আকাশ কত বড়? ৬ষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান অনুশীলন বই ২০২৪ ১ম অধ্যায় সম্পূর্ণ সমাধান (ছকসহ) - Akash Koto Bodo? Class 6 Science Exercise Book 2024 Chapter 1 Full Solution (With Tables)
আকাশ কত বড়? ৬ষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান অনুশীলন বই ২০২৪ - ১ম অধ্যায় - প্রথম সেশন পৃষ্ঠা ৬ সমাধান
দিনের বেলায় আকাশে কি কি দেখা যায়
- সূর্য
- নীল আকাশ
- সাদা ও কালো মেঘ
- বৃষ্টি
- পাখি
- রকেট
- রংধনু ইত্যাদি।
রাতের বেলায় আকাশে কি কি দেখা যায়
- চাঁদ
- তাঁরা বা নক্ষত্র
- ছায়াপথ
- উল্কাপিণ্ড
- গ্যালাক্সি
- গ্রহ
- উপগ্রহ ইত্যাদি।
একই ক্যাটাগরির অন্যান্য পোস্ট
আকাশ কত বড়? ৬ষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান অনুশীলন বই ২০২৪ - ১ম অধ্যায় - প্রথম সেশন পৃষ্ঠা ৭ সমাধান
আমার চোখে অন্যের আকাশ ছবি
আমার চোখে অন্যের আকাশ ছবি |
আকাশ কত বড়? ৬ষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান অনুশীলন বই ২০২৪ - ১ম অধ্যায় - দ্বিতীয় সেশন পৃষ্ঠা ৯ সমাধান
বিশ্বজগতের গঠন নিয়ে মানুষের ধারণা আগে কী ছিল?
উত্তর: প্রাচীনকালে মানুষ তার চারপাশের জগতকে দেখে খুব স্বাভাবিকভাবে ধারণা করে নিয়েছিল পৃথিবীটা নিশ্চয়ই সমতল এবং এই সমতল পৃথিবীকে উপুড় করে রাখা বাটির মত একটা আকাশ ঢেকে রেখেছে, সেই আকাশে মেঘ এবং চাঁদ সূর্য ও নানা ধরনের নক্ষত্র লাগানো থাকে যেগুলো পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরতে থাকে।
সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের ধারণা কীভাবে এলো?
উত্তর: কোপার্নিকাস ১৪৪৪ সালে প্রথমে তাঁর বইয়ে লিখেছিলেন পৃথিবী বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্র নয়, পৃথিবীসহ অন্য সব গ্রহ সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। বইটির প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই কোপার্নিকাসের মৃত্যু হয় বলে সেটি বিজ্ঞানীদের মহলে বেশি প্রচার লাভ করেনি। তবে কোপার্নিকাসের মৃত্যুর প্রায় ১০০ বছর পর তাঁর বইগুলো আবার প্রকাশিত হয় এবং হঠাৎ করে সেটি বিজ্ঞানীদের মহলে বিশাল আলোড়নের সৃষ্টি করে। গ্যালিলিও তখন টেলিস্কোপ ব্যবহার করে নিয়মিত মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারলেন কোপার্নিকাসের মতবাদটি সঠিক, সকল গ্রহ আসলে সূর্যকে ঘিরে ঘুরছে।
পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেল থেকে সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের ধারণায় বিবর্তনের পক্ষে যুক্তি কী কী ছিল?
