Follow Our Official Facebook Page For New Updates
বিভিন্ন দেশের দাঁত পড়া নিয়ে প্রচলিত রীতি-নীতি ও গল্প - Traditions and stories about tooth falling in different countries
দাঁত পড়া নিয়ে সপ্তম শ্রেণিতে যত পড়া আছে সব কিছুর সমাধান আজ তোমাদের শেয়ার করব। আশা করি আজকের আর্টিকেল পড়ে তোমরা খুব সহজে সকল অনুসন্ধান কাজ গুলোর সমাধান করে ফেলতে পারবে।
অনুসন্ধানী কাজ-২
সমাধান:
বিষয়বস্তু: বিভিন্ন দেশের দাঁত পড়া নিয়ে প্রচলিত রীতি-নীতি ও গল্প
অনুসন্ধানের প্রশ্ন:-
- বিভিন্ন দেশে শিশুদের প্রথম দাঁত পড়লে তারা কী করে?
- বিভিন্ন দেশে দাঁত পড়া নিয়ে কী কী গল্প প্রচলিত আছে?
প্রশ্নে যে মূল বিষয়বস্তুগুলো রয়েছে:-
তথ্য উৎস: ছোট মামা (সৌদি আরব), ইন্টারনেট, ফেইসবুক, এবং শিক্ষা বিষয়ক Helptrickbd.com ওয়েবসাইটের বিভিন্ন আর্টিকেল থেকে।
তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি: দলীয় আলোচনা, আব্বু-আম্মুর সাথে পর্যালোনা, অনলাইনে ফারুক স্যারের সাক্ষাৎকার দেখে।
তথ্য সংগ্রহ: নিচের ছকে দেখানো হলো-
মহাদেশ/দেশ/এলাকার নাম | দাঁত পড়লে রীতি-নীতি | রীতি-নীতি সংক্রান্ত ধারণা |
---|---|---|
১. মিশর ও অন্যান্য কিছু মধ্যপ্রাচ্যের দেশ | শিশুরা সজোরে দাঁত সূর্যের দিকে ছুড়ে দেয় | সূর্যের মতো উজ্জ্বল সাদা দাঁত উঠবে। |
২. ইউরোপ মহাদেশ | দাঁত পড়ে গেলে বালিশের নিচে রেখে দেয়। | দাঁত বালিশের নিচে রেখে দিলে কোনো এক পরি এসে দাঁতটা নিয়ে গিয়ে বালিশের নিচে একটা উপহার রেখে যাবে। |
৩. এশিয়া মহাদেশ | ইঁদুরের গর্তে ফেলে দিয়ে আসে | দাঁত পড়ে গেলে সেটা ইঁদুরের গর্তে ফেলে আসলে ইঁদুর সেটা নিয়ে গিয়ে ইঁদুরের সুন্দর দাঁত গুলো নিয়ে যাবে। |
৪. দক্ষিণ আফ্রিকা (দেশ) | বাড়ির আশেপাশে কোনো গোপন জায়গায় দাঁত লুকিয়ে রাখা। | বাড়ির পাশে দাঁতটি লুকিয়ে রাখলে রাতে এসে সেটা কেউ নিয়ে যাবে। এবং পরবর্তীতে সুন্দর দাঁত উঠবে |
৫. আরব আমিরাত (দেশ) | দাঁত পড়ে গেলে কোনো গর্তে লুকিয়ে রাখে। | কারো দাঁত পড়ে গেলে তা যেন কেউ দেখতে না পাই তার জন্য কোনো গর্তে বা গোপন জায়গায় লুকিয়ে রাখে। |
৬. চীন (দেশ) | বালিশের নিচে বা কোনো গাছের নিচে লুকিয়ে রাখে। | তাদের ধারণা বালিশ বা কোনো গাছের নিচে লুকিয়ে রাখলে কোনো এক দৈত্য এসে সে দাঁত নিয়ে যাবে। |
তথ্য বিশ্লেষণ: সবার তথ্য নিয়ে বুঝতে পারলাম, আমাদের দেশের মতো বিভিন্ন দেশে দাঁত পড়া নিয়ে মজার মজার মজার গল্প বা রীতি-নীতি রয়েছে। তবে এক এক দেশে এক এক রকম রীতি বিদ্যমান।
ফলাফল বা সিদ্ধান্ত: উপরের তথ্য গুলো জেনে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, সংস্কৃতি বা রীতি-নীত এক রকম হয়না। সমাজ বা পরিবেশ ভেদে ভিন্ন ভিন্ন রকম হতে পারে।
