ফেইসবুকে আমাদের সকল আপডেট পেতে Follow বাটনে ক্লিক করুন।
সপ্তম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বই - ১ম অধ্যায় সেশন ৪ সম্পূর্ণ সমাধান - আমাদের নির্ধারিত সমস্যার কারণ ও সমাধান কি অন্য কোথাও থাকতে পারে? - Class 7 Digital Technology Chapter 1 Session 4 Solution

সপ্তম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বই - ১ম অধ্যায় সেশন ৪ সম্পূর্ণ সমাধান
সেশন ৪ – আমাদের নির্ধারিত সমস্যার কারণ ও সমাধান কি অন্য কোথাও থাকতে পারে?
গুরত্বপূর্ণ কিছু তথ্য:
তথ্যের উৎস প্রধানত ২ ধরনের।
১. মানবীয় উৎস: ব্যক্তির মাধ্যমে পাওয়া তথ্যকে তথ্যের মানবীয় উৎস বলে ।
২. জড় উৎস: জড়বস্তু (রেডিও, টিভি বা সংবাদপত্র) এর মাধ্যমে পাওয়া তথ্যকে তথ্যের জড় উৎস বলে।
গণ্যমাধ্যম কী?
উত্তর: যেসব মাধ্যমে জনগণের কাছে সংবাদ, মতামত ও বিনোদন পৌঁছানো বা পরিবেশন করা হয় তাকে গণমাধ্যম বলে। যেমন: সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্যাদি।
গণমাধ্যম ৩ প্রকার
১. মুদ্রণ মাধ্যম: পত্রিকা, ম্যাগাজিন, বই ইত্যাদি।
২. ইলেকট্রনিক মাধ্যম: রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি ।
ইন্টারনেট বা নিউজ মিডিয়া: ওয়েবসাইট, অনলাইন পত্রিকা, অনলাইন টেলিভিশন ইত্যাদি।
সমাধান
আগামী সেশনের প্রস্তুতি: সেশন-৪
আমাদের নির্ধারিত বিষয়টি ছিল বিদেশে অর্থ পাচার। নিচে বিদেশে অর্থ পাচার এর উপর জড় উৎস থেকে সংগৃহীত তথ্য গুলো লেখা হল।
১. গাড়ি ও ফল আমদানির আড়ালে অর্থপাচার
বিলাসবহুল গাড়ি ও ফল আমদানির আড়ালে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার হচ্ছে। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে এ টাকা পাচার করেছেন অসাধু আমদানিকারকরা। ডলার সংকটেও অর্থপাচার থেমে নেই। যেখানে ডলার সংকটে ঋণপত্র বা এলসি খুলতে হিমশিম খাচ্ছেন শিল্প মালিকরা, সেখানে আমদানির আড়ালে চলছে অর্থপাচার। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে ভোগ্য পণ্যের দাম এখন নিম্নমুখী। নানা পদক্ষেপের পরও আমদানি ব্যয় তেমন কমেনি। অথচ বাড়েনি কাস্টম ও কর থেকে সরকারের আয়। এই তথ্য আমদানির আড়ালে অর্থপাচার বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
উৎস: কালের কন্ঠ অনলাইন সংস্করণ, ১০ ই মার্চ ২০২৩।
২. হুন্ডিতেই বছরে পাচার ৭৫ হাজার কোটি টাকা
প্রবাসীদের পাঠানো আয় (রেমিট্যান্সের) ওপর রিজার্ভ পরিস্থিতি অনেকটা নির্ভরশীল। চলমান ডলার সংকটের মধ্যেও বৈধ চ্যানেলে (মাধ্যমে) আসা রেমিট্যান্স বাড়লে স্বস্তিও বাড়ে। এসব কারণ বিবেচনায় নিয়ে হুন্ডিসহ সব অবৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠানো হার শূন্যে নামাতে নানামুখী উদ্যোগ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে। হুন্ডিচক্রকে আইনের আওতায় আনতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন শাখা। কড়া নজরদারি করা হচ্ছে গ্রাহকদের ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাকিং লেনদেনের ওপরেও। তবুও থামছে না হুন্ডিচক্রের দৌরাত্ম্য। সিআইডি ও বিএফআইইউ সূত্র বলছে, নানাভাবে পাচার হচ্ছে অর্থ। শুধুমাত্র হুন্ডির মাধ্যমেই কমপক্ষে বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। সিআইডি বলছে, অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের গন্তব্যস্থল সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। তবে যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে, প্রাথমিকভাবে সেসব দেশে এবং পরবর্তী সময়ে অন্যত্র সুবিধামতো জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়।
উৎস: ঢাকা টাইমস অনলাইন সংস্করণ, ১০ ই মার্চ ২০২৩।
৩. ডলার পাচার ও বাংলাদেশি দুর্নীতিবাজদের বিদেশ ‘দখলের অভিযান
ডলার-সংকটে যখন আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা কমে গেছে, যখন আমদানি পণ্য জাহাজ থেকে খালাস আটকে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে, তখন একের পর এক বাংলাদেশি দুর্নীতিবাজদের বিদেশে সম্পত্তি ক্রয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বাইরে সম্পত্তি ক্রয়ের জন্য যে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন, তা বৈধভাবে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। এর অর্থ হলো, প্রবাসী শ্রমিক, তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের রক্ত পানি করা শ্রমের বিনিয়মে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দুর্নীতিবাজদের বিদেশে সম্পদ ক্রয়ের কাজে অবৈধভাবে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে।
উৎস: দৈনিক প্রথম আলো অনলাইন সংস্করণ, ১০ ই মার্চ ২০২৩।
৪. ‘তারেক-মামুনের পাচার করা ৫০০ কোটি টাকা পাওয়া গেলেও আনা যাচ্ছে না’
বিদেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পাচারকৃত ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেলেও তা আনা যাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেন, যে ব্যাংকের ভল্টে ওই টাকা আছে সেটা তারেক রহমান এবং মামুনের আই কন্টাক্ট ছাড়া বের করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে টাকাটা এখনো ফেরত আনা যাচ্ছে না।
উৎস: The Daily Star বাংলা অনলাইন সংস্করণ, ১০ ই মার্চ ২০২৩।
৫. রুখতে হবে অর্থ পাচার
বলা হয়ে থাকে, বর্তমানে বিদেশে অর্থ পাচার যেন একটি ওপেন সিক্রেট। তবে বিগত শতাব্দীর ’৮০ বা ’৯০-এর দশকে ‘মানি লন্ডারিং’ এতটা খোলামেলা ছিল না। নিজ দেশে অর্থসম্পদ রাখা নিরাপদ নয় বিবেচনায় দুর্নীতিবাজ ও অবৈধভাবে দেশীয় সম্পদ লুণ্ঠনকারীরা অর্থ পাচার করে তা বিদেশি ব্যাংকে গচ্ছিত রাখে কিংবা রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করে।
উৎস: দৈনিক যুগান্তর অনলাইন সংস্করণ, ২৩ ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩।
সপ্তম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বই - ১ম অধ্যায় সেশন ৪ সম্পূর্ণ সমাধান, সপ্তম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বই - ১ম অধ্যায় সেশন ৪ সম্পূর্ণ সমাধান