছ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নিড়ানি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।

প্রশ্ন: কীভাবে সব ফসল/উদ্ভিদের পরিচর্যা করতে হয়?

উত্তর:

চারার পরিচর্যা:

১. চারা রোপণের সঙ্গে সঙ্গে শক্ত কাঠি দিয়ে চারা সোজা করে বেঁধে দিতে হবে।

২. গরু-ছাগলের নাগাল থেকে রক্ষার জন্য বাঁশের খাঁচা দিয়ে চারা রক্ষা করতে হবে ।

৩. চারার গোড়ায় জন্মানো অবাঞ্চিত আগাছা দমন জরুরি।

৪. মাটির আর্দ্রতার জন্য শুকনো লতাপাতা, খড়, কচুরিপানা দিয়ে চারার গোড়ায় মালচিং করতে হবে। 

৫. কোনো চারা দুর্বল, রোগাক্রান্ত বা মারা গেলে ওই জায়গায় একটি নতুন সবল চারা লাগাতে হবে। 

৬. চারা সোজা রাখা ও নির্দিষ্ট কাঠামো ঠিক রাখতে অবাঞ্চিত ডালপালা কেটে ফেলতে হবে। 

৭. বৃষ্টি না হলে রোপণের পর ঝরনা দিয়ে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮. দ্রুত বৃদ্ধিতে রোপণের একমাস পর গোড়ার একফুট দূর দিয়ে নালা করে ১০ গ্রাম হারে ইউরিয়া দিতে হবে।

৯. ফলগাছে বর্ষার আগে ও পরে বয়স এবং জাতভেদে একবার পরিমাণমতো জৈব ও রাসায়নিক সার দিতে হবে।

১০. প্রতিবছর ফল পাড়ার পর পুরনো, রোগাক্রান্ত, মরা ডালপালা ছেটে দিতে হবে।

১১. রোদ ও আলো বাতাস চলাচল বাড়িয়ে দিতে পারলে পরের বছর নতুন ডালপালায় ফুল-ফল বেশি হবে।

১২. রোগবালাই পোকামাকড় দমনে নিকটস্থ কৃষি বিভাগ, হর্টিকালচার সেন্টার বা বন বিভাগের পরামর্শ নিতে হবে।

যেসব ফসল / উদ্ভিদের ফলন ভালো হয় তাদের নাম কি?

উত্তর: যেসব ফসল/উদ্ভিদের ফলন ভালো হয় তাদের নাম হলো : গম, মুলা, টমেটো ও ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, আলু সরিষা ইত্যাদি।

মাটি বা পরিবেশের কোন বৈশিষ্ট্যের জন্য ঐ ফসল/উদ্ভিদ বেশি জন্মে?

উত্তর: 
ধান: এঁটেল মাটি। যা ধান চাষের জন্য উপযোগী।
টমেটো: এঁটেল মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করলে টমেটোর ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
গাজর: পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হলে গাজর চাষের ফলন ভালো হয়।
শিম: পোঁকামাকড় এর উপদ্রব কম হলে শিমগাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।
শাকসবজি: মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি থাকায় এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হলে শাকসবজি খুব সহজে বেড়ে উঠতে পারে।
পেঁপে: জলাবদ্ধতামুক্ত জমি হলে, পেঁপে গাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।
আম গাছ: আবহাওয়া উষ্ণ হওয়ায় এবং শিলাবৃষ্টি ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হলে আম গাছ খুব দ্রুত বেড়ে উঠে।
ফুল কপি: জৈব পদার্থ এবং সঠিক পরিচর্যা করলে ফুল কপির চাষ ভালো হয়।


কীভাবে বিভিন্ন ফসল/উদ্ভিদের ভালো চারা বাছাই করা হয়?

উত্তর: 
  • ভালো বীজের বিশুদ্ধতা হতে হবে ৯৬% হতে ৯৯% ভাগ।
  • মিশ্রণ মুক্ততা।
  • রোগ ও কীটপতঙ্গ মুক্ততা।
  • অংকুরোদগম ক্ষমতা: অংকুরোদগম ক্ষমতা হতে হবে ৮৫% বা তার ওপরে।
  • বীজ প্রায় একই আকারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পরিপক্ব ও পুষ্ট হতে হবে।
  • এছাড়া বীজের জীবনীশক্তি এবং বীজের স্বাভাবিক উজ্জ্বল রঙ থাকতে হবে।

কিভাবে এসব ফসল ও উদ্ভিদের পরিচর্যা করতে হয়? 

উত্তর: 
  • চাষের স্থান নির্বাচন।
  • উন্নতজাতের ফলের চারা বা কলম সংগ্রহ।
  • পুরনো ফলগাছে সুষম সার প্রয়োগ ও ফলন্ত গাছে সেচ প্রদান করতে হবে। 
  • পোকামাকড় দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • খুঁটি দিয়ে চারা বেঁধে দেয়া।
  • খাঁচা বা বেড়া দেয়া।
  • ফল সংগ্রহের পর গাছের অঙ্গ ছাটাই করতে হবে।
  • গাছের গোড়ায় মাটি দেয়া
  • আগাছা পরিষ্কার ইত্যাদি।

নিচে পিডিএফটি দেয়া আছে, ডাউনলোড করে নিন।


Download Now


ফসলের ডাক - ৭ম শ্রেণি, ফসলের ডাক - ৭ম শ্রেণি, ফসলের ডাক - ৭ম শ্রেণি ফসলের ডাক - ৭ম শ্রেণি, Class 7 Science chapter 1

Post a Comment

11Comments
  1. বাকী গুলো কই

    ReplyDelete
    Replies
    1. please dile valo hoto [BTS2ǣzîD

      Delete
    2. বাকি কোন গুলোর কথা বলতেছেন? আমাদের পেইজে এবং স্টাডি গ্রুপে জয়েন করুন। আপনার যে পাঠটির সমাধান লাগবে সেখানে মেসেজ করুন।

      Delete
  2. ১৬ পৃষ্টার সমাধান দিলে ভালো হতো।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটাতে পাবেন না অন্য একটাতে খুঁজে দেখেন

      Delete
  3. Pg-19 ta kore dile valo hoto

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটা নিয়ে আলাদা একটা পোষ্ট করা হয়েছে

      Delete
  4. বাকী গুলো

    ReplyDelete
Post a Comment