উপস্থাপন: আসসালামু আলাইকুম, আমি ................ (খালি ঘরে নিজের নাম দিবে)। আমরা জানি যে, আমাদের সমাজে দাঁত পড়া নিয়ে নানা রকম রীতি-নীতি চালু রয়েছে। তবে আমাদের দেশের মতো অন্যান্য দেশে দাঁত পড়া নিয়ে কোনো রীতি-নীতি চালু আছে কিনা তা জানার জন্য আমি একটি অনুসন্ধান করি। প্রথমে আমি একটি বিষয়বস্তু নির্ধারণ করি। তারপর আমার অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্ন নির্ধারণ করি। পরিচিত নিকট আত্মীয়স্বজন (যারা দেশের বাহিরে থাকে) ও ইন্টারনেট এর একটি শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট www.helptrickbd.com এর দাঁত পড়া নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল থেকে তথ্য গুলো জানার চেষ্টা করি। তথ্য নেয়া শেষ হলে সেগুলো যথাযথ বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি। সেগুলোর সত্যতা যাচাই করার জন্য আব্বু আম্মুর সাহায্য নিলাম। এই অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমি বুঝতে পারলাম দাঁত পড়া নিয়ে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা দেশে নানা রকম রীতি-নীতি বা গল্প রয়েছে। পরিশেষে, আমার তথ্য গুলো পরিচিত সকল সহপাঠীদের কাছে শেয়ার করি।
গুরত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন: বিভিন্ন এলাকায় দাঁত পড়ার পর প্রচলিত যেই কাজগুলো, এগুলোকে কী বলে? এগুলোর কোনো নাম আছে?
উত্তর: হ্যাঁ আছে। বিভিন্ন এলাকায় দাঁত পড়ার পর প্রচলিত যেই কাজগুলো করা হয়, সেগুলো কে প্রচলিত রীতি-নীতি বা সাংস্কৃতিক রীতি-নীতি বলা হয়।
প্রশ্ন: দাঁত পড়া ছাড়া অন্য বিষয়ে কি এ রকম প্রচলিত নিয়ম-কানুন আছে? থাকলে কী কী বিষয়ে আছে?
উত্তর: দাঁত পড়া ছাড়া অন্য বিষয়েও সমাজে বিভিন্ন প্রচলিত নিয়ম-কানুন রয়েছে। সেগুলো হলো:
নখ তোলা। বিভিন্ন সমাজে নখ কাঁটার পর সেগুলো গর্তে ফেলে দেয় অথবা এমন স্থানে ফেলে দেয় যাতে সেগুলোর মানুষের চোখে না পড়ে।
- চুল পড়া। অনেক সমাজে দেখা যায়, মহিলাদের চুল পড়ে গেলে সেগুলো পুকুরে বা নদীতে ফেলে দেয়।
- চোখের আকৃতি বা রং। আমাদের সমাজে অনেকের চোখের আকৃতি বা রং নিয়ে অনেক রীতি-নীতি রয়েছে। কারো চোখ সাদা রঙের হলে অনেকেই বিড়ালের চোখ, কুমিল্লা চোখ এসব বিভিন্ন নামে দিয়ে থাকে।
- রাতে কান্না করলে বাঘ আসে/পাগল আসে। অনেক সময় শিশুরা রাতে জোড়ে কান্না করতে গেলে এসব কথা বলে ভয় দেখিয়ে থাকে।।
- সূর্যগ্রহন। বিভিন্ন এলাকায় প্রচলিত কিছু রীতি দেখা যায় সূর্য গ্রহনের সময় সূর্যের দিকে তাকানো যাবেনা। তাকালে চোখ নষ্ট হয়ে যায়। ইত্যাদি।
- পোকা যুক্ত আম খেলে ভালোভাবে সাঁতার শেখা যায়। কিছু কিছু জায়গায় দেখা যায়, পোকাযুক্ত আম বা অন্যান্য জিনিস খেলে সাঁতার খুব তাড়াতাড়ি শেখা যায়, পানিতে সহজে ডুবে না।
প্রশ্ন: এসব নিয়ম-কানুন কেন ও কীভাবে একটি এলাকায় তৈরি হয়?
