১০০টি অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

১০০টি অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, অর্থনীতি কাকে বলে?, অর্থনৈতিক উন্নয়ন কী, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্তগুলো কী কী?, উন্নয়নশীল দে
Follow Our Official Facebook Page For New Updates


Join our Telegram Channel!

১০০টি অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (100 Economics Important Short Questions & Answers)


১০০টি অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

আজকে আমি আপনাদের অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর শেয়ার করব। যা বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রায় সময় আসতে দেখা যায়। 
আশা করি প্রশ্নগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আজকের অধ্যায় হলো সামষ্টিক অর্থনীতির পরিস্থিতি সম্পর্কে।


প্রশ্ন : অর্থনীতি কাকে বলে?

উত্তর : অর্থনীতি শব্দটি ইংরেজি 'Economics' শব্দের প্রতিশব্দ। Economics শব্দটি গ্রিক শব্দ 'Oikonomia' থেকে উদ্ভূত যার অর্থ গৃহস্থালী পরিচালনা

অর্থনীতি এমন একটি পরিবর্তনশীল সমাজ বিজ্ঞান যা মানুষের অসীম অভাব এবং বিকল্প ব্যবহার যোগ্য সীমিত সম্পদের মাঝে সমন্বয় সাধন করে।


১. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কী?

উত্তর: অর্থনীতির কাঠামোগত কোন পরিবর্তন ছাড়াই যে কোন একটি খাতের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে যদি কোন দেশের জাতীয় আয় 

বৃদ্ধি পায় তবে তাকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বলে। প্রবৃদ্ধি দ্বারা পরিমাণগত পরিবর্তন নির্দেশ করা হয়। প্রবৃদ্ধি পরিমাপ সাধারণত এক বছরের জন্য করা হয়।


আরো পড়ুন: বাংলাদেশের মৌলিক অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য, সমস্যা ও সমাধান


২. অর্থনৈতিক উন্নয়ন কী?

উত্তর: দীর্ঘমেয়াদে ধারাবাহিকভাবে একটি দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ও জীবনযাত্রার মানের বৃদ্ধির সাথে সাথে দেশের আর্থসামাজিক কাঠামোর পরিবর্তন, জনগণের দৃষ্টিভঙ্গির অনুকূল পরিবর্তন এবং 

নতুন নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে তার প্রয়োগ ঘটলে তাকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলা হয়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন একটি গুণগত পরিবর্তন নির্দেশ করে এবং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া


৩. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি একটি দেশের অর্থনীতির কিরূপ পরিবর্তন নির্দেশ করে?

উত্তর: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি একটি দেশের অর্থনীতির পরিমাণগত পরিবর্তন নির্দেশ করে। 


8. অর্থনৈতিক উন্নয়ন একটি দেশের অর্থনীতির কিরূপ পরিবর্তন নির্দেশ করে?

উত্তর: অর্থনৈতিক উন্নয়ন একটি দেশের অর্থনীতির গুণগত পরিবর্তন নির্দেশ করে।

 

৫. অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিমাপের সূচকগুলো কী কী?

উত্তর: অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিমাপের সূচকগুলো হলো : 
i. জাতীয় আয়; 
ii. মাথাপিছু আয়; 
iii. নীট অর্থনৈতিক কল্যাণ;
iv. মানব উন্নয়নসূচক

(অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)

৬. অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্তগুলো কী কী?

উত্তর: অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্তগুলো হলো :
ক. অর্থনৈতিক পূর্বশর্ত : 
i. পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ; 
ii. দক্ষ মানব সম্পদ; 
iii. মূলধনের পর্যাপ্ততা; 
iv. দক্ষ উদ্যোক্তা শ্রেণী; 
v. আর্থসামাজিক অবকাঠামো; 
vi. উন্নত প্রযুক্তি ও কারিগরি কৌশল; 
vii. বিস্তৃত বাজার; 
viii. পর্যাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি। 
খ. অ-অর্থনৈতিক পূর্বশর্ত : 
i. জনগণের অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি; 
ii. সামাজিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান;
iii. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা [N. B. পরীক্ষায় ২টি বা ৪টি লিখতে থাকতে পারে]


৭. অনুন্নত দেশ বলতে কী বুঝ ?

