প্রমিত বাংলায় কথা বলা - ৭ম শ্রেণি বাংলা সামষ্টিক মূল্যায়ন সমাধান (২য় পর্ব) - নিজের বাড়িতে ব্যবহৃত অপ্রমিত/আঞ্চলিক বাক্যের প্রমিত রূপ
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের বাংলা সামষ্টিক মূল্যায়ন এর কার্যক্রম-২ হলো প্রমিত বাংলায় কথা বলা। এখানে তোমাদের কাজ হলো নিজের বাড়িতে শব্দের অপ্রমিত/আঞ্চলিক উচ্চারণ হয় এমন দশটি বাক্য পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে শনাক্ত করতে হবে। এ ব্যাপারে পরিবার বা অন্য কারো সাথে আলোচনা করে সমাধান করা।
নিচে তোমাদের নির্দেশনা ও তার সমাধান উল্লেখ করা হলো-
নির্দেশনা:
কার্যক্রম-২: প্রমিত বাংলায় কথা বলা
কাজ-১
বাড়ি থেকে করে এনে শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে: নিজের বাড়িতে শব্দের অপ্রমিত/আঞ্চলিক উচ্চারণ হয় এমন দশটি বাক্য পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে শনাক্ত করতে হবে। কথা বলা বাক্যগুলোকে প্রমিতে রূপান্তর করে একটি কাগজে নাম ও আইডিসহ লিখে জমা দিতে হবে। যাদের সাথে আলোচনা করে এ কাজটি করা হয়েছে কাগজে তাদের নাম, পরিচয় ও স্বাক্ষর থাকতে হবে।
- ৭ম শ্রেণির বাংলা পাঠ্য বইয়ের বাইরে থেকে যে কোনো কবিতার প্রথম ১০ লাইন এবং যে কোনো গদ্যাংশের ১০ লাইন বাছাই করতে হবে।
- প্রমিত উচ্চারণে বাছাইকৃত কবিতাটি আবৃত্তি করতে হবে এবং গদ্যাংশটি পাঠ করতে হবে।
- কবিতা আবৃত্তি এবং গদ্যাংশ পাঠের কাজটি লেখা দেখে করা যাবে।
- সময়: ২-৩ মিনিট
কার্যক্রম-২: প্রমিত বাংলায় কথা বলা - সমাধান
নিজের বাড়িতে শব্দের অপ্রমিত/আঞ্চলিক উচ্চারণ হয় এমন দশটি বাক্য পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে শনাক্ত কর।
নিচে চট্টগ্রামের ভাষায় ব্যবহৃত কিছু বাক্যকে প্রমিত রূপ করা হলো:
(ক) নাম: বেলায়েত হোসেন
সম্পর্ক: বাবা
সাক্ষর: (এখানে তোমরা যাদের নাম লিখবে তাদের সাক্ষর নিবে)
(খ) নাম: ইমতিয়াজ হাসান
সম্পর্ক: বড় ভাই
সাক্ষার: (এখানে তোমরা যাদের নাম লিখবে তাদের সাক্ষর নিবে)
কাজ-২:
৭ম শ্রেণির বাংলা পাঠ্য বইয়ের বাইরে থেকে প্রমিত উচ্চারণে বাছাইকৃত যে কোনো কবিতার প্রথম ১০ লাইন এবং যে কোনো গদ্যাংশের ১০ লাইন বাছাই করতে হবে।
প্রমিত উচ্চারণে বাছাইকৃত কবিতার প্রথম ১০ লাইন:
দানপত্র
সৈয়দ শামসুল হক
তোমাকে সাক্ষাৎ জেনে দানপত্রে দিলাম স্বাক্ষর।
নিতান্ত গরীব নই, সঞ্চয় সামান্য নয় এ কয় বৎসরে।
আমার সিন্দুক খুলে দ্যাখো তুমি আছো থরে থরে।
তোমার রাজত্বকালে প্রচলিত সোনার মোহর।
উজ্জ্বল উৎকীর্ণ তুমি, সিংহাসন আমার সংগমে,
তোমার বাঁ হাতে আছে তরবারি, দক্ষিণে ঈগল,
বুঝিবা বাতাস বয়, তাতে ওড়ে তোমার আঁচল,
অন্য পিঠে লেখা সন পরিচয় সুতীক্ষ্ণ কলমে।
এখনো ভুলিনি আমি অপেক্ষায় উষর প্রান্তর
কোমল লাঙলে চষে অবিরাম যে শস্য করেছি
প্রমিত উচ্চারণে বাছাইকৃত গদ্যাংশের প্রথম ১০ লাইন:
ছোট রানির সাথে হিংসা করে বড়রানিরা রাজাকে খবর দেয় এই বলে যে, ছোট রানি কিছু ইঁদুর ও কাঁকড়া জন্ম দিয়েছে। অথচ ছোট রানির জন্ম দেয়া সাত ছেলে ও এক মেয়েকে মাটিতে পুঁতে দিলো। এরপর সেই সাত ছেলে ও এক মেয়ে যথাক্রমে সাতটি চাঁপা গাছ ও একটি পারুল গাছ হয়ে জন্ম নিলো। মালি সেই ফুল তুলতে গেলে তারা রাজার সাথে দেখা করতে চায়। রাজা আসার পর তারা বড় রানিদের সাথে দেখা করতে চায়। সবাই আসার পর তারা বলে, ছোট রানী আসলে তবেই ফুল দেবে। ছোট রানী আসতেই সবাই মা মা বলে ডেকে উঠলো তখন রাজা পুরো কাহিনী বুঝতে পারলেন।