৭ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা আকাইদ ১ম অধ্যায় সকল সমাধান

৭ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা আকাইদ ১ম অধ্যায় সকল সমাধান, আকাইদের পরিচয়, ফেরেশতাদের পরিচয়, আল্লাহ তা'আলার প্রতি ইমান-এর মর্মার্থ
Follow Our Official Facebook Page For New Updates


Join our Telegram Channel!

৭ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা আকাইদ ১ম অধ্যায় সকল সমাধান

৭ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা আকাইদ ১ম অধ্যায় সকল সমাধান

ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম এবং প্রধান হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ জগৎসমূহের সৃষ্টিকর্তা ও প্রতিপালকের সত্তাবাচক নাম। সর্বোচ্চ সম্মান, প্রশংসা এবং ইবাদাত পাওয়ার তিনি একমাত্র অধিকারী। তিনি চিরঞ্জীব, অনাদি এবং অনন্ত । 

এক এবং অদ্বিতীয়, সর্বাপেক্ষা মহান। আল্লাহর ওপর ইমান আনার অর্থ হলো, তার অস্তিত্বের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা । কোনো সন্দেহ ছাড়া তাকে একমাত্র রব, উপাস্য (মা'বুদ) হিসেবে গ্রহণ করা এবং তার গুণবাচক নামগুলোর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।


ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি মৌলিক বিষয় হচ্ছে 'মালাইকা' (الملائكه) বা ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস । ফেরেশতাগণ আল্লাহর আজ্ঞাবহ জ্যোতির্ময় সত্তা। তারা নিষ্পাপ ও পূত-পবিত্র। তারা নূরের তৈরি। সর্বদা আল্লাহর ইবাদাতে মগ্ন থাকেন ।


ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি মৌলিক বিষয় হচ্ছে আসমানি কিতাব। নবি-রাসুলগণ আল্লাহ তা'আলার নিকট থেকে যেসব কিতাব বা গ্রন্থ লাভ করেছেন সেসব ধর্মগ্রন্থই আল্লাহর কিতাব। এগুলোকে আসমানি কিতাব বলা হয়। 

এসব আসমানি কিতাবের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা ইমানের অঙ্গ। মোট আসমানি কিতাবের সংখ্যা ১০৪ খানা। এর প্রধান চারখানা কিতাব হলো- তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল ও আল-কুরআন।

৭ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা আকাইদ ১ম অধ্যায় সকল সমাধান

আকাইদ-এর পরিচয়

আকাইদ শব্দটি আরবি। এর অর্থ বিশ্বাসমালা। এটি আকিদা শব্দের বহুবচন, যার অর্থ বিশ্বাস। শরিয়তের দৃষ্টিতে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপনকে আকাইদ বলে। ইসলামি আকিদার মূলকথা হলো বিশ্বাস, কর্ম, চিন্তা ও চেতনায় মহান আল্লাহকে সর্বশক্তিমান মেনে নেওয়া এবং শিরক থেকে যুক্ত থাকা। 


একজন মুসলিমকে মৌলিক সাতটি বিষয়ে ইমান আনতে হয়। বিষয়গুলো হলো—

১.আল্লাহর প্রতি ইমান।

২.মালাইকা বা ফেরেশতাগণের প্রতি ইমান।

৩. আসমানি কিতাবসমূহের প্রতি ইমান।

৪. নবি-রাসুলগণের প্রতি ইমান।

৫. আখিরাতের প্রতি ইমান ।

৬. তাকদির (ভাগ্য বা নিয়তি) এর ভালো-মন্দের প্রতি ইমান।

৭. মৃত্যুর পর পুনর্জীবনের প্রতি ইমান।


আল্লাহ তা'আলার প্রতি ইমান-এর মর্মার্থ

আল্লাহ জগৎসমূহের সৃষ্টিকর্তা ও প্রতিপালকের সত্তাবাচক নাম। সর্বোচ্চ সম্মান, প্রশংসা ও ইবাদাত পাওয়ার যিনি একমাত্র অধিকারী, তারই নাম আল্লাহ । আল্লাহ নামের কোনো প্রতিশব্দ, অনুবাদ, সমার্থক শব্দ কিংবা প্রতিনিধিত্বমূলক কোনো শব্দ বা নাম নেই। পৃথিবীর সকল ভাষাতে এ শব্দটি অভিন্নরূপে ব্যবহৃত।


ইমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় হলো আল্লাহর ওপর ইমান বা বিশ্বাস । আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি ছিলেন, তিনি আছেন ও তিনি থাকবেন। তিনি আমাদের রব, মালিক ও সৃষ্টিকর্তা। তার ইচ্ছা ছাড়া কোনোকিছুই ঘটে না। 

তিনি ক্ষমা করার অধিকারী। তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব এবং তিনি অনন্ত। তিনি পরম সুন্দর ও পরম পবিত্র। তাকে ক্লান্তি, তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। তিনি কোনোকিছুর ওপর নির্ভরশীল নন। সবকিছুই তার ওপর নির্ভরশীল। 

প্রকাশ্য ও গোপন সবকিছুই তিনি জানেন। তার জ্ঞানের বাইরে কোনোকিছুই নেই। তিনিই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, আকাশ ও পৃথিবীর রাজত্ব তারই। তিনি আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সকল বিষয় পরিচালনা করেন। 

তার কুরসি আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টন করে আছে। সকল কিছুই তার নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনিই জীবন দেন তিনিই মৃত্যু দেন। আর তার কাছেই সকলকে ফিরে যেতে হবে।


আল্লাহর প্রতি ইমান আনার অর্থ হলো, তার অস্তিত্বের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। কোনো সন্দেহ সংশয় ছাড়া এ বিশ্বাস স্থাপন করা যে, তিনি একমাত্র প্রতিপালক (রব), তিনি একমাত্র উপাস্য (মা'বুদ) ।


আল্লাহর কর্তৃত্বে বিশ্বাস স্থাপন

এ বিশ্বাসে অটল থাকতে হবে যে, আল্লাহ তা'আলাই একমাত্র রব, একমাত্র প্রতিপালক। এ মহাবিশ্ব পরিচালনায় তার আর কোনো অংশীদার বা সহযোগী নেই। রব বলা হয় তাকেই যিনি সৃষ্টি করেন, পরিচালনা করেন এবং মালিকানা যার জন্য। 