উত্তর: উন্নত দেশগুলোর তুলনায় যেসব দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় খুব কম, জীবনযাত্রার মান অনেক নিচু এবং উন্নয়নের সম্ভাবনা সত্ত্বেও প্রকৃত অর্থে কোন উন্নয়ন সাধিত হয় নি সেসব দেশকে অনুন্নত দেশ বলে। 


৮. উন্নয়নশীল দেশ বলতে কী বুঝ ?

উত্তর : যেসব দেশ উন্নয়নের জন্য এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির জন্য সচেষ্ট রয়েছে, ক্রমেই উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে উন্নয়নের আরো সম্ভাবনা আছে সেসব দেশকে উন্নয়নশীল দেশ বলা হয়।


৯. স্বল্পোন্নত দেশ বলতে কী বুঝ?

উত্তর: ঐ সমস্ত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ বলা হয়, যেসব দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ও জীবনযাত্রার মান বাড়লেও উন্নত দেশের তুলনায় কম এবং উন্নত দেশগুলোর মতো উন্নয়ন না হলেও বেশ কিছুটা অগ্রসর হয়েছে।


১০. উন্নত দেশ বলতে কী বুঝ ?

উত্তর : যেসব দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় খুব বেশি, জীবনযাত্রার মান খুব উঁচু এবং আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের ও প্রযুক্তিবিদ্যার অব্যাহত বিকাশ ঘটে এবং উৎপাদন ব্যবস্থা প্রতিনিয়তই উন্নততর হয় সেসব দেশকে উন্নত দেশ বলা হয়।


১১. বাংলাদেশ কোন ধরনের দেশ? 

উত্তর: বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ।


১২. বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?

উত্তর: বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যগুলো : 
i. দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র; 
ii. অনুন্নত কৃষি ব্যবস্থা; 
iii. শিল্পের অনগ্রসরতা; 
iv. প্রাথমিক খাতের প্রাধান্য; 
v. অনুন্নত মানব সম্পদ; 
vi. প্রাকৃতিক সম্পদের স্বল্পতা, 
vii. মূলধনের অভাব; 
viii. সঞ্চয় ও বিনিয়োগের স্বল্পতা; 
ix. শিক্ষার অনগ্রসরতা; 
x. দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, 
xi. অনুন্নত আর্থসামাজিক অবকাঠামো; 
xii. লেনদেন ভারসাম্যের প্রতিকূলতা; 
xiii. খাদ্য ঘাটতি; 
xiv. বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্যের উপর নির্ভরশীলতা; 
xv. শ্রম ও শ্রমনিবিড় দ্রব্য রপ্তানি; 
xvi. প্রযুক্তি ও মূলধনী দ্রব্যের আমদানির উপর নির্ভরশীলতা, 
xvii. মিশ্র অর্থনীতি। 


১৩. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাধাগুলো কী ? 

উত্তর: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাধাগুলো হলো : 
i. প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব; 
ii. মূলধনের অভাব; 
iii. দক্ষ X. শ্রমশক্তির অভাব;
 iv. দক্ষ উদ্যোক্তা শ্রেণীর অভাব; 
v. কারিগরি জ্ঞান ও প্রযুক্তির অভাব; 
vi. অনুন্নত আর্থসামাজিক অবকাঠামো; 
vii. বাজারের সংকীর্ণতা; 
viii. জনগণের প্রতিকূল দৃষ্টিভঙ্গি; 
ix. প্রতিকূল সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি; জনসংখ্যার আধিক্য; 
xi. প্রাকৃতিক দুর্যোগ; 
xii. বৃহদায়তন উৎপাদনের অভাব; 
xiii. ব্যাপক বেকারত্ব; 
xiv, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব; 
xv. সুশাসনের অভাব। [N.B. পরীক্ষায় ২টি বা ৪টি লিখতে থাকতে পারে]


১৪. মানব উন্নয়ন সূচক কী?

উত্তর: সাম্প্রতিক কালে জাতিসংঘ কর্তৃক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিমাপের যে নতুন উপায়ের কথা বলা হয়েছে তা মানব উন্নয়ন সূচক নামে পরিচিত। 

এ পদ্ধতিতে একটি দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান দ্বারা উন্নয়ন পরিমাপ করা হয়। 

আর জীবনযাত্রার মান নির্ণয়ে নাগরিকদের আয়ুষ্কাল, সাক্ষরতার হার এবং ক্রয় ক্ষমতাকে বিবেচনায় নেয়া হয়।

(অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)

১৫. জাতীয় আয় কী? 

