খেলাধুলায় গড়ি সুস্থ ও সুন্দর জীবন - ৭ম শ্রেণি স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ২য় অধ্যায় সমাধান

4
ফেইসবুকে আমাদের সকল আপডেট পেতে Follow বাটনে ক্লিক করুন।




খেলাধুলায় গড়ি সুস্থ ও সুন্দর জীবন - ৭ম শ্রেণি স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ২য় অধ্যায় সমাধান

খেলাধুলায় গড়ি সুস্থ ও সুন্দর জীবন - ৭ম শ্রেণি স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ২য় অধ্যায় সমাধান

খেলাধুলায় গড়ি সুস্থ ও সুন্দর জীবন:

খেলার অধ্যায় খেলা দিয়েই শুরু হোক

আমরা সবাই মিলে খেলায় অংশগ্রহণ করেছি। খেলায় অংশগ্রহণ করার পরে আমরা শ্রেণিতে আমাদের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি।

এবার দলে বসে আমরা ইনডোর এবং আউটডোরে যে খেলাগুলো খেলি এবং খেলতে দেখি তা নিয়ে আলোচনা করি। ইনডোর খেলা হলো যেগুলো আমরা বদ্ধ জায়গায় বা ঘরের ভিতরে খেলি। যেমন লুডু, ক্যারম, দাবা ইত্যাদি। আউটডোর খেলা হলো যেগুলো আমরা ঘরের বাইরে বা খোলা জায়গায় বা মাঠে খেলি। যেমন দৌড়,

লাফ, কাবাডি, ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি। এসব খেলা থেকে যেগুলো আমি খেলি সেগুলো নিচের ছকে লিখি। এই খেলাগুলো আমার জীবনে কী কী প্রভাব ফেলে তা খজেুঁ বের করি।


মন ও শরীরের চাপ কমানো ও আরাম অনুভব করার জন্য কিছু ব্যায়াম:

অনুরণিত শ্বাস-প্রশ্বাস (Equal Breathing)

  • আরাম করে বসি
  • নাক দিয়ে শ্বাস নিই ও ছাড়ি ১, ২ এভাবে ৫, ৬ পর্যন্ত গুনতে গুনতে শ্বাস নিই
  • আবার ১, ২ এভাবে ৫, ৬ পর্যন্ত গুনতে গুনতে শ্বাস ছাড়ি 

৩ - ৫ বার বা সময় হলে বেশি সময় ধরেও এই শ্বাসের অনুশীলনটি করি। এই ব্যায়ামটিতে শ্বাস নিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রেখে শ্বাস ছেড়েও করা যায়। এতে পর্যা প্ত অক্সিজেন পেয়ে মস্তিষ্ক সতেজ হয়, ফলে আমরা আরামবোধ করি।

আরো পড়ুন:

অ্যাবডোমিনাল ব্রিদিং ( Abdiminal Breathing)

  • নাক দিয়ে গভীর ভাবে শ্বাস নিই, পেট ভরে বাতাস নিই। খেয়াল করি, শ্বাস নেওয়ার সময় পেট
  • যেন বাইরের দিকে ফুলে ওঠে।
  • সাধ্যমতো কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখি।
  • তারপর ধীরে ধীরে পেট খালি করে ছেড়ে দিই। শ্বাস ছাড়ার সময়ে খেয়াল করি, যেন পেট
  • ভিতরের দিকে ঢুকে যায়, পুরো পেট খালি হয়ে যায়।
  • পুরো পদ্ধতিটি সাত-আটবার করে পুনরাবৃত্তি করি। ভালোভাবে অনুভব করার জন্য পেটে হাত
  • দিয়ে করা যেতে পারে অথবা শুয়ে করলে পেটের ওপরে হালকা বই রেখেও ব্যয়ামটি করা যেতে
  • পারে। খেয়াল করতে হবে, শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার সাথে সাথে যেন হাত/বই ওঠানামা করে।


ভ্রমরী শ্বাস-প্রশ্বাস ( Humming Bee Breathing)

  • আরাম করে দাড়াই বা বসি বা শুয়ে পড়ি
  • চোখ বন্ধ করি এবং মুখ শিথিল (relax) করি।
  • লম্বা করে শ্বাস নিই।
  • আঙুল দিয়ে নিজের কান চেপে ধরে মুখ বন্ধ রেখে জোরে গুনগুন শব্দ করে শ্বাস ছাড়ি
  • যতক্ষণ আরামবোধ হয় ততক্ষণ ব্যায়ামটি করি।


নাসারন্ধ্র পরিবর্তন করে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (Alternate Nosal Breathing Exercise)

  • মেরুদন্ড সোজা করে আসন করে বসি
  • বাম হাত নিজের হাঁটুতে রাখি।
  • পুরোপুরি শ্বাস ছাড়ি। এবার ডান হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে নাকের ডান দিক বন্ধ করি এবং
  • নাকের বাম দিক দিয়ে শ্বাস নিই। এবার নাকের বাম দিক বন্ধ করি এবং নাকের ডান দিক দিয়ে
  • শ্বাস ছাড়ি।
  • পরের বার ঠিক আগের উল্টো; নাকের বাম দিক বন্ধ করি এবং নাকের ডান দিক দিয়ে শ্বাস
  • নিই। এবার নাকের ডান দিক বন্ধ করি এবং বাম দিক দিয়ে শ্বাস ছাড়ি। এই শ্বাস-প্রশ্বাসটি ৩-৫ মিনিটের জন্য চালিয়ে যাই।