আল্লাহ ছাড়া আর কোনো স্রষ্টা নেই। আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মালিক নেই। তিনি ছাড়া আর কোনো বিশ্ব পরিচালকও নেই। অদৃশ্যের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহরই, আল্লাহ ব্যতীত আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে কেউই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না কেবল যাকে যতটুকু জ্ঞান দেওয়া হয়, সে ততটুকুই জানে।


আল্লাহর একমাত্র উপাস্য হওয়ায় বিশ্বাস স্থাপন 

মনেপ্রাণে এ কথা বিশ্বাস করতে হবে যে, আল্লাহই একমাত্র সত্য উপাসা। তিনি ছাড়া আর কেউ ইবাদাত পাওয়ার উপযুক্ত নয়। উপাসনা প্রাপ্তিতে আর কেউ তার অংশীদার নয়। 

আল্লাহ তা'আলা বলেন, 'আল্লাহ্ সাক্ষাৎ দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই, ফেরেশতাগণ এবং জ্ঞানীগণও; (একই সাক্ষ্য দেন) তিনি (আল্লাহ) ন্যায় ও ইনসাফের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ বা উপাস্য নেই। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।' (সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৮) 

শুরু থেকে শেষপর্যন্ত সকল নবি- রাসুলের দাওয়াতের মূল বিষয় ছিল একটাই— আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই অথবা কেউ উপাসনার যোগ্য নেই।'


আল্লাহর সুন্দর নাম ও সিফাতসমূহের ওপর বিশ্বাস স্থাপন 

আল্লাহ তা'আলার পরিচয় বর্ণনা করে শেষ করা সম্ভব নয়। তিনি সকল গুণের আধার। এমন কোনো উত্তম গুণ নেই যা তার মাঝে নেই। তিনি যেমন অসীম তেমনি তার গুণাবলিও অসীম। তার প্রতিটি গুণের মহিমাজ্ঞাপক পৃথক পৃথক নাম রয়েছে। 

এগুলো তার গুণবাচক নাম। আল-কুরআনে এগুলোকে 'আল-আসমাউল হুসনা' বা সুন্দরতম নামসমূহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন- 'আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। কাজেই তোমরা তাকে সে নাম ধরেই ডাকো।' (সূরা আল-আরাফ, আয়াত : ১৮০) আল্লাহর কয়েকটি গুণবাচক নাম হলো-


আল্লাহু খালিকুন (EJCE all) : 

খালিকুন অর্থ সৃষ্টিকর্তা। আল্লাহ সমস্ত মাখলুকের সৃষ্টিকর্তা। খালিক তিনি, যিনি কোনো পূর্ব নমুনা বাতিরেকে যখন ইচ্ছা সৃষ্টি করতে পারেন। এ অর্থেই আল্লাহ খালিক। 

মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আল্লাহ বলেন, “যিনি তার প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দরভাবে সৃজন করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন।” (সূরা আস-সাজদাহ, আয়াত : ৭)


আন্না মালিকুল (AUG Ail) : 

মালিক অর্থ অধিপতি, স্বত্ত্বাধিকারী, রাজাধিরাজ, বাদশা ইত্যাদি। আল্লাহ্ মালিকুন অর্থ আল্লাহ অধিপতি। এ বিশাল পৃথিবীর সবকিছুই আল্লাহর নির্দেশে পরিচালিত হয়। 

আল্লাহ বলেন, “নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল এবং এ দুয়ের মধ্যে যা কিছু আছে, সবকিছুর ওপর আল্লাহ তা'আলার আধিপত্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন আর আল্লাহ সবকিছুর ওপর মহাশক্তিমান।” সূরা আল- মায়েদাহ, আয়াত : ১৭


আল্লাহ্ গারুন Guha all): 

গাফুরুন অর্থ ক্ষমাশীল, অত্যন্ত ক্ষমাকারী, পরম ক্ষমাশীল ইত্যাদি। তাই 'আল্লাহ গাফুরুন' কথাটির অর্থ হলো, আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল। আল গাফুর আল্লাহর একটি পবিত্র নাম। এ নামের বরকতে তিনি পাপীর পাপ মোচন করে দেন।

নিঃসন্দেহে আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল। গাফুর অর্থ মোচনকারী। মহান আল্লাহ বলেন, 'হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, আল্লাহর অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আয-যুমার, আয়াত : ৫৩)


আল্লাহু খাবিন (sul all):

বাধিতুন অর্থ সর্বজ্ঞাত, সর্বজ্ঞ, সমাক অবহিত ইত্যাদি। আল্লাহ্ খাবিরুন অর্থ আল্লাহ সম্যক অবহিত বা সর্বজ্ঞাত। আল-খাবির মহান আল্লাহ তা'আলার একটি নাম। আল্লাহ সবকিছুর খবর রাখেন। মহান আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু জানেন, সমস্ত খবর রাখেন।' (সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত : ১৩)


মালাইকা বা ফেরেশতাগণের প্রতি ইমান 

ফেরেশতাগণ আল্লাহর আজ্ঞাবহ জ্যোতিময় সত্তা। তারা আল্লাহর বার্তাবাহক। তারা নিষ্পাপ ও পূত-পবিত্র। তারা সর্বদা আল্লাহর তাসবিহ ও ইবাদাতে মগ্ন থাকেন। তারা নূরের তৈরি। তাদের পানাহার, নিদ্রা ও বিশ্রামের প্রয়োজন হয় না। তাদের সংখ্যা অগণিত। 

একমাত্র আল্লাহ ছাড়া তাদের প্রকৃত সংখ্যা কেউ জানেন না। তারা আল্লাহর আদেশ পালনে নিয়োজিত আছেন। আল্লাহর আদেশের বাইরে তারা কিছুই করতে পারেন না। মহান আল্লাহ যাকে যে কাজে নিয়োজিত করেন, তিনি সে কাজেই নিয়োজিত থাকেন। 

আল্লাহ তা'আলা ফেরেশতাগণকে বিশেষ আকৃতিতে নূরের দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহ তা'আলা যখন যে রূপধারণ করতে বলেন তাঁরা তখন সেই রূপই ধারণ করেন ।


প্রধান চারজন ফেরেশতা :

১. জিবরাঈল (আ.) : তাঁকে সকল ফেরেশতাদের সর্দার বলা হয়। তার প্রধান দায়িত্ব হলো আল্লাহ তা'আলার বাণীসমূহ নবি- রাসুলগণের নিকট পৌঁছে দেওয়া। তিনিই পবিত্র বাণী নিয়ে মহানবি (সা.)-এর নিকট আসতেন। 


