সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের প্রথম দুই অধ্যায়ের সাজেশন - সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংক্ষিপ্ত ও বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর
আজ আমি আপনাদের সপ্তম শ্রেণির গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন শেয়ার করবো। যেগুলো আপনাদের পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের প্রথম দুই অধ্যায়ের সাজেশন
এক কথায় উত্তর:
বৈচিত্র্য কী?
উত্তর: বৈচিত্র্য হলো কোনো কিছুর ভিন্ন ভিন্ন রূপ।
জীববৈচিত্র্য কাকে বলে?
উত্তর: জল, স্থল সকল জায়গায় সকল পরিবেশে থাকা সকল ধরনের জীব এবং উদ্ভিদের বিচিত্রতাকে জীববৈচিত্র্য বলে।
বিবর্তন কাকে বলে?
উত্তর: কোনো প্রাণী বা উদ্ভিদ ধীরে ধীরে ধারাবাহিক রূপান্তরের মাধ্যমে একটি সম্পূর্ণ নতুন প্রাণী বা উদ্ভিদ এ পরিণত হওয়াকে অভিব্যক্তি বলা হয়।
অভিযোজন কাকে বলে?
উত্তর: একটি জীব তার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য যেসব কৌশল ও পদ্ধতি অনুসরণ করে
তাকে বলা হয় অভিযোজন।
পৃথিবীতে কত প্রজাতির জীব রয়েছে?
উত্তর: প্রায় ৮-১৪ মিলিয়ন (৮০ থেকে ১৪০ লক্ষ) বিভিন্ন প্রজাতির জীব এই পৃথিবীতে রয়েছে।
বাস্তুতন্ত্র বা বায়োম কাকে বলে?
উত্তর: অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন জীবগোষ্ঠী এবং তার পরিবেশের জড় উপাদান মিলে যে সিস্টেম তৈরি হয়, তাকে বলা হয় ইকোসিস্টেম (Ecosystem) বা বাস্তুতন্ত্র বা বায়োম বলে।
জীববৈচিত্র্যের হটস্পট কী?
উত্তর: জীব বৈচিত্রের হটস্পট বলতে সেই অঞ্চল গুলিকে বোঝানো হয় যেখানে এমন কিছু জীব প্রজাতি পাওয়া যায় যেগুলো পৃথিবীর অন্য কোন অঞ্চলে আর দেখা যায় না এবং সেই জন্যই এই সমস্ত অঞ্চলের জীব প্রজাতি গুলির বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর: যা, জায়গা দখল করে , বল প্রয়োগ করলে বাধাঁ সৃষ্টি করে, যার ওজন বা ভর আছে এবং যা ইন্দ্রিয়ের দ্বারা অনুভব করা যায় তাকে পদার্থ বলে। যেমন, মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, ইত্যাদি।
ধাতু কাকে বলে?
উত্তর: ক্রিয়ার মূল অংশকে ধাতু বলে।
অধাতু কাকে বলে?
উত্তর: যেসব উপাদান সাধারণত তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী নয়, আঘাত করলে তেমন শব্দ হয় না,পিটিয়ে পাত করা যায় না সেসব উপাদানকে অধাতু বলে। যেমন: অক্সিজেন, কার্বন, নাইট্রোজেন ইত্যাদি।
পরমানু মডেল কাকে বলে?
উত্তর: পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করার জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন সময় যে মতামত প্রদান করেন সেগুলোকে পরমাণু মডেল বলে।
পদার্থের সুলুকসন্ধান কী?
উত্তর: পদার্থের সুলুকসন্ধান হলো পদার্থের খোজখবর নেওয়া, অর্থ্যাৎ বিশ্লেষণ করা।
আইসোটোপ কাকে বলে?
উত্তর: যে সকল পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু বাকি সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন হয় তাদেরকে বলা হয় আইসোটোপ।
পারমানবিক সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটনের সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলা হয়।
মৌলিক পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর: যে সব পদার্থকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করলে ওই পদার্থ ছাড়া অন্য কোন পদার্থ পাওয়া যায়না তাদেরকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলা হয়।
যৌগিক পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর: যে পদার্থকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করলে একাধিক পদার্থ পাওয়া যায়, তা-ই যৌগিক পদার্থ।
তেজস্ক্রিয় নিউক্লিয়াস কাকে বলে?