উত্তর: কোন নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে একটি দেশের উৎপাদনের সকল উপকরণ উৎপাদন কাজে নিয়োজিত হয়ে মোট যে পরিমাণ 

বস্তুগত ও অবস্তুগত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্ম উৎপাদন করে চলতি বাজার দামে তার আর্থিক মূল্যকে জাতীয় আয় বলা হয়।


১৬. ভোগ কী?

উত্তর: ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রব্য ও সেবাকর্মের উপযোগ নিঃশেষ করাকে ভোগ বলা হয়। সামষ্টিক অর্থনীতিতে ভোগ ধারণাটি দেশের সকল নাগরিকের ভোগ ব্যয় হিসেবে বিবেচিত হয়।


১৭. সঞ্চয় কী?

উত্তর: ব্যয়যোগ্য আয় থেকে ভোগ ব্যয় বাদ দিলে যা পাওয়া যায় তাকে সঞ্চয় বলা হয় । অর্থাৎ, S = Y - C, এখানে S = সঞ্চয়, Y = আয় এবং C = ভোগ ব্যয়। সামষ্টিক অর্থনীতিতে সঞ্চয় বলতে দেশের সকল মানুষের মোট সঞ্চয়কে বুঝানো হয়।


১৮. বিনিয়োগ বলতে কী বুঝ ?

উত্তর: একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের (বছরের) শুরুতে উৎপাদন কাজে নিয়োজিত মূলধন সামগ্রীর সাথে মেয়াদান্তে (বা বছরের শেষে) 

যে অতিরিক্ত মূলধন সামগ্রী সংযোজিত হয় তাকে বিনিয়োগ বলে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বলতে দেশের সকল ক্ষেত্রের মোট বিনিয়োগ ব্যয়কে বুঝানো হয়ে থাকে।


১৯. মুদ্রাস্ফীতি কী? 

উত্তর: কোন দেশের অভ্যন্তরে দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের দামস্তর ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে সে অবস্থাকে মুদ্রাস্ফীতি বলা হয়। 

দেশে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি, মজুরি বৃদ্ধি, উপকরণের দাম বৃদ্ধি, যোগানের তুলনায় চাহিদার বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি হয়।

(অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)

২০. রাজস্বনীতি কী?

উত্তর: সরকারের আয়ব্যয় ও ঋণ সংক্রান্ত নীতিকে রাজস্বনীতি বলে। অর্থাৎ কর আদায়, ঋণ গ্রহণ এবং অন্যান্য সকল প্রকার আয়ব্যয়ের পরিচালনার জন্য সরকার যে নীতি গ্রহণ করে থাকে তাকে রাজস্বনীতি বলা হয়।


আরো পড়ুন: বাজেট কী? বাজেটের গুরুত্ব, অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাজেটের ভূমিকা


২১. আর্থিক নীতি কী?

উত্তর: কোন দেশের সরকার যেসব নীতিমালার মাধ্যমে দেশে অর্থের যোগান নিয়ন্ত্রণ, ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ এবং মুদ্রা ব্যবস্থা পরিচালন করে তাকে আর্থিক নীতি বলা হয়।


২২. মুদ্রা কী? অথবা অর্থ কী?

উত্তর: যে বস্তু বিনিময়ের মাধ্যম, মূল্যের পরিমাপক, স্থগিত লেনদেনের মান এবং সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে কাজ করে তাকে মুদ্রা বা অর্থ বলা হয়। সাধারণত মুদ্রা রাষ্ট্রের আইনসম্মত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রচলিত এবং সর্বসাধারণ কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে।

 (অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)


২৩. সরকারি ঋণ কী?

উত্তর: সাময়িক বাজেট ঘাটতি পূরণ, জরুরি অবস্থার মোকাবিলা, প্রশাসন পরিচালনা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যখন একটি দেশের সরকার দেশের অভ্যন্তরে জনগণ, 

বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের নিকট থেকে অথবা বিদেশি নাগরিক, প্রতিষ্ঠান বা সরকারের নিকট থেকে ঋণ গ্রহণ করে তখন ঐ ঋণকে সরকারি ঋণ বলা হয়।


২৪. সুদের হার কী? 

উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ যে সুদের হারে মক্কেলদের বা ব্যবসায়ীদের অর্থ ধার দেয় তাকে সুদের হার বলা হয়। অর্থাৎ এক বছরে একশ টাকার যত সুদ হয় তাকে সুদের হার বলে।


২৫. ঋণ (Credit) কী ?

উত্তর: ল্যাটিন 'cre' 'do' বা 'Kra' 'do' শব্দের অপভ্রংশ হলো 'Credit ' শব্দটি। 'Credit শব্দের বাংলা অর্থ হলো 'ঋণ' বা 'বিশ্বাস'। 

ভবিষ্যতে পণ্যদ্রব্যের মূল্য পরিশোধ করা হবে এ অঙ্গীকারে পণ্যদ্রব্য ক্রয়বিক্রয় করাকে ঋণ কারবার বলে। বর্তমানে ব্যাংক ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের মক্কেলদের বা ব্যবসায়ীদের যে অর্থ ধার দেয় তাকে ঋণ বলে।


২৬. মূলধন বাজার বলতে কী বুঝ ?

উত্তর: দীর্ঘমেয়াদি ঋণের বাজারকে মূলধন বাজার বলা হয়। এ বাজারে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বিশেষত কর্পোরেশনগুলো শেয়ার বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি বিক্রয় করে মূলধন সংগ্রহ করে থাকে।

(অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)


২৭. "মুদ্রা বাজার কী?

উত্তর: স্বল্পমেয়াদি ঋণের বাজারকে মুদ্রা বাজার বলা হয়। স্বল্পমেয়াদি ঋণপত্র যথা: ট্রেজারি বিল, প্রতিশ্রুতি পত্র, 

সঞ্চয় সার্টিফিকেট ইত্যাদি মুদ্রা বাজারে ঋণের আদানপ্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। অর্থনীতির সর্বত্র স্বল্পমেয়াদি ঋণের দাতা ও গ্রহীতার সমন্বয়ে মুদ্রা বাজার গঠিত হয়।


২৮. রপ্তানি কী?

উত্তর: দেশের উৎপাদিত পণ্য (দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে বিদেশের কাছে বিক্রয় করাকে রপ্তানি বলা হয়। 


২৯. আমদানি কী?

উত্তর: বিদেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে দ্রব্য ও সেবাসামগ্রী ক্রয় করে দেশে আনয়ন করাকে আমদানি বলা হয়।
 

৩০. বৈদেশিক কর্মসংস্থান কাকে বলে ?

উত্তর: অর্থের সুবিধার পরিবর্তে শ্রমশক্তির ব্যবহার হচ্ছে কর্মসংস্থান। অর্থাৎ প্রচলিত মজুরিতে কোন কর্মক্ষেত্রে একজন শ্রমিকের কর্মে নিয়োজিত হওয়াকে কর্মসংস্থান বলে। 

আর বহির্বিশ্বের কোন দেশে তথা বিদেশে দেশীয় শ্রমিকদের কর্ম লাভ করাকে বৈদেশিক কর্মসংস্থান বলা হয়।


৩১. রেমিট্যান্স কী?

উত্তর: বিদেশে কর্মরত শ্রমিকরা তাদের উপার্জিত অর্থ তথা বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরণ করে থাকে। শ্রমিকদের পাঠানো এ বৈদেশিক মুদ্রাকে রেমিট্যান্স বলা হয়।


৩২. লেনদেনের ভারসাম্য কী?

উত্তর: একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি দেশের সাথে অন্যান্য দেশের দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান দ্রব্য ও সেবাসামগ্রীর লেনদেনের হিসাবকে লেনদেনের ভারসাম্য বলে। 

অর্থাৎ আমদানি, রপ্তানি এবং যাবতীয় আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক লেনদেনের সাথে সংশ্লিষ্ট পাওনা ও দেনার ধারাবাহিক বার্ষিক হিসাবকে লেনদেনের ভারসাম্য বলা হয়।

(অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)


৩৩. বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কী?

