পবিত্র শবে বরাতের ইবাদত ও আমলসমূহ - পবিত্র বরাত রজনীর ইবাদত, আমল ও ফযিলতসমূহ - শবে বরাতের আমল - শবে বরাতের ইবাদত - শবে বরাতের ফযিলত
পবিত্র বরাত রজনীর ইবাদত ও আমলসমূহ
১। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে অর্থাৎ বরাতের রজনীতে মাগরিবের নামাযের পর দুই রাকাত নফল নামায আদায় করিবেন। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহা'র পর একবার সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত (পারা-২৮, আয়াত নং-২২,২৩,২৪) ও একবার সূরা ইখলাস পড়িবেন।
সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত আরবিঃ
بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ۖ هُوَ الرَّحْمَٰنُ الرَّحِيمُ هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ ۚ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَهُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ ۖ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ ۚ يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيم
বাংলা উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
হুওয়াল্ল-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হু আ-লিমুল গইবি ওয়াশশাহা-দা হুওয়ারহ্ মা-নুর রহীম। হুওয়াল্ল-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হুওয়াল মালিকুল কুদ্দূসুস সালা-মুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আঝীঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বির সুবহা-নাল্ল-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন।হুওয়াল্ল-হুল খ-লিক্বুল বা-রিউল মুছওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা; ইউসাব্বিহুলাহূ মা-ফিস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ ওয়াহুওয়াল ‘ আঝীঝুল হাকীম।
ফযিলত: এই নামায বিগত জীবনের গুনাহসমূহের ক্ষমা পাওয়ার জন্য বড়ই উপকারি।
২। বরাতের রজনীতে এশার নামাযের আগে দুই রাকাত করে মোট আট রাকাত নামায আদায় করিবেন। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার পর পাঁচবার করে সূরা ইখলাস পড়িবেন।
ফযিলত: গুনাহ মাফের জন্য এই নামাযও বড় উপকারি।
৩। বরাতের রজনীতে এশার নামায শেষে দুই রাকাত নফল নামায আদায় করিবেন। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার পর একবার আয়াতুল কুরসি ও পনেরবার (১৫) সূরা ইখলাস পড়িবেন। নামায শেষে একশত বার দরূদ শরীফ পড়ে রিযিক বৃদ্ধির জন্য দুআ করিবেন।
ফযিলত: এই নামাযের বরকতে রিযিকে তারাক্ষি হবে ইনশা-আল্লাহ।
৪। বরাতের রজনীতে এশার নামায শেষে দুই রাকাত করে মোট আট রাকাত নামায আদায় করিবেন। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার পর একবার সূরা কদর ও পঁচিশবার (২৫) সূরা ইখলাস পড়িবেন।
ফযিলত: গুনাহ মাফের জন্য এই নামায বহু উপকারি। এই নামায আদায়কারিকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন ইনশা আল্লাহ।
৫। বরাতের রজনীতে গভীর রাতে চার রাকাত করে আট রাকাত নামায আদায় করিবেন। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার পর দশবার করে সূরা ইখলাস পড়িবেন।
ফযিলত: এই নামায আদায়কারির জন্য আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য ফেরেশে মুকাররার করিবেন। যারা তাঁকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের সুসংবাদ দিবেন।
৬। বরাত রজনীতে এশার নামাযের পর দুই রাকাত করে মোট চৌদ্দ (১৪) রাকাত নামায আদায় করিবেন। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার পর একবার সূরা কাফেরুন, একবার সূরা ইখলাস, একবার সূরা ফালাক ও একবার সূরা নাস পড়িবেন। নামায শেষে একবার আয়াতুল কুরসি (৩য় পারা, আয়াত নং-২৫৫) ও একবার সূরা তাওবা (পারা-১১, আয়াত নং-১২৮ ও ১২৯)'র শেষ আয়াত লাকাদ যাআকুম রাসূলুমমিন আনফুসিকুম আযীয..... পড়িবেন।
ফযিলত: এই নামাযের উছিলায় দ্বীন ও দুনিয়াবি সকল নেক ও জাযের উদ্দেশ্য সফল হবে ইনশা আল্লাহ।
৭। বরাত রজনীতে মাগরিবের নামায শেষে ৭টি কুল (বরই) পাতা পানিতে সেদ্ধ করে ঐ পানি দ্বারা গোসল করিলে সারা বছর যাদু-টোনা ইত্যাদি অনিষ্ট থেকে বেঁচে থাকবে ইনশা আল্লাহ।
৮। বরাত রজনীতে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তথা ৩য় পারার ২৮৫ ও ২৮৬ নং আয়াত একুশবার (২১) তিলাওয়াত করিলে আল্লাহর রহমতে নিরাপত্তা, শান্তি ও জান-মালের হেফাযত হবে ইনশা আল্লাহ।
৯। শাবান মাসের ১৫ তারিখ যোহরের নামাযের পর দুই রাকাত করে মোট চার রাকাত নামায আদায় করিবেন। ১ম রাকাতে সূরা ফাতেহার পর একবার সূরা যিলযাল ও দশবার সূরা ইখলাস, ২য় রাকাতে সূরা ফাতেহার পর একবার সূরা তাকাছুর ও দশবার সূরা ইখলাস, ৩য় রাকাতে সূরা ফাতেহার পর তিনবার সূরা কাফিরূন ও দশবার সূরা ইখলাস, ৪র্থ রাকাতে সূরা ফাতেহার পর তিনবার আয়াতুল কুরসি ও পঁচিশবার (২৫) সূরা ইখলাস পড়িবেন।
ফযিলত: এই নামায আদায়কারিকে আল্লাহ তায়ালা দ্বীন-দুনিয়ার মঙ্গল ও কল্যাণ এবং হাশর দিবসে খাস নজওে করম দান করিবেন ইনশা আল্লাহ।
১০। বরাত রজনীর দিনে রোযা রাখিবেন। এই নফল রোযার অনেক ফযিলত রয়েছে আর এই রোযার ব্যাপারে প্রিয় নবীজি(দ.) এর নির্দেশও রয়েছে।
[বি:দ্র: মুনাজাতে আমি অধমের জন্য দুআ'র নিবেদন করছি।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু সূরা ও দোয়া:
আয়াতুল কুরসি:
নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন
If any objections to our content, please email us directly: helptrick24bd@gmail.com