উত্তর: অনেক সময় নিউক্লিয়াসগুলো স্থিতিশীল হয় না; এবং নানা ধরনের রশ্মি বিকরণ করে। এই ধরনের নিউক্লিয়াসগুলোকে আমরা তেজস্ক্রিয় নিউক্লিয়াস বলে।
স্থানীয় প্রজাতি কাকে বলে?
উত্তর: স্থানীয় প্রজাতি হল সেই প্রজাতি যা একটি সংজ্ঞায়িত একক ভৌগলিক অঞ্চলে পাওয়া যায়।
বিভিন্ন মৌলের প্রতীক ও সংকেত লিখ।
উত্তর: নিচে কয়েকটি মৌলের প্রতীক ও সংকেত দেওয়া হলো:
হাইড্রোজেন --Hydrogen -- H
হিলিয়াম -- Helium -- He
লিথিয়াম -- Lithium -- Li
বেরিলিয়াম -- Beryllium-- Be
বোরন -- Boron --B
কার্বন -- Carbon --C
নাইট্রোজেন-- Nitrogen --N
অক্সিজেন --Oxygen -- O
ফ্লোরিন --Fluorine --F
মানুষের জীনের সংখ্যা কত?
উত্তর: মানুষের জীনের সংখ্যা প্রায় প্রায় ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার)।
পৃথিবীর কোন কোন অঞ্চলে বেশি জীববৈচিত্র্য রয়েছে?
উত্তর: আমাজন ও তার তীরবর্তী অঞ্চল।
নিউক্লিয়াসের কেন্দ্রে পরমানুর কোন কণিকা থাকে?
উত্তর: ইলেকট্রন।
যেসব ফসল/উদ্ভিদের ফলন ভালো হয় তাদের নাম লিখ।
উত্তর: যেসব ফসল/উদ্ভিদের ফলন ভালো হয় তাদের নাম হলো : গম, মুলা, টমেটো ও ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, আলু সরিষা ইত্যাদি।
পরমাণু কয়টি কণা দিয়ে তৈরি ও কণা গুলোর নাম কি?
উত্তর: পরমাণু ৩ টি কণা দিয়ে তৈরি। এরা হলো- ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন।
বাংলাদেশে এই পর্যন্ত কত প্রজাতির জীব শনাক্ত করা হয়েছে?
উত্তর: বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৩২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৫৭৮ প্রজাতির পাখি, ১৫৪ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ১৯ প্রজাতির উভচর জীব শনাক্ত করা হয়েছে।
সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের প্রথম দুই অধ্যায়ের সাজেশন
বর্ণনামূলক প্রশ্ন:
কোন এলাকায় কোন ফসল বেশি জন্মে?
উত্তর:
- বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয় ময়মনসিংহ জেলায়
- গম বেশি উৎপাদিত হয় রংপুর জেলায়
- পাট সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় ফরিদপুর জেলায়
- আলু বেশি উৎপাদিত হয় মুন্সিগঞ্জ জেলায়
- সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদিত হয় চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায়
- চা সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় মৌলভিবাজার জেলায়
- তুলা সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয় যশোর জেলায়
- আনারস সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় সিলেট জেলায়
- লিচু সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় দিনাজপুরে
- আখ সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় নাটোরে
- কলা সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় বগুড়ায়।
কোন মৌসুমে কোন ফসল বেশি জন্মে?
রবি মৌসুম: রবি মৌসুমে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা কম থাকে। বৃষ্টিপাতও কম হয়। এ সময় শীতকালীন শাকসবজি যেমন-ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, লাউ, সীম, টমেটো, আলু ইত্যাদি ফসল ভালো জন্মে।
খরিপ -১: এই মৌসুমে আম, জাম, কাঠাল, লিচু, পেঁপে ইত্যাদি ফসল ভালো হয়।
খরিপ-২: এই মৌসুমে জাম্বুরা, তাল, আমলকি, কাঁঠাল, জলপাই ও বর্ষাকালীন শাকসবজির ফসল ভালো হয়।
কীভাবে সব ফসল/উদ্ভিদের পরিচর্যা করতে হয়?