২. মিকাঈল (আ.) : তার দায়িত্ব হচ্ছে বৃষ্টি বর্ষণ, উদ্ভিদ উৎপাদন ও সকল জীবের জীবিকা বণ্টন। এছাড়া বজ্রপাত ঘটানোর কাজও মিকাঈল (আ.)-এর দায়িত্বে।


৩. ইসরাফিল (আ.) : তার দায়িত্ব মহান আল্লাহর নির্দেশক্রমে কিয়ামতের দিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া। তার শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়ার সাথে সাথেই কিয়ামত সংঘটিত হবে।


৪. আজরাঈল (আ.) : যিনি মালাকুল মওত নামেও পরিচিত। মহান আল্লাহ পাকের আদেশে প্রাণিকূলের জান কবজের কাজে তিনি নিয়োজিত। এছাড়াও কিছু ফেরেশতা মানুষের আমলনামা সংরক্ষণ করেন। তাদের বলা হয় কিরামান কাতিবিন ।


মহান আল্লাহ ফেরেশতাদের মাধ্যমে জগৎ পরিচালনা করেন। তাদেরকে যা আদেশ করেন তারা তা-ই পালন করেন। তাদেরকে সৃষ্টিগতভাবেই আল্লাহর অনুগত করা হয়েছে। 

আল্লাহ তা'আলার সৃষ্টি ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস রাখা ইমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কেউ যদি “ফেরেশতাদের প্রতি ইমান না রাখে তাহলে সে ইমানদার থাকে না।


আল্লাহর কিতাবের প্রতি ইমান

যুগে যুগে আল্লাহ তা'আলা মানবজাতির পথ প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে নবি রাসুলগণের ওপর অনেক কিতাব নাযিল করেছেন। নবি-রাসুলগণ আল্লাহ তা'আলার নিকট থেকে যেসব কিতাব বা গ্রন্থ লাভ করেছেন সেসব ধর্মগ্রন্থই আল্লাহর কিতাব। 

এগুলোকে আসমানি কিতাবও বলা হয়। হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে সর্বশেষ নবি মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত নাযিলকৃত সব আসমানি কিতাবের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা ইমানের অঙ্গ।

মানবজাতির জন্য হিদায়াত ও আলোকবর্তিকা হিসেবে সত্য ধর্ম নিয়ে সকল আসমানি কিতাব আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। এগুলো আল্লাহর কালাম বা বাণী। কিতাবসমূহের প্রতি ইমান আনার অর্থ হলো- আসমানি কিতাবগুলোকে সত্য বলে মুখে স্বীকার ও অন্তরে  বিশ্বাস করা।

আল-কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে পূর্বের সকল আসমানি কিতাব এবং তার বিধান রহিত হয়েছে । কিয়ামত পর্যন্ত  সকলের জন্য কেবল  -কুরআন অনুসরণ ফরজ।

আল-কুরআনে কেবল ৪ খানা প্রধান কিতাব এবং ২৫ জন নবি- রাসুলের নাম উল্লেখ আছে। তাছাড়া অন্যান্য নবি-রাসুলগণের প্রতি সহিফা নাযিলের বিষয়টি উল্লেখ আছে। সে অনুসারে প্রধান ৪ কিতাব ও সহিফাসমূহ মিলিয়ে সর্বমোট আসমানি কিতাবের সংখ্যা ১০৪ খানা। প্রধান চারখানা কিতাব হলো—

১. তাওরাত : হযরত মূসা (আ.)-এর ওপর অবতীর্ণ।

২. যাবুর : হযরত দাউদ (আ.)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল যাবুর।

৩. ইনজিল : হযরত ঈসা (আ.)-এর ওপর অবতীর্ণ ।

৪. আল-কুরআন : আল-কুরআন শেষ নবি হযরত মুহাম্মাদ (সা.)- এর ওপর অবতীর্ণ। আল-কুরআনের আরেক নাম ফুরকান । আসমানি কিতাবসমূহে বিশ্বাস করা ইমানের মৌলিক সাতটি বিষয়ের মধ্যে একটি। আমরা জানা-অজানা সকল আসমানি কিতাবে বিশ্বাস রাখব এবং আল-কুরআনের বিধিবিধান মোতাবেক আমাদের জীবন পরিচালনা করব।


অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান

(শিখনযোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে একক ও দলীয় কাজের সমাধান)

বাড়ির কাজ, একক কাজ, দলীয় কাজ, প্রতিবেদন

প্রিয় শিক্ষার্থী, বছরের প্রথম ক্লাসটিতেই শিক্ষক তোমাদের নিয়ে বিদ্যালয়ের অথবা এলাকার কোনো পাঠাগারে অথবা বইয়ের দোকানে, মসজিদ পাঠাগারে বা মাদ্রাসার পাঠাগারে নিয়ে যাবেন। 

সেখানে গিয়ে তোমরা কুরআন-হাদিসসহ বিভিন্ন ইসলামি বই হাতে নিয়ে দেখবে, খুলে পড়বে, কিছু কিছু বোঝার চেষ্টা করবে এবং শেষসময় পর্যন্ত দেখার চেষ্টা করবে, এরপর তোমরা নিজ ক্লাসে ফিরে আসবে।

 আজকের জন্য তোমাদের এই সেশন শেষ । দ্বিতীয় সেশনে শিক্ষক তোমাদের গত সেশনে বিভিন্ন লাইব্রেরিতে গিয়ে ইসলামি বই দেখার ওপরে বিভিন্ন প্রশ্ন করবেন। যেমন-


১. পাঠাগার ভ্রমণ করে তোমাদের কেমন লাগছে?

২. সেখানে তোমরা কী কী বই দেখেছো?

৩. কোনো বই খুলে পড়েছো কি? পড়ে থাকলে কোন বইটি?

৪. তোমাদের বাড়িতে এ ধরনের কোনো বই আছে? এর আগে এই বইগুলো তোমরা কখনো দেখেছো?