উত্তর:
১. একটি গ্রহ যদি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে তাহলে সেটা কোনোভাবেই ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়, কিন্তু পৃথিবী এবং অন্য গ্রহগুলো যদি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তাহলে খুব সহজেই এই বিচিত্র গতি ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
২. গ্যালিলিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে নিয়মিত মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারেন সকল গ্রহ আসলে সূর্যকে ঘিরে ঘুরছে।
৩. মহাকর্ষ বলের সূত্র ব্যবহার করে সূর্যকে ঘিরে বিভিন্ন গ্রহের প্রদক্ষিণ নিখুঁতভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়।
আকাশ কত বড়? ৬ষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান অনুশীলন বই ২০২৪ - ১ম অধ্যায় - পঞ্চম সেশন পৃষ্ঠা ১৭ সমাধান
বাংলা বর্ষপঞ্জি | জ্যোতিষবিদ্যা বা ভাগ্যগণনা | |
---|---|---|
কীভাবে এল? | বাংলা বর্ষপঞ্জির বাংলা মাসগুলো নক্ষত্রমণ্ডলীর উদয়ের সাথে সম্পর্ক রেখে তৈরি করা হয়েছে। আমাদের প্রাচীন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আকাশের নক্ষত্রমণ্ডলীর সাথে মিলিয়ে করেছেন। | জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আকাশে নক্ষত্রের একটা ম্যাপ তৈরি করার জন্য নক্ষত্রমণ্ডলীকে ব্যবহার করে আকাশকে বারোটি ভাগে ভাগ করেন এবং নক্ষত্রমণ্ডলীর সাথে একটা করে ছবি কল্পনা করে তাদেরকে সেরকম নামও দিয়েছেন। ভাগ্য গণনার জন্য এই নক্ষত্রমণ্ডলীকে ব্যবহার করা হয়। |
কী কাজে ব্যবহার করা হয় | বাংলা বর্ষপঞ্জি দিন, তারিখ এবং ঋতু গননায় ব্যবহার করা হয়। | শুভ সময় ও অশুভ সময় নির্ণয় করার জন্য এবং মানুষের ভাগ্য নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। |
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কিনা? | বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে | বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই |
আকাশ কত বড়? ৬ষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান অনুশীলন বই ২০২৪ - ১ম অধ্যায় - ষষ্ঠ সেশন পৃষ্ঠা ১৮ সমাধান
প্রচলিত অবৈজ্ঞানিক চর্চা বা কুসংস্কার | প্রচলিত অবৈজ্ঞানিক চর্চা বা কুসংস্কার হলো ভাগ্য গণনা, শুভ সময় এবং অশুভ সময় নির্ণয় করা। | আমরা চারপাশে অনেক মানুষ দেখেছি যারা এখনো ভাগ্য গণনায় বিশ্বাস করে। |
নির্দিষ্ট ঘটনা বা প্রমাণ, যেখানে এই চর্চার নজির দেখেছ | মামাতো বোনের বিয়ের জন্য জ্যোতিষির কাছে পাত্রের বিবরণ ও ভবিষ্যতে তাদের জীবনের ভালো খারাপ দিক জানতে চাওয়া। | গ্রামাঞ্চলে নিরক্ষর ও কুসংস্কারে বিশ্বাসী মানুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। |
অবৈজ্ঞানিক বা কুসংস্কারপ্রসূত মনে করার পেছনে যুক্তি কী কী? | একেকজন জ্যোতিষি একেক রকম ভবিষ্যত্রে গননা করেন। তাদের এই ভাগ্য গননার সত্যতা পরিক্ষার কোন উপায় নেই। | বিজ্ঞান হলো প্রকৃতি সম্পর্কিত জ্ঞান যা পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাকৃতিক ঘটনাকে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করে। |
তোমার দায়িত্ব কী হওয়া উচিত? | আমার দায়িত্ব যারা গণনায় বিশ্বাস করে তাদের বোঝানো এসবের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। | বৈজ্ঞানিক ধারণার সুফল এবং কুসংস্কারের ভিত্তিহীনতা বন্ধুদের সাথে আলোচনা করা। |
আকাশ কত বড়? ৬ষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান অনুশীলন বই ২০২৪ - ১ম অধ্যায় - ষষ্ঠ সেশন পৃষ্ঠা ১৯ সমাধান
আকাশের দিকে তাকালে এখন নতুন কী কী চোখে পড়ছে, বা নতুন কী চিন্তা মাথায় আসছে? | আকাশের দিকে তাকালে এখন ছায়াপথ ও ধ্রুবতারা চোখে পড়ছে। আমার মাথায় একটি প্রশ্ন ঘুরপাক করছে প্রশ্নটি হচ্ছে যদি মহাবিশ্ব সম্প্রসারণ ঘটে তবে ধ্রুবতারা পৃথিবী থেকে দূরে সরে যায় না কেন? সেটি নির্দিষ্ট জায়গায় স্থির থাকে কেন? |
এই বিষয়ে আর কী কী প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে? | ১. নক্ষত্রের জ্বালানি ফুড়িয়ে গেলে কি হবে?
২. মহাবিশ্বের সকল নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে কি গ্রহ উপগ্রহ ঘুরছে? ৩. মহাবিশ্বে কি আর কোথাও প্রানের অস্তিত্ব আছে? |