উত্তর: যেভাবে ফসল/উদ্ভিদের পরিচর্যা করতে হয়:
১. চারা রোপণের সঙ্গে সঙ্গে শক্ত কাঠি দিয়ে চারা সোজা করে বেঁধে দিতে হবে।
২. গরু-ছাগলের নাগাল থেকে রক্ষার জন্য বাঁশের খাঁচা দিয়ে চারা রক্ষা করতে হবে ।
৩. চারার গোড়ায় জন্মানো অবাঞ্চিত আগাছা দমন জরুরি।
৪. মাটির আর্দ্রতার জন্য শুকনো লতাপাতা, খড়, কচুরিপানা দিয়ে চারার গোড়ায় মালচিং করতে হবে।
৫. কোনো চারা দুর্বল, রোগাক্রান্ত বা মারা গেলে ওই জায়গায় একটি নতুন সবল চারা লাগাতে হবে।
৬. চারা সোজা রাখা ও নির্দিষ্ট কাঠামো ঠিক রাখতে অবাঞ্চিত ডালপালা কেটে ফেলতে হবে।
৭. বৃষ্টি না হলে রোপণের পর ঝরনা দিয়ে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. দ্রুত বৃদ্ধিতে রোপণের একমাস পর গোড়ার একফুট দূর দিয়ে নালা করে ১০ গ্রাম হারে ইউরিয়া দিতে হবে।
৯. ফলগাছে বর্ষার আগে ও পরে বয়স এবং জাতভেদে একবার পরিমাণমতো জৈব ও রাসায়নিক সার দিতে হবে।
১০. প্রতিবছর ফল পাড়ার পর পুরনো, রোগাক্রান্ত, মরা ডালপালা ছেটে দিতে হবে।
১১. রোদ ও আলো বাতাস চলাচল বাড়িয়ে দিতে পারলে পরের বছর নতুন ডালপালায় ফুল-ফল বেশি হবে।
১২. রোগবালাই পোকামাকড় দমনে নিকটস্থ কৃষি বিভাগ, হর্টিকালচার সেন্টার বা বন বিভাগের পরামর্শ নিতে হবে।
ধাতু ও অধাতুর বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর:
ধাতুর বৈশিষ্ট্য:
- ধাতুসমূহ তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী।
- আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয়।
- ঘষলে চকচক করে।
- ঘাত সহনশীল ও নমনীয়।
- বিশেষ দ্যুতি আছে।
- সহজেই জোড়া লাগানো যায়।
- ওজনে ভারী।
- পিটিয়ে পাত করা যায়।
- সাধারণত বিজারক পদার্থ।
- অপেক্ষাকৃত উচ্চ গলনাংক ও স্ফুটনাঙ্ক বিশিষ্ট।
- ধাতব অক্সাইডসমূহ ক্ষারকীয় এবং পানিতে দ্রবণীয় হলে ক্ষার উৎপন্ন হয়।
- ধাতুসমূহ এসিডের হাইড্রোজেনকে প্রতিস্থাপন করে লবণ উৎপন্ন করে।
অধাতুর বৈশিষ্ট্য:
- তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী নয়।
- আঘাত করলে শব্দ হয় না।
- অধাতু ঘাত সহনশীল ও নমনীয় নয়।
- ঘষলে চকচক করে না।
- অধাতু সমূহের দ্যুতি নেই।
- ওজনে হালকা হয়।
- সহজে জোড়া লাগানো যায় না।
- পিটিয়ে পাত করা যায় না।
- কার্বন ব্যতীত অন্যান্য অধাতুগুলো জারক পদার্থ।
- অপেক্ষাকৃত নিম্ন গলনাংক ও স্ফুটনাংক বিশিষ্ট।
- অধাতুসমূহ এসিডের হাইড্রোজেনকে প্রতিস্থাপন করে লবণ উৎপন্ন করে না।
- চুম্বক দ্বারা বিকর্ষিত হয় অর্থাৎ ডায়াম্যাগনেটিক প্রকৃতির।
মাটি বা কোন বৈশিষ্ট্যের জন্য ঐ ফসল/উদ্ভিদ বেশি জন্মে?