উত্তর: আমদানি ব্যয় নির্বাহ এবং অন্যান্য বৈদেশিক দেনা-পাওনা মিটানোর জন্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যে বৈদেশিক মুদ্রা জমা (রিজার্ভ) রাখা হয় তাকেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বলা হয়। 

বাংলাদেশে সাধারণত মার্কিন ডলারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখা হয়।


৩৪. বিনিময় হার কী?

উত্তর: বিনিময় হার বলতে মূলত বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারকে বুঝানো হয়। বৈদেশিক দেনা-পাওনা মিটানোর জন্য এক দেশের মুদ্রা সাধারণত অপর দেশে গ্রহণ করা হয় না। 

এ কারণে এক দেশের মুদ্রাকে অপর দেশের মুদ্রায় পরিবর্তন করতে হয়। যে হারে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার পরিবর্তন বা বিনিময় হয় তাকেই বিনিময় হার বা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বলে।


৩৫. মানব সম্পদ উন্নয়ন কী?

উত্তর: একটি দেশের শ্রমশক্তির উৎপাদনমুখী ক্ষমতার উন্নয়নই হচ্ছে মানব সম্পদ উন্নয়ন। অর্থাৎ উৎপাদনের বিভিন্নক্ষেত্রে মানুষের কর্মদক্ষতা সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে 

মানুষের অন্তর্নিহিত বিভিন্ন কর্মগুণ উন্নত ও বিকশিত করে তোলাই হচ্ছে মানব সম্পদ উন্নয়ন।


৩৬. দারিদ্র্য বিমোচন কী? 

উত্তর: দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী দেশের সাধারণ নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়নকে দারিদ্র্য বিমোচন বলা হয় ।

৩৭. দারিদ্র বিমোচন কৌশল কাকে বলে? 

উত্তর: দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল বলতে ঐসব পদ্ধতি বা কর্মসূচিকে বুঝায় যা অবলম্বনের মাধ্যমে একটি দেশের দ্ররিদ্র্য জনগোষ্ঠীকে দ্রুত দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।


৩৮. আই এম এফ এর World Economic out look April 2011 অনুযায়ী ২০১০ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার কত?

উত্তর: আই এম এফ - এর World Economic out look April 2011 অনুযায়ী ২০১০ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৫%।


৩৯. World Economic out look April 2011 অনুযায়ী ২০১০ সালে উন্নত অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার কত?

উত্তর: World Economic out look April 2011 অনুযায়ী ২০১০ সালে উন্নত অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ৩%।


৪০. World Economic out look April 2011 অনুযায়ী বিকাশমান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ২০১০ সালে কত? 

উত্তর: World Economic out look April 2011 অনুযায়ী বিকাশমান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ২০১০ সালে ৭.৩%।


৪১. World Economic out look April 2011 অনুযায়ী ২০১০ সালে উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার কত? 

উত্তর: World Economic out look April 2011 অনুযায়ী ২০১০ সালে উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ৯.৫%। 


৪২. ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের GDP -প্রবৃদ্ধির হার কত?

উত্তর: ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের GDP-প্রবৃদ্ধির হার ৫.৭৪%।


৪৩. ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশের GDP-প্রবৃদ্ধির হার কত?

উত্তর: ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশের GDP-প্রবৃদ্ধির হার ৬.০৭%। 


৪৪. ২০১০-১১ অর্থবছরে সাময়িক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের GDP-প্রবৃদ্ধির হার কত?

উত্তর: ২০১০-১১ অর্থবছরে সাময়িক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের GDP -প্রবৃদ্ধির ৬.৬৬%। 


৪৫. ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশে কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধির হার কত ছিল?

উত্তর: ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশের কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধির হার ৫.২৪%।

(অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)


৪৬. ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশে শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধির হার কত ছিল? 

উত্তর: ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশের শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৪৯%।


৪৭. ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশে সেবাখাতে প্রবৃদ্ধির হার কত ছিল? 

উত্তর: ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশের সেবাখাতে প্রবৃদ্ধির হার ৬.৪৭%।


৪৮. ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশে কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধির হার কত ছিল?

উত্তর: ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশের কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধির হার ৪.৯৬%।


৪৯. ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশে শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধির হার কত ছিল?

উত্তর: ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশের শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮.১৬%।


৫০. ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশে সেবাখাতে প্রবৃদ্ধির হার কত ছিল?