এর সম্ভাব্য উত্তর হচ্ছে :

১. পাঠাগার ভ্রমণ করে আমাদের খুব ভালো লেগেছে।

২. সেখানে আমরা কুরআন, হাদিস, অনেক ইসলামি বই, রাসুল (সা.) ও অন্যান্য নবিদের জীবনী, সাহাবাদের জীবনী, হাদিসের অনুবাদমূলক বই, কুরআনের তাফসির, ইসলামের বিধিবিধান ইত্যাদি বই দেখেছি।

৩. হ্যাঁ, রাসুল (সা.)-এর জীবনী বিষয়ক একটি বই পড়েছি। বইটির নাম আর রাহিকুল মাখতুম ।

৪. হ্যাঁ, আমাদের বাড়িতে এ ধরনের কিছু বই আছে। এর আগে এই বইগুলোর কিছু দেখেছি, তবে সবগুলো দেখিনি । এরকম আরও কিছু প্রশ্ন করে শিক্ষক তোমাদেরকে ইসলামের মৌলিক উৎস কুরআন-হাদিসের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষ করবেন।


তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনে শিক্ষার্থীরা প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনে কুরআন- হাদিস সম্পর্কে যে ধারণা লাভ করেছে তা নিজেদের খাতায় লিখে জোড়ায় জোড়ায় বা দলীয়ভাবে আলোচনা করবে এবং আলোচনা শেষে শ্রেণিতে উপস্থাপন করবে।


কাজ,পাঠাগার থেকে অর্জিত ধারণা

সমাধান : পাঠাগার থেকে শিক্ষার্থীরা যে ধারণা লাভ করবে, তার আলোকে নিচে একটি নমুনা উত্তর দেওয়া হলো ।


পাঠাগারে যেসব বই দেখেছি সেগুলো হলো—

১. পবিত্র কুরআন

২. সহিহ বুখারি

৩. সহিহ মুসলিম

৪. সুনানে নাসায়ী

৫. জামে তিরমিযি

৬. মোস্তফা চরিত

৭. মহানবি (সা.)-এর জীবনী

৮. নবিদের জীবনী

৯. হযরত ঈসা (আ.)-এর জীবনী

১০. হযরত মূসা (আ.)-এর জীবনী


পাঠাগারে আমি কিছু হাদিসের বই খুলেছি— যেখানে ইমান, সালাত, সাওম, যাকাত ইত্যাদির কথা বর্ণিত রয়েছে। হাদিসে মহানবি (সা.) আমাদেরকে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করতে বলা হয়েছে যাতে আমরা পথভ্রষ্ট না হই।


বাড়িতেও আমি কিছু ইসলামি বই খুলেছি এবং পড়ে দেখেছি। যেমন-

১. তাফসিরে মা'আরিফুল কুরআন

২. সুনানে ইবনে মাজাহ

৩. সুনানে আবু দাউদ

8. মুআত্তা মালিক 

৫. মুসান্নাফে ইবনি আবি শাইবা

৬. মুআনা আহমাদ

৭. সাহাবাদের জীবনী

৮. দশজন জান্নাতি সাহাবার জীবনী

 ৯. উম্মাহাতুল মুমিনিনদের জীবনী

১০. চার খলিফার জীবনী

১১. আর রাহিকুল মাখতুম (রাসুল (সা.)-এর জীবনী)


এর মধ্যে তাফসিরে মা'আরিফুল কুরআন পড়েছি যেখানে আল্লাহ আমাদের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর প্রতি ইমান এনে নেক আমল করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। 

সকল পাপ বর্জন করে সালাত কায়েম এবং যাকাত আদায়ের নির্দেশ প্রদান করেছেন। এক আল্লাহর আনুগত্য করার সাথে সাথে তাঁর সাথে কাউকে শরিক না করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মুআত্তা মালিক পড়ে অযু, গোসল, সালাত ইত্যাদি আদায়ের নিয়ম জেনেছি। সেখানে সাওম, ঈদ, জুমা, বিবাহ, তালাক, বিচার, ক্রয়- বিক্রয় ইত্যাদির আলোচনা দেখেছি।


সম্ভাব্য নাড়ির কাজ। ইমানের মৌলিক বিষয়গুলো খাতায় লিখে আনবে এবং দলীয়ভাবে আলোচনা করবে।    • পাঠ্যবই পৃষ্ঠা ১


সমাধান : শিক্ষার্থীরা ইমানের মৌলিক বিষয়সমূহ বাড়ি থেকে খাতায় লিখে আনবে এবং এগুলো দলীয়ভাবে আলোচনা করবে। ইমানের মৌলিক বিষয়গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো—


১. আল্লাহর প্রতি ইমান।

২. ফেরেশতাদের প্রতি ইমান ।

৩. আসমানি কিতাবসমূহের প্রতি ইমান।

৪. নবি-রাসুলগণের প্রতি ইমান ।

৫. আখিরাতের প্রতি ইমান।

৬. তাকদিরের ভালোমন্দের প্রতি ইমান।

৭. মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিতকরণের প্রতি ইমান।


সম্ভাব্য কাজ ও দলীয় আলোচনা মহান আল্লাহর পরিচয় পয়েন্ট আকারে লিখে তা শ্রেণিতে দলগতভাবে আলোচনা করে শ্রেণিতে উপস্থাপন করবে।  •  পাঠ্যবই পৃষ্ঠা ২

সামাধান  : শিক্ষার্থীরা মহান আল্লাহর পরিচয় লিখবে এবং তা শ্রেণিতে মাগতভাবে আলোচনা করবে। নিচে আল্লাহর পরিচয় পয়েন্ট আকারে লিখে দেখানো হলো-


১. মহান আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরিক নেই। (সুরা ইখলাস, আয়াত : ১-৪)

২. তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা।

৫. সর্বোচ্চ সম্মান, প্রশংসা ও ইবাদাত পাওয়ার একমাত্র অধিকারী তিনিই ।

৪. তিনি সর্বশক্তিমান, অসীম জ্ঞান ও বিচক্ষণতার অধিকারী। ৫. তাঁর অনুরূপ কিছুই নেই, তাঁর তুলনা স্বয়ং তিনি নিজেই ।

৬. 'আল্লাহ' শব্দটি মহান আল্লাহর ইসমে জাত' বা সভাবাচক নাম। এটি এমন একটি শব্দ যার অনুবাদ, প্রতিশব্দ, সমার্থক শব্দ, লিঙ্গান্তর, বহুবচন ইত্যাদি নেই।

৭. আল্লাহ শব্দটি সর্বদা একবচন, একক, অবিভাজ্য, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়।

৮. মহান আল্লাহর অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর গুণবাচক নাম আছে সে নাম ধরেও আমরা তাঁকে ডাকতে পারি ।