উত্তর: এসব নিয়ম কানুন নানা কারণে তৈরি হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের মন ভোলানো বা তাদেরকে সাহস দেয়ার জন্য অনেক আগে থেকেই এসব রীতি চালু হয়ে এসেছে। অনেক সময় শিশুরা ব্যথা ফেলতে ব্যথা অনুভব করে, তাই তাদেরকে সাহস দেয়ার জন্য পরিবারের সদস্যরা এসব প্রচলিত রীতি গুলো বলে থাকেন।
প্রশ্ন: এসব নিয়ম-কানুনগুলো কি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়?
উত্তর: হ্যাঁ হয়। কেননা এসব রীতি-নীতি গুলো সংস্কৃতির অংশ। আর সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল।
প্রশ্ন: প্রথম দাঁত পড়লে আমরা কি করি?
প্রথম দাঁত পড়লে আমাদের সমাজে ভিন্ন ভিন্ন কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে। যেমন:
১। দাঁতটি রোদে ফেলে দিতে হবে, তাহলে নতুন দাঁত খুব শীঘ্রই উঠবে।
২। কোনও ছাদ থেকে বা উপর থেকে ছুড়ে দিলে দাঁত খুব তাড়াতাড়ি উঠে যাবে।
৩। পানিতে ছুড়ে ফেলে দিলে দাঁত তাড়াতাড়ি উঠে ।
৪। গাছের গোড়ায় ফেলে দিলে নতুন দাঁত খুব তাড়াতাড়ি উঠে যাবে।
৫। বাগান বা জমিতে রোপণ করলে নতুন দাঁত গুলো সুন্দর করে গজাবে।
৬। দাঁত পড়ে গেলে সেটা বালিশের নিচে রাখলে কোনো এক পরি এসে তা নিয়ে যাবে।
৭। চোখ বন্ধ করে দাঁত আকাশের দিকে ছুড়ে মারলে সুন্দর সুন্দর দাঁত গজাবে।
৮। সবচেয়ে বেশি যে রীতিটি বেশি দেখা যায়, তা হলো ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেলা। আমরা অনেকেই ছোটবেলায় এমনটি করেছি। ছোটবেলায় ইঁদুরের গর্তে দাঁত রাখার সময় আমরা বলতাম: ইঁদুর ভাইরে, ইঁদুর ভাই আমার আমার বড় দাঁতটি নিয়ে গিয়ে তোমার সুন্দর সুন্দর ছোট দাঁত গুলি আমায় দিয়ে যাও।
প্রশ্ন: দুধের দাঁত ফেলার সময় শিশুদের এমন গল্প বলা হতো কেন?
বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশে শিশুরা এখনও বিশ্বাস করে পড়ে যাওয়া দুধের দাঁত বালিশের নিচে রাখলে দাঁতপরী এসে দাঁতের বিনিময়ে একটি উপহার রেখে যাবেন। এমন গল্প যুগ যুগ ধরে বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের বলে আসছেন। আসলে এটা শিশুসাহিত্যের একটি ধারণা। শিশুদের এসব গল্প বলতেই হয় কেননা তারা দুধের দাঁত ফেলতে ভয় পায়। সাধারণত এ ভয় কাটানোর জন্য দুধের দাঁত নিয়ে কাল্পনিক গল্প তৈরি হয় যাতে বাচ্চারা হাসি-খুশিভাবে দুধের দাঁত ফেলে দিতে আগ্রহ দেখায়।
সপ্তম শ্রেণির ফেইসবুক স্টাডি গ্রুপে নিচের লিংক থেকে জয়েন করে নিন। সেখানে আমি প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয়ের সমাধান ও ছকসমূহ পূরণ করে দিয়ে দিব। আর আপনাদের বিভিন্ন সমস্যা ও বাড়ির কাজ গুলো সেখানে পোষ্ট করবেন। আমি সেগুলো দেখব এবং ভুল থাকলে কারেকশন করে দিব।ফেইসবুক স্টাডি গ্রুপ লিংক: Click Here
নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন
Telegram Group
Join Now
Our Facebook Page
Join Now
Class 8 Facebook Study Group
Join Now
Class 7 Facebook Study Group
Join Now
Class 6 Facebook Study Group
Join Now
If any objections to our content, please email us directly: helptrick24bd@gmail.com