উত্তর: ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশের সেবাখাতে প্রবৃদ্ধির হার ৬.৬৩%।


৫১. বাংলাদেশে কৃষিখাতে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে সরকারি সহায়তাগুলো কী?

উত্তর: বাংলাদেশে কৃষিখাতে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে সরকারি সহায়তাগুলো হলো- পর্যাপ্ত ভর্তুকি প্রদান, সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, 

কৃষিঋণের প্রবাহ বৃদ্ধি, প্রতিকূল আবহাওয়া ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু বীজ উদ্ভাবন এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিকাশে সহায়তা প্রদান ইত্যাদি। 


৫২. বাংলাদেশে ২০১০-১১ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় কত?

উত্তর: বাংলাদেশে ২০১০-১১ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় ৮১৮ মার্কিন ডলার। 


৫৩. বাংলাদেশে ২০১০-১১ অর্থবছরে মাথাপিছু GDP কত?

উত্তর: বাংলাদেশে ২০১০-১১ অর্থবছরে মাথাপিছু GDP ৭৫৫ মার্কিন ডলার।

৫৪. বাংলাদেশে ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশজ সঞ্চয় কত ছিল? 

উত্তর: বাংলাদেশে ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশজ সঞ্চয় ছিল GDP'র ২০.১০ শতাংশ।


৫৫. ২০১০-১১ অর্থবছরে সাময়িক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে দেশজ সঞ্চয় কত ?

উত্তর: ২০১০-১১ অর্থবছরে সাময়িক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে দেশজ সঞ্চয় ১৯.৫৯ শতাংশ।


৫৬. বাংলাদেশে ২০১০-১১ অর্থবছরে বিনিয়োগ GDP'র কত শতাংশ?

উত্তর: বাংলাদেশে ২০১০-১১ অর্থবছরে বিনিয়োগ GDP'র ২৪.৭৩ শতাংশ। 

(অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)


৫৭. বাংলাদেশে ২০১০-১১ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ GDP'র কত অংশ?

উত্তর: বাংলাদেশে ২০১০-১১ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ GDP'র ১৯.৪৬ শতাংশ।


৫৮. বাংলাদেশে ২০১০-১১ অর্থবছরে সরকারি বিনিয়োগ GDP-র কত শতাংশ? 

উত্তর : বাংলাদেশে ২০১০-১১ অর্থবছরে সরকারি বিনিয়োগ GDP'র ৫.২৮%।


৫৯. ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশে জাতীয় সঞ্চয় কত?

উত্তর : ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশে জাতীয় সঞ্চয় জি. ডি. পি-র ২৮.৪০%।


৬০. বাংলদেশে ২০০৯-১০ অর্থবছরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার কত ছিল?

উত্তর: বাংলাদেশে ২০০৯-১০ অর্থবছরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি হার ছিল ৭.৩১%।


৬১. ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই/১০-মার্চ/১১) সার্বিকভাবে গড় মূল্যস্ফীতি কত?

উত্তর: ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই/১০ মার্চ/১১) সার্বিকভাবে গড় মূল্যস্ফীতি ৮.১৭%।

 

৬২. মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য সরকার কী কী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ?

উত্তর: মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য সরকারের গৃহীত প্রশাসনিক ব্যবস্থাগুলো হলো: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং, খোলা বাজার 

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী বিক্রি (OMS) এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত গড়ে তোলা ।


৬৩. মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত রাজস্ব ব্যবস্থাগুলো কী কী?

উত্তর: মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত রাজস্ব ব্যবস্থাগুলো হলো: নিত্যপ্রয়োজনীয় কতিপয় পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস ও 

পুনর্বিন্যাস এবং কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে কৃষি উপকরণের (যেমন- সার, বীজ, সেচের জন্য ব্যবহৃত বিদ্যুৎ) উপর ভর্তুকি প্রদান। 


৬৪. ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশে রাজস্ব আহরণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা কত নির্ধারণ করা হয়?

উত্তর: ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশে রাজস্ব আহরণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৯৫,১৮৮ কোটি টাকা।


৬৫. বাংলাদেশে ২০১০-১১ অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট ব্যয় কত ধরা হয়?