৯. আল্লাহ এই মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, সবকিছুর নিয়ন্ত্রণকারী, মালিক, অধিপতি, প্রতিপালক এবং একমাত্র উপাসা।

১০. মহান আল্লাহ সকল দোষত্রুটি মুক্ত, সকল সৌন্দর্য ও পরিপূর্ণতার আধার, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদর্শী, তিনি বিধানদাতা, নির্দেশদাতা ও হিদায়েত দাতা ।

১১. সকল সর্বময় কর্তৃত্ব তাঁরই, তিনি সকল শক্তির উৎস, অধিকারী। অপরিসীম রহমতের অধিকারী তিনি মহাবিজ্ঞান, পরাক্রমশালী, নিরাপত্তা ও শান্তিদাতা, অমর ও অবিনশ্বর।

১২. তিনিই অতীব সূক্ষ্মদর্শী, অক্ষয়, অবিনশ্বর, অনন্ত, অসীম, পরম সুন্দর, পরম পবিত্র, ক্লান্তি ও তন্দ্রামুক্ত। তিনি জীবন ও মৃত্যুদাতা, সমগ্র মহাবিশ্বের মালিক, তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় এবং সুমহান।

১৩. সর্বশেষ কথা হলো আল্লাহর গুণাবলি কখনো লিখে বা বলে শেষ করা যায় না।


সম্ভাব্য বাড়ির কাজ, ইমান আনা বলতে কী বোঝানো হয়। বিষয়টি লিখে শ্রেণিতে উপস্থাপন কর।     •  পাঠ্যবই পৃষ্ঠা ৩

সমাধান : ইমান আনা বলতে কী বোঝায়, শিক্ষার্থীরা বিষয়টি লিখে শ্রেণিতে উপস্থাপন করবে। ইমান বলতে কী বোঝায় তা নিচে উল্লেখ করা হলো-


১. ইমান আনার অর্থ হলো আল্লাহর অস্তিত্বে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। 

২. কোনোরূপ সন্দেহ ছাড়া আল্লাহ একমাত্র প্রতিপালক, উপাস্য হওয়ার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা।

৩. আল্লাহর কর্তৃত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা যে, এ মহাবিশ্ব পরিচালনায় তাঁর কোনো অংশীদার বা সহযোগী নেই ।

৪. আল্লাহই একমাত্র উপাস্য হওয়ায় বিশ্বাস স্থাপন করা যে, তিনি ছাড়া আর কেউ ইবাদাত পাওয়ার উপযুক্ত নেই ।

৫. আল্লাহর সিফাতসমূহে বিশ্বাস করা। আল্লাহর অসংখ্য গুণবাচক ও গুণাবলি রয়েছে সেগুলোতে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা।


সম্ভাব্য দলীয় কাজ, আল্লাহর প্রতি ইমান আনা কেন গুরুত্বপূর্ণ তা দলীয়ভাবে আলোচনা কর।       • পাঠ্যবই পৃষ্ঠা ৩

সমাধান : আল্লাহর প্রতি ইমান আনা কেন গুরুত্বপূর্ণ, সে বিষয়টি শিক্ষার্থীরা দলীয়ভাবে আলোচনা করবে। আল্লাহর প্রতি ইমান আনার গুরুত্ব নিচে আলোচনা করা হলো-


১. আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।

২. তিনি আমাদের রব, মালিক ও সৃষ্টিকর্তা। তাঁর ইচ্ছা ছাড়া কিছু ঘটে না। তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই ।

৩. তিনি চিরঞ্জীব, তিনি অনন্ত, তিনি পরম সুন্দর ও পবিত্র।

৪. ক্লান্তি, তন্দ্রা, নিদ্রা তাকে কোনোকিছুই স্পর্শ করতে পারে না । তিনি কারও ওপর নির্ভরশীল নন, সবাই তার ওপর নির্ভরশীল

৫. আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে সবকিছুই তাঁর।

৬. তিনিই মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, সবকিছুর মালিক, তিনি জীবন ও মৃত্যুদাতা, সকল গৌরব তাঁরই। 

৭. তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়, সর্বোচ্চ ও সুমহান ৷ উপরিউক্ত কারণেই আমরা আল্লাহর প্রতি ইমান আনা গুরুত্বপূর্ণ ।


কাজ -আল্লাহর গুণাবলির প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের গুরুত্ব কী?

সমাধান : আল্লাহর গুণাবলির প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের গুরুত্ব নিচে আলোচনা করা হলো হলো-

১. মহান আল্লাহ সকল গুণের আধার। একজন পরিপূর্ণ মুমিন হতে হলে তার সত্তাবাচক (আল্লাহ) নামের সাথে তার গুণবাচক নামের ওপরও বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।

২. এমন কোনো উত্তম গুণ নেই যা তাঁর মাঝে নেই। তাই আমাদের সে গুণগুলো আমাদের মাঝে অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। এজন্য প্রথমে সেসব গুণে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।

৩. আল্লাহর গুণবাচক নামে তাঁর পরিচয় ও গুণাবলি রয়েছে। আল্লাহর পরিচয় যথার্থভাবে জানতে হলে তাঁর গুণগুলোও জানতে হবে। এজন্য তাঁর গুণাবলিতে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।


সম্ভাব্য শ্রেণির কাজ ফেরেশতাদের পরিচয় লিখে চারজন প্রধান ফেরেশতার নাম উল্লেখ করে ফেরেশতাদের প্রতি ইমান আমার গুরুত্ব লিখে প্রোপিতে উপস্থাপন করো।    •  পাঠ্যবই পৃষ্ঠা ৮

সমাধান : শিক্ষার্থীরা ফেরেশতাদের পরিচয় লিখে চারজন প্রধান ফেরেশতার নাম উল্লেখ করে ফেরেশতাদের প্রতি ইমান আনার গুরুত্ব লিখে শ্রেণিতে উপস্থাপন করবে। নিচে এ বিষয়ে নমুনা উত্তর উপস্থাপন করা হলো-


ফেরেশতাগণের পরিচয়

১. ফেরেশতাগণ নূরের তৈরি এবং আল্লাহর বার্তাবাহক।

২. তারা নিষ্পাপ এবং পাক ও পবিত্র। তারা সর্বদা আল্লাহর ইবাদাতে মগ্ন থাকেন এবং আদেশ পালন করে থাকেন।