উত্তর:
দোআঁশ মাটি: দোআঁশ মাটিকে বলা হয় ফসল চাষের জন্য আদর্শ মাটি। দোআঁশ মাটিতে জৈব পদার্থ ও পটাশজাত খনিজের মাত্রা যথেষ্ট পরিমানে থাকে। এর গঠন প্রকৃতিও ফসলের বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। এ কারণেই দোআঁশ মাটিতে সব ধরনের ফসল ভাল হয়।
বেলে মাটি: বেলে মাটিতে বালির ভাগ বেশি থাকে। এ মাটির পানি ধারন ক্ষমতা কম। বেলে মাটিতে ফসল তেমন ভাল হয় না তবে তরমুজ শসা, বাঙ্গী, চীনাবাদাম, মিষ্টি আলু ইত্যাদি ভাল জন্মে। বেলে-দোআঁশ মাটিতে গোল আলু, টমেটো, বেগুন বেশি জন্মে।
পলি মাটি: নদীর নিম্ন প্রবাহে নদীর প্লাবন বা বন্যার ফলে নদীবাহিত, কাদা, বালি ইত্যাদি নদীর পার্শ্ববর্তী সমভূমি অঞ্চলের সঞ্চিত করে যে মাটি সৃষ্টি হয়, তাকে পলি মাটি বলে। পলি ও পলি দোআঁশ মাটিতে পাট, গম, বরো ও আমন ধান বেশি জন্মে।
এটেল মাটি: এটেল মাটিতে বালু অপেক্ষা পলি ও কাদার ভাগ বেশি থাকে। এই মাটির কাদা মাটি খুব নরম, দানা খুব ছোট ও মিহি। এই মাটি বেশি পানি ধরে রাখতে পারে। এ মাটিতে ভালভাবে বাতাস চলাচল করতে পারেনা। তাই এই মাটিতে তেমন ফসল জন্মে না। তবে ধান ভালো জন্মে ও ব্রুকলি জন্মে।
মাটি ও পরিবেশের কোন বৈশিষ্ট্যের জন্য উদ্ভিদ বা ফসলের ফলন ভালো হয়? উদাহরনসহ কিছু উদ্ভিদের নাম লেখ।
ধান: এঁটেল মাটি। যা ধান চাষের জন্য উপযোগী।
টমেটো: এঁটেল মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করলে টমেটোর ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
গাজর: পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হলে গাজর চাষের ফলন ভালো হয়।
শিম: পোঁকামাকড় এর উপদ্রব কম হলে শিমগাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।
শাকসবজি: মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি থাকায় এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হলে শাকসবজি খুব সহজে বেড়ে উঠতে পারে।
পেঁপে: জলাবদ্ধতামুক্ত জমি হলে, পেঁপে গাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।
আম গাছ: আবহাওয়া উষ্ণ হওয়ায় এবং শিলাবৃষ্টি ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হলে আম গাছ খুব দ্রুত বেড়ে উঠে।
ফুল কপি: জৈব পদার্থ এবং সঠিক পরিচর্যা করলে ফুল কপির চাষ ভালো হয়।
কীভাবে বিভিন্ন ফসল/উদ্ভিদের ভালো চারা বাছাই করা হয়?
উত্তর: ফসল/উদ্ভিদের ভালো চারা বাছাই করার নিয়ম:
১. চারা রোপণের সঙ্গে সঙ্গে শক্ত কাঠি দিয়ে চারা সোজা করে বেঁধে দিতে হবে।
২. গরু-ছাগলের নাগাল থেকে রক্ষার জন্য বাঁশের খাঁচা দিয়ে চারা রক্ষা করতে হবে ।
৩. চারার গোড়ায় জন্মানো অবাঞ্চিত আগাছা দমন জরুরি।
৪. মাটির আর্দ্রতার জন্য শুকনো লতাপাতা, খড়, কচুরিপানা দিয়ে চারার গোড়ায় মালচিং করতে হবে।
৫. কোনো চারা দুর্বল, রোগাক্রান্ত বা মারা গেলে ওই জায়গায় একটি নতুন সবল চারা লাগাতে হবে।
৬. চারা সোজা রাখা ও নির্দিষ্ট কাঠামো ঠিক রাখতে অবাঞ্চিত ডালপালা কেটে ফেলতে হবে।
৭. বৃষ্টি না হলে রোপণের পর ঝরনা দিয়ে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. দ্রুত বৃদ্ধিতে রোপণের একমাস পর গোড়ার একফুট দূর দিয়ে নালা করে ১০ গ্রাম হারে ইউরিয়া দিতে হবে।
৯. ফলগাছে বর্ষার আগে ও পরে বয়স এবং জাতভেদে একবার পরিমাণমতো জৈব ও রাসায়নিক সার দিতে হবে।
১০. প্রতিবছর ফল পাড়ার পর পুরনো, রোগাক্রান্ত, মরা ডালপালা ছেটে দিতে হবে।
১১. রোদ ও আলো বাতাস চলাচল বাড়িয়ে দিতে পারলে পরের বছর নতুন ডালপালায় ফুল-ফল বেশি হবে।