উত্তর: বাংলাদেশে ২০১০-১১ অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয় ১,৩২,১৭০ কোটি টাকা।


৬৬. ২০১০-১১ অর্থবছরের মূল বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয় এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যয় কত ধরা হয়? 

উত্তর: ২০১০-১১ অর্থবছরের মূল বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয় এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যয় ধরা হয় যথাক্রমে ৯৭,১৭০ কোটি টাকা এবং ৩৮,০০০ কোটি টাকা।


৬৭. ২০১০-১১ অর্থবছরে মূল বাজেট ঘাটতি কত ধরা হয়? 

উত্তর: ২০১০-১১ অর্থবছরে মূল বাজেট ঘাটতি ধরা হয় ৩৯,৩২৩ কোটি টাকা যা GDP'র ৫%।


৬৮. ২০১০-১১ অর্থবছরে ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে কত টাকা সংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ?

উত্তর: ২০১০-১১ অর্থবছরে ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৯,৮৭১ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ২৪,৮১৭ কোটি টাকা সংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।


৬৯. বাংলাদেশে ২০০৯-১০ অর্থবছর শেষে ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ কত শতাংশ বৃদ্ধি পায়?

উত্তর: বাংলাদেশে ২০০৯-১০ অর্থবছর শেষে ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ ২২.৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।


৭০. ২০০৯-১০ অর্থবছর শেষে দেশে ব্যাপক মুদ্রা স্থিতি কত ছিল?

উত্তর: ২০০৯-১০ অর্থবছর শেষে দেশে ব্যাপক মুদ্রা স্থিতি ছিল ৩,৬৩,০৩১ কোটি টাকা। 


৭১. ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশে অভ্যন্তরীণ ঋণ কত শতাংশ বৃদ্ধি পায়?

উত্তর: ২০০৯-১০- অর্থবছরে দেশে অভ্যন্তরীণ ঋণ ১৭.৮৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। 


৭২.  GSP-এর পূর্ণ অভিব্যক্তি লিখ।

উত্তর: GSP-এর পূর্ণ অভিব্যক্তি হলো : Generalised System of Preference. 


৭৩. ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশের কত জনশক্তি বিদেশে গমন করে?

উত্তর: ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশের ৪.২৭ লক্ষ্য জনশক্তি বিদেশে গমন করে।

(অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)


৭৪. ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশে মোট কত রেমিট্যান্স প্রবাহ এসেছে?

উত্তর: ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশে মোট ১০,৯৮৭.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স প্রবাহ এসেছে।


৭৫. বিশ্বব্যাংক-এর Migration and Remitance Trends 2009 প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৮ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কততম?

উত্তর: বিশ্বব্যাংক-এর Migration and Remitance Trends 2009 প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৮ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। 


৭৬. বিশ্বব্যাংকের রেমিট্যান্স সংক্রান্ত ডাটাবেস অনুযায়ী ২০০৯ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কততম?

উত্তর: বিশ্বব্যাংকের রেমিট্যান্স সংক্রান্ত ডাটাবেস অনুযায়ী ২০০৯ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ম। 


৭৭. বিশ্বব্যাংকের Migration and Remitances Factbook 2011 অনুযায়ী বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কততম?

উত্তর: বিশ্বব্যাংকের Migration and Remitances Factbook 2011 অনুযায়ী বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম।


৭৮. ২০০৯-১০ অর্থবছরের শেষে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কত?

উত্তর: ২০০৯-১০ অর্থবছরের শেষে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০,৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।


৭৯. ৩ মে ২০১১ মাসে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কত?

উত্তর: ৩ মে ২০১১ মাসে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১১,৩৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 


৮০. NEER -এর পূর্ণ অভিব্যক্তি লিখ ।

উত্তর :NEER-এর পূর্ণ অভিব্যক্তি হলো : Nominal Effective Exchange Rate.


৮১. REER -এর পূর্ণ রূপ লিখ।

উত্তর: REER -এর পূর্ণ রূপ হলো: Real Effective Exchange Rate.


৮২. রাজস্ব সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ক'টি Dedicated Bench স্থাপন করা হয়েছে?

উত্তর: রাজস্ব সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৪ (চার) টি Dedicated Bench স্থাপন করা হয়েছে।


৮৩. কখন হতে ব্যাংকিং খাতে Regulatory Requirement হিসেবে মূলধন রূপরেখার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে?