৩. তারা পুরুষ বা নারী নন, তারা পানাহার মুক্ত ।

৪. তারা আল্লাহর নির্দেশে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত । 

৫. তারা আল্লাহর নির্দেশে যেকোনো সময় যেকোনো রূপধারণ করতে পারেন ।


চারজন প্রধান ফেরেশতা 

ফেরেশতাদের মধ্যে চারজন ফেরেশতা রয়েছেন। যেমন-

১. হযরত জিবরাঈল (আ.)। তিনি নবিদের নিকট ওহি নিয়ে আসেন।

২. হযরত মিকাঈল (আ.)। তিনি বৃষ্টি বর্ষণ, উদ্ভিদ উৎপাদন ও সকল জীবের রিযিক বণ্টনের দায়িত্ব পালন করেন

৩. হযরত ইসরাফিল (আ.)। তিনি আল্লাহর নির্দেশে কিয়ামতের দিন শিঙ্গায় ফুঁক দিবেন। এতে মহাবিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাবে।

৪. হযরত আজরাঈল (আ.)। তিনি সকল প্রাণিকুলের জান কবজের দায়িত্বে নিয়োজিত ।


ফেরেশতাদের প্রতি ইমান আনার গুরুত্ব 

ফেরেশতাগণের প্রতি অবশ্যই ইমান আনতে হবে। কেননা এটা ইমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কেউ যদি ফেরেশতাগণের প্রতি ইমান না আনে তাহলে সে মুমিন হতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, “যে আল্লাহ্, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ এবং তাঁর রাসুলগণ ও আখিরাতে বিশ্বাস করবে না সে চরম পথভ্রষ্টতায় পতিত হবে।” (সূরা আন-নিসা, আয়াত : ১৩৬)


- কাজ। আসমানি কিতাবের সংখ্যা এবং আসমানি কিতাবের ওপর বিশ্বাসের গুরুত্বের ওপর আলোচনা করবে এবং প্রয়োজনে খাতায় লিখবে।   •  পাঠ্যবই পৃষ্ঠা ১০


সমাধান : উল্লিখিত বিষয়গুলো নিচে আলোচনা করা হলো—


আসমানি কিতাবের পরিচয়

যুগে যুগে মহান আল্লাহ মানবজাতিকে হিদায়েত করার উদ্দেশ্যে নবি- রাসুলগণের ওপর অনেকগুলো কিতাব নাযিল করেছেন। এগুলোকে আসমানি কিতাব বলা হয় ।


আসমানি কিতাবের সংখ্যা

আসমানি কিতাবের সংখ্যা ১০৪টি। এর মধ্যে ৪টি বড় এবং ১০০টি ছোট। বড় কিতাবকে বলা হয় কিতাব এবং ছোট কিতাবকে বলা হয় সহিফা। চারটি বড় কিতাব হলো তাওরাত, যাবুর, ইনজিল এবং আল-কুরআন ।


১. তাওরাত হযরত মূসা (আ.)-এর ওপর নাযিল হয়।

২. যাবুর হযরত দাউদ (আ.)-এর ওপর নাযিল হয়।

৩. ইনজিল হযরত ঈসা (আ.)-এর ওপর নাযিল হয় ।

৪. আল-কুরআন মহানবি হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর ওপর নাযিল হয়।

৫. বাকি ১০০ খানা সহিফা অন্যান্য নবিদের ওপর নাযিল হয়।


আসমানি কিতাবের ওপর বিশ্বাসের গুরুত্ব

ইমানের অন্যান্য মৌলিক বিষয়সমূহের প্রতি বিশ্বাসের সাথে সাথে আসমানি কিতাবের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করাও জরুরি। তা না হলে কেউই মুমিন হতে পারবে না।


বাড়ির কাজ, কুরআন-হাদিস অনুসারে শিক্ষার্থীরা এ অধ্যায়ে পঠিত বিষয়াবলি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকৃত করবে এবং শ্রেণিতে উপস্থাপন করবে এবং শিক্ষক তার মতামত ব্যক্ত করবেন।     •  পাঠ্যবই পৃষ্ঠা ১০

সমাধান : কুরআন-হাদিস অনুসারে শিক্ষার্থীরা এ অধ্যায়ে পঠিত বিষয়াবলি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে এবং শ্রেণিতে উপস্থাপন করবে এবং শিক্ষক তার মতামত ব্যক্ত করবেন।   (প্রতিবেদনে আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস, আল্লাহর গুণাবলি, ফেরেশতাগণে বিশ্বাস এবং আসমানি কিতাবে বিশ্বাস অন্তর্ভুক্ত হবে।)


প্রতিবেদন

একজন মানুষকে প্রকৃত মুমিন হতে হলে সাতটি মৌলিক বিষয়ের ওপর অবশ্যই ইমান আনতে হবে। পাঠ্যবইয়ের আলোকে সেই সাতটি বিষয়ের প্রথম তিনটি মৌলিক বিষয়ের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হলো-

মহান আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস : আমাদের অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, 

১. মহান আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরিক নেই। (সূরা ইখলাস, আয়াত : ১-৪) 

২. তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, সর্বশক্তিমান, সকল ক্ষমতার অধিকারী ও অতুলনীয়।

৩. তিনি সমগ্র বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিযিকদাতা, বিধানদাতা, মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ, পরাক্রমশালী, সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা, নিরাপত্তা ও শান্তিদাতা।

মহান আল্লাহর গুণাবলি : মহান আল্লাহ অসংখ্য গুণের অধিকারী। তাঁর অনেকগুলো গুণবাচক নাম রয়েছে। যেগুলো অনুশীলন করে আমরা আমাদের জীবনে তার প্রতিফলন ঘটাতে পারি। যেমন—

১. তিনি সৃষ্টিকর্তা, সর্বজ্ঞ, মালিক, মহাপবিত্র, নিরাপত্তাদানকারী, পবিত্র, রূপ দাতা, মহাপরাক্রমশালী। ২. তিনি দয়ালু, ক্ষমাশীল, রক্ষাকর্তা, রিযিকদাতা, পালনকর্তা, অনাদি, অনন্ত, প্রথম-শেষ, প্রকাশ্য ও গোপন বিষয়ে জ্ঞাত।

৩. তিনি পরম সুন্দর, পরম পবিত্র, জীবনদাতা, মৃত্যুদাতা, প্রজ্ঞাময়, সুমহান ও সর্বোচ্চ। (সূরা আল আরাফ, আয়াত : ১৮০ ) 


ফেরেশতাগণে বিশ্বাস : 