১২. রোগবালাই পোকামাকড় দমনে নিকটস্থ কৃষি বিভাগ, হর্টিকালচার সেন্টার বা বন বিভাগের পরামর্শ নিতে হবে।
বিষুবরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য বেশি কেন? বর্ণনা কর।
উত্তর: ভিন্ন ভিন্ন কারণে বিষুবরেখার কাছাকাছি জীববৈচিত্র্য, বা প্রজাতি এবং বাস্তুতন্ত্রের বৈচিত্র্য সাধারণত বেশি হয়। নিচে কয়েকটি কারণ দেয়া হলো:
উচ্চ তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাত: বিষুবরেখা অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উচ্চ তাপমাত্রা এবং অধিক বৃষ্টিপাত অনুভব করে, যা বিস্তৃত প্রজাতির উন্নতির জন্য আদর্শ পরিস্থিতি প্রদান করে।
দীর্ঘ ক্রমবর্ধমান ঋতু: বিষুবরেখার একটি দীর্ঘ ক্রমবর্ধমান ঋতু রয়েছে, যা বছরের বেশিরভাগ সময় গাছপালা বৃদ্ধি এবং প্রজনন করতে দেয়। এটি উদ্ভিদ প্রজাতির বৃহত্তর বৈচিত্র্যের দিকে পরিচালিত করে এবং তারা যে ইকোসিস্টেমগুলিকে সমর্থন করে।
পুরানো ইকোসিস্টেম: নিরক্ষীয় অঞ্চলগুলি অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দীর্ঘকাল ধরে রয়েছে এবং তাই প্রজাতির বিকাশ এবং বৈচিত্র্যের জন্য আরও বেশি সময় পেয়েছে।
ঋতু পরিবর্তনের অভাব: বিষুবরেখার কাছাকাছি তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের উল্লেখযোগ্য ঋতু পরিবর্তনের অভাব প্রজাতিগুলিকে সারা বছর সক্রিয় থাকতে এবং প্রজনন করতে দেয়, যা বৃহত্তর সামগ্রিক জীববৈচিত্র্যের দিকে পরিচালিত করে।
জটিল টপোগ্রাফি: নিরক্ষীয় অঞ্চলগুলি পাহাড়, রেইনফরেস্ট এবং নদী সহ জটিল টপোগ্রাফি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যা বিভিন্ন প্রজাতির বসবাসের জন্য বিভিন্ন ধরনের আবাসস্থল প্রদান করে।
পদার্থের কয়টি অবস্থা ও কী কী? প্রত্যেকটির ২ টি করে বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর: পদার্থের অবস্থা ৩টি
যথা:
১। কঠিন পদার্থ
২। তরল পদার্থ
৩। বায়বীয় পদার্থ
কঠিন পদার্থের ২টি বৈশিষ্ট্য: ১। কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার আছে। ২।কঠিন পদার্থের ওজন আছে এবং এটি স্থান দখল করে।
তরল পদার্থের ২টি বৈশিষ্ট্য: ১। তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আকার নেই। ২। তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে।
বায়বীয় পদার্থের ২টি বৈশিষ্ট্য: ১। ওজন আছে। ২। জায়গা দখল করে।
বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষনের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আলোকপাত কর।
উত্তর: বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষনের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে হা হলো:
১। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সরকার দেশের বনাঞ্চলের কিছু অংশ সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে
ঘোষণা করেছে।
২। প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ আহরণ বন্ধ করা হয়েছে।
৩। মানুষ সৃষ্ট বনায়নের পুরাতন গাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
৪। বন্যপ্রাণী নিধন ও পাচার রোধে নতুন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৈরি করা হয়েছে।
সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান সাজেশন, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান সাজেশন, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান সাজেশন,
নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন
If any objections to our content, please email us directly: helptrick24bd@gmail.com