উত্তর: জানুয়ারি ২০১০ হতে ব্যাংকিং খাতে Regulatory Requirement হিসেবে মূলধন রূপরেখার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।


৮৪. আন্তর্জাতিক ঋণ মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান Standard and Poor's (S&P) এবং Mood's কত সালে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো তাদের সার্বভৌম ঋণ মান তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে?

উত্তর : আন্তর্জাতিক ঋণ মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান Standard and Poor's (S&P) এবং Mood's ২০১০ সালে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো তাদের সার্বভৌম ঋণ মান তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।


৮৫. বিশ্বব্যাংক -এর আই এফ সি কর্তৃক প্রকাশিক Doing Business-2011 প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৮৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কততম?

 উত্তর: বিশ্বব্যাংক -এর আই এফ সি কর্তৃক প্রকাশিক Doing Business-2011 প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৮৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৭তম। (২০১০ সালে ছিল ১১১তম)।


৮৬. কত সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে?

উত্তর: ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরি করার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

৮৭. দেশের ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মেয়াদ কত হবে?

উত্তর: দেশের ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মেয়াদ হবে ২০১১-২০১৫। 


৮৮. MDG এর পূর্ণরূপ লিখ।

উত্তর: MDG এর পূর্ণরূপ হচ্ছে - Millennium Development Goals. অর্থ, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা। 


৮৯. বর্তমানে (২০১০) বাংলাদেশে দারিদ্র্য রেখার নিচে অবস্থানকারী জনসংখ্যার হার কত?

উত্তর: বর্তমানে (২০১০) বাংলাদেশে দারিদ্র্য রেখার নিচে অবস্থানকারী জনসংখ্যার হার ৩১.৫%। 

(অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)


৯০. বর্তমানে দেশের কতটি উপজেলায় ডায়ালআপ ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে?

উত্তর: বর্তমানে দেশের ৪৫৫টি উপজেলায় ডায়ালআপ ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।


৯১. ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর জন্য দেশের কতটি জেলা ও উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ প্রদান করা হয়েছে? 

উত্তর: ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর জন্য দেশের ১৫টি জেলা ও ২৫টি উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।


৯২. PPP-এর পূর্ণরূপ লিখ।

উত্তর: PPP এর পূর্ণরূপ হচ্ছে- Public Private Partnership. অর্থ, সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব।


৯৩. ২০০৯-১০ এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টফান্ডে মোট কত টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে?

উত্তর: ২০০৯-১০ এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টফান্ডে মোট ১,৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।


৯৪. জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টফান্ডের আওতায় কতটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে ?

উত্তর: জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টফান্ডের আওতায় ৪৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।


৯৫. উন্নয়ন সহযোগী দেশসমূহ বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তার জন্য কত ডলারের তহবিল গঠন করেছে?

উত্তর: উন্নয়ন সহযোগী দেশসমূহ বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তার জন্য ১১৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল গঠন করেছে।


৯৬. জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য উন্নয়ন সহযোগী দেশসমূহ কর্তৃক গঠিত তবিলের নাम কী?

উত্তর : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য উন্নয়ন সহযোগী দেশসমূহ কর্তৃক গঠিত  তহবিলের নাম হলো Bangladesh Climate Change Resilience Fund (BCCRF). 


৯৭. MTMF-এর পূর্ণ রূপ লিখ। 

উত্তর: MTMF-এর পূর্ণ রূপ হলো: Medium Term Macroeconomic Framework. 


৯৮. ECF এর পূর্ণ অভিব্যক্তি লিখ । 

উত্তর: ECF এর পূর্ণ অভিব্যক্তি হলো: Extended Credit Facility.


৯৯. PRSC-এর পূর্ণ রূপ লিখ।

উত্তর: PRSC-এর পূর্ণরূপ হলো Poverty Reduction Support Credit.


১০০. EPZ এর পূর্ণ রূপ কী?

উত্তর: Export Processing Zone.


(অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর), (অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)(অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)(অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)(অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)(অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)অর্থনীতির গুরত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)

 

নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন

Telegram Group Join Now
Our Facebook Page Join Now
Class 8 Facebook Study Group Join Now
Class 7 Facebook Study Group Join Now
Class 6 Facebook Study Group Join Now
Join our Telegram Channel!
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.