প্রকৃত মুমিন হতে হলে মহান আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি বিশ্বাসী হওয়ার সাথে সাথে ফেরেশতাগণের প্রতিও বিশ্বাসী হতে হবে। যেমন-


১. ফেরেশতাগণ নূরের তৈরি, এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। তারা সর্বনা আল্লাহর দেওয়া বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকেন। তাদের সংখ্যা অগণিত।

২. তাদের মধ্যে নারী-পুরুষ নেই। তারা পানাহার করে না, তারা বিভিন্ন রূপধারণে সক্ষম। তাদের বিশ্রামের কোনো প্রয়োজন হয় না । ৩. আল্লাহর আদেশ অমান্য করার ক্ষমতা তাদের নেই। আল্লাহ তাদের মাধ্যমে বিশ্বজগৎ পরিচালনা করেন।

৪. তাদের মধ্যে প্রধান চারজন ফেরেশতা রয়েছেন। তারা হলেন হযরত জিবরাঈল (আ.), হযরত মিকাঈল (আ.), হযরত ইসরাফিল (আ.) এবং হযরত আজরাঈল (আ.)। 

৫. এছাড়াও রয়েছেন মুনকার-নাকির, কিরামান কাতিবীন, রিদওয়ান, মালিক প্রমুখ। (সুরা আননিসা, আয়াত-১৩৬)


আসমানি কিভাবে বিশ্বাস : 

মহান আল্লাহ মানবজাতিকে হিদায়েতের জন্য নবি-রাসুলদের নিকট ১০৪ খানা আসমানি কিতাব পাঠিয়েছেন যার প্রতি ইমান আনা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। যেমন-

১.  ১০৪ খানা আসমানি কিতাবের মধ্যে ৪ খানা বড় এবং ১০০ খানা ছোট। বড় ৪ খানাকে কিতাব এবং ছোট ১০০ খানাকে সহিফা বলে।

২. বড় চারখানা হলো- তাওরাত, যাবুর, ইনজিল এবং কুরআন এগুলো যথাক্রমে হযরত মূসা (আ.), হযরত দাউদ (আ.), হযরত ঈসা (আ.) এবং হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর ওপর নাযিল হয়। বাকি ১০০ খানা সহিফা অন্যান্য নবিদের ওপর নাযিল হয়। পরিশেষে বলা যায়, আমাদের অবশ্যই আসমানি কিতাবের ওপর বিশ্বাস আনতে হবে। তা না হলে আমরা মুমিন হতে পারব না।


অনুচ্ছেদ ও লাইনের ধারায় প্রণীত প্রশ্নাবলির এক কথায় উত্তর

প্রশ্ন ১। মহান আল্লাহকে একক সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করাকে কী বলে?

উত্তর : তাওহিদ।

প্রশ্ন ২। “কোনোকিছুই তাঁর সদৃশ নয়।”কার বাণী?

উত্তর ; আল্লাহ তাআলার।

প্রশ্ন ৩। আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসের নাম কী? 

উত্তর : তাওহিদ।

প্রশ্ন ৪। নবি-রাসুলগণ মানুষকে কিসের শিক্ষা দিয়েছেন?

উত্তর : তাওহিদের।

প্রশ্ন ৫। সকল নবি-রাসুলের দাওয়াতের মূল বাণী কী ছিল?

উত্তর : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্।

প্রশ্ন ৬। ইমান মুফাসসাল-এর অর্থ কী? 

উত্তর : বিস্তারিত বিশ্বাস ।

প্রশ্ন ৭। 'আকাইদ' অর্থ কী?

উত্তর : বিশ্বাসমালা।

প্রশ্ন ৮। আরবি ভাষায় আল্লাহর নামকে কী বলা হয় ?

উত্তর : ইসমে জাত।

প্রশ্ন ৯। পৃথিবীতে কোন শব্দের কোনো বিকল্প শব্দ নেই?

উত্তর : আল্লাহ শব্দের।

প্রশ্ন ১০। তাওহিদ, রিসালাত, আখিরাত ইত্যাদি বিষয়সমূহের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা কিসের উদাহরণ?

উত্তর : আকাইদ ।

 প্রশ্ন ১১। সর্বোচ্চ সম্মান, প্রশংসা ও ইবাদাত পাওয়ার যিনি একমাত্র অধিকারী, তাঁর নাম কী?

উত্তর : আল্লাহ।

প্রশ্ন ১২। কে সকল শক্তির উৎস ও অধিকারী? 

উত্তর : মহান আল্লাহ। 

প্রশ্ন ১৩। কিসের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় হলো আল্লাহর ওপর ইমান বা বিশ্বাস?

উত্তর : ইমানের।

প্রশ্ন ১৪। কাকে ক্লান্তি, তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না?

উত্তর : মহান আল্লাহকে।

প্রশ্ন ১৫। আল্লাহ তা'আলা কিসের ওপর প্রতিষ্ঠিত ?

উত্তর : ন্যায় ও ইনসাফের ওপর।

প্রশ্ন ১৬। “আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্য উপাস্য নেই অথবা কেউ উপাসনার যোগ্য নেই।” –এটি কাদের দাওয়াতের মূল বিষয় ছিল?

 উত্তর : সব নবি-রাসুদের

প্রশ্ন ১৭। কার পরিচয় বর্ণনা করে শেষ করা সম্ভব নয়?

উত্তর : আল্লাহর।

প্রশ্ন ১৮। খালিকুন শব্দের অর্থ কী?

উত্তর : সৃষ্টিকর্তা।

প্রশ্ন ১৯। সমস্ত মাখলুকের সৃষ্টিকর্তা কে? 

উত্তর : আল্লাহ

প্রশ্ন ২০। সৃষ্ট জীবের মধ্যে কাকে আল্লাহ তা'আলা সুন্দরতম অবয়ে সৃষ্টি করেছেন?

উত্তর : মানুষকে।

প্রশ্ন ২১। আল্লাহ প্রত্যেক জীবকে কী হতে সৃষ্টি করেছেন?

উত্তর : পানি।

প্রশ্ন ২২। মালিক শব্দের অর্থ কী?

উত্তর : অধিপতি।

প্রশ্ন ২৩। সবকিছু কার নির্দেশে পরিচালিত হয়?

 উত্তর : আল্লাহর।

প্রশ্ন ২৪। গাফুর অর্থ কী?

উত্তর : মোচনকারী।

প্রশ্ন ২৫। ক্ষমা প্রার্থনাকারী ও তওবাকারীদের আল্লাহ কী করেন?

উত্তর : ভালোবাসেন।

প্রশ্ন ২৬। খাবিরুন অর্থ কী?

উত্তর : সর্বজ্ঞাত।

প্রশ্ন ২৭। “নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু জানেন, সমস্ত খবর রাখেন।” উক্তিটি কে করেছেন?

উত্তর : মহান আল্লাহ ।

প্রশ্ন ২৮। কোন নাম দ্বারা আমরা বুঝতে পারি আল্লাহ তা'আলা দয়াবান?

উত্তর : রহমান, রাহিম।

প্রশ্ন ২৯। মিযান অর্থ কী?

উত্তর : পরিমাপ করার যন্ত্র।

প্রশ্ন ৩০। যে পরিমাপক যন্ত্রের দ্বারা কিয়ামতের দিন মানুষের পাপপুণ্যকে ওজন করা হবে, তাকে কী বলা হয়? 

উত্তর : মিযান।

প্রশ্ন ৩১। কারা আল্লাহর বার্তাবাহক?

উত্তর : ফেরেশতারা।

প্রশ্ন ৩২। ফেরেশতারা সর্বদা কার তাসবিহ ও ইবাদাতে মগ্ন থাকেন?

উত্তর : আল্লাহর।

প্রশ্ন ৩৩। ফেরেশতাগণের মধ্যে কয়জন প্রধান ফেরেশতা আছেন?

উত্তর : চারজন।

প্রশ্ন ৩৪। ফেরেশতাদের সরদার বলা হয় কাকে?

উত্তর : হযরত জিবরাইল (আ.)-কে।

প্রশ্ন ৩৫। কার নির্দেশে হযরত ইসরাফিল (আ.) কিয়ামতের দিন শিঙ্গায় ফুৎকার দিবেন?

উত্তর : আল্লাহর।

প্রশ্ন ৩৬। আজরাইল (আ.)-কে কী বলা হয়?

 উত্তর : মালাকুল মওত ।

প্রশ্ন ৩৭। যে সকল ফেরেশতা আমলনামা লিপিবদ্ধ করেন তাদের কী বলা হয়?

উত্তর : কিরামান কাতিবিন ।

প্রশ্ন ৩৮। জাহান্নাম কোন ফেরেশতা রক্ষণাবেক্ষণ করেন?

উত্তর : মালেক।

প্রশ্ন ৩৯। আল্লাহ কাদের মাধ্যমে জগৎসমূহ পরিচালনা করেন?

উত্তর : ফেরেশতাদের।

প্রশ্ন ৪০। সৃষ্টিগতভাবেই আল্লাহ কাদের অনুগত করেছেন?

উত্তর : ফেরেশতাদের।

প্রশ্ন ৪১। কাদের পানাহার ও বিশ্রামের প্রয়োজন হয় না?

উত্তর : ফেরেশতাদের।

প্রশ্ন ৪২। ফেরেশতাগণ কিসের তৈরি?

উত্তর : নূরের

প্রশ্ন ৪৩। আমরা কার উম্মাত?

উত্তর : শেষ নবি ও রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর। 

প্রশ্ন ৪৪। তাওরাত কার ওপর নাযিল হয়েছিল?

উত্তর : হযরত মূসা (আ.)।

প্রশ্ন ৪৫। যাবুর কার ওপর নাযিল হয়েছিল?

উত্তর : হযরত দাউদ (আ.)।

প্রশ্ন ৪৬। আল্লাহ তা'আলা কার ওপর আল-কুরআন নাযিল করেছেন?

উত্তর : হযরত মুহাম্মাদ (সা.)। 

প্রশ্ন ৪৭। হযরত ঈসা (আ.)-এর ওপর কোন কিতাব নাযিল হয়?

উত্তর : ইঞ্জিল।

প্রশ্ন ৪৮। নবি-রাসুলদের ওপর বিশ্বাস করা কী?

উত্তর : ফরয।

প্রশ্ন ৪৯। আল-কুরআন শব্দের অর্থ কী?. 

উত্তর : অধিক পঠিত ।

প্রশ্ন ৫০। প্রধান আসমানি কিতাব কতটি?

উত্তর : চারটি।

প্রশ্ন ৫১। সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ আসমানি কিতাব কী?

উত্তর : আল-কুরআন ।

প্রশ্ন ৫২। সহিফা বা ছোট কিতাব কতটি?

উত্তর : ১০০টি।

প্রশ্ন ৫৩। যরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর কোন কিতাব নাযিল হয়? 

উত্তর : আল-কুরআন।

প্রশ্ন ৫৪। সাধারণত কোনো ব্যক্তির নিকট গোপনে প্রেরিত সংবাদকে কী বলা হয়?

উত্তর : ওহি।

প্রশ্ন ৫৫। সকল আসমানি কিতাবের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা কী?

উত্তর : অপরিহার্য ও ইমানের অঙ্গ।

প্রশ্ন ৫৬। নবি ও রাসুলদের মধ্যে কে আল্লাহর পক্ষ থেকে আসমানি কিতাবপ্রাপ্ত হয়েছেন?

উত্তর : রাসুলগণ ।

প্রশ্ন ৫৭। কোন আসমানি কিতাব যাবতীয় বিকৃতি থেকে মুক্ত ও সুরক্ষিত?

উত্তর : আল-কুরআন।

প্রশ্ন ৫৮। কুরআনে কয়জন নবি-রাসুলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে?

উত্তর : ২৫ জন।

প্রশ্ন ৫৯। আল-ফুরকান শব্দের অর্থ কী? 

উত্তর : প্রমাণ বা দলিল । 

প্রশ্ন ৬০। দুই প্রকার ওহি কী কী?

উত্তর : ওহি মাতলু এবং ওহি গায়রে মাতলু।

প্রশ্ন ৬১। মহানবি (সা.)-এর বাণী, কাজ ও অনুমোদনকে কী বলে?

উত্তর : হাদিস।

প্রশ্ন ৬২। সর্বমোট আসমানি কিতাব কতটি?

উত্তর : ১০৪টি

 , ৭ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা আকাইদ ১ম অধ্যায় সকল সমাধান

৭ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা আকাইদ ১ম অধ্যায় সকল সমাধান

নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন

Telegram Group Join Now
Our Facebook Page Join Now
Class 8 Facebook Study Group Join Now
Class 7 Facebook Study Group Join Now
Class 6 Facebook Study Group Join Now
Join our Telegram Channel!
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.