পেশি শিথিলকরণ (PMR/ Progressive muscle Relaxation )

  • আরাম করে বসি বা শুয়ে পড়ি।
  • ৫ বার গভীর শ্বাস নিই এবং ছাড়ি।
  • পায়ের আঙুল শক্ত করে যতটা সম্ভব সঙ্কুচিত করি। কিছুক্ষণ ধরে রাখি এবং তারপর ছেড়ে
  • দিয়ে আরাম করি
  • দুই হাটু একসাথে শক্ত করে চেপে ধরি। কিছুক্ষণ ধরে রাখি এবং তারপর ছেড়ে দিয়ে আরাম
  • করি।
  • বসার জায়গায় উরুর পেশি চেপে ধরি। কিছুক্ষণ ধরে রাখি এবং তারপর ছেড়ে দিয়ে আরাম
  • করি।
  • হাত শক্ত করে মুষ্ঠিবদ্ধ করি। কিছুক্ষণ ধরে রাখি এবং তারপর ছেড়ে দিয়ে আরাম করি।
  • বাহু টান করে শক্ত করে যতটা সম্ভব সঙ্কুচিত করি। কিছুক্ষণ ধরে রাখি এবং তারপর ছেড়ে
  • দিয়ে আরাম করি।
  • কোমড় ও থাইয়ের পেশি শক্ত করে সঙ্কুচিত করি। কিছুক্ষণ ধরে রাখি এবং তারপর ছেড়ে দিয়ে
  • আরাম করি।
  • পেটের পেশি শক্ত করে সঙ্কুচিত করি। কিছুক্ষণ ধরে রাখি এবং তারপর ছেড়ে দিয়ে আরাম
  • করি।
  • পিঠের পেশি শক্ত করে সঙ্কুচিত করি। কিছুক্ষণ ধরে রাখি এবং তারপর ছেড়ে দিয়ে আরাম
  • করি।
  • শ্বাস নিই এবং বুক শক্ত করে সঙ্কুচিত করি। কিছুক্ষণ ধরে রেখে শ্বাস ছেড়ে দিয়ে আরাম করি।
  • কাঁধ সঙ্কুচিত করে কানের কাছে আনি। কিছুক্ষণ ধরে রাখি এবং তারপর ছেড়ে দিয়ে আরাম
  • করি।
  • দুই ঠোঁট একসাথে করে শক্ত করে চেপে ধরি। কিছুক্ষণ ধরে রাখি এবং তারপর ছেড়ে দিয়ে
  • আরাম করি।
  • মুখ প্রসস্ত করে হা করি। কিছুক্ষণ ধরে রাখি এবং তারপর ছেড়ে দিয়ে আরাম করি।
  • চোখ বন্ধ করে শক্ত করে চেপে ধরি। কিছুক্ষণ ধরে রাখি এবং তারপর ছেড়ে দিয়ে আরাম করি।
  • ভ্রু উপরে টেনে তুলি। কিছুক্ষণ ধরে রাখি এবং তারপর ছেড়ে দিয়ে আরাম করি।
  • কপাল কুঁচকে পেশি শক্ত করে চেপে ধরি। কিছুক্ষণ ধরে রাখি এবং তারপর ছেড়ে দিয়ে আরাম
  • করি।


খেলাধুলার ইতিবাচক দিক:

  • খেলাধুলায় শরীরের পেশি শক্ত ও সবল হয়।
  • রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • শরীরে শক্তি ও কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে।
  • শরীরে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন হয়।
  • শরীরের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর হয়, মনের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
  • মানসিক চাপ কমে, মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে। বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা
  • বাড়ে।
  • নিয়ম-কানুন মেনে খেলার কারণে শৃংঙ্খলাবোধ জন্মে।
  • পারস্পরিক ভাবের আদান-প্রদান হয়। সবার সাথে মিলেমিশে থাকার দক্ষতা তৈরি হয়।

খেলাধুলায় গড়ি সুস্থ ও সুন্দর জীবন - ৭ম শ্রেণি স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ২য় অধ্যায় সমাধান

প্রাথমিক চিকিৎসা:

যেকোনো প্রাথমিক চিকিৎসার শুরুতেই যে বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হয় তার মধ্যে রয়েছে :

  • ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখা
  • অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ করা
  • ভাঙা হাড়ের যত্ন নেওয়া।


নিচের পিডিএফে প্রতিটি ছক সমাধান করে দেয়া হয়েছে। 

খেলাধুলায গড়ি সুস্থ ও সুন্দর জীবন - ৭ম শ্রেণি স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ২য় অধ্যায় সমাধান, খেলাধুলায় গড়ি সুস্থ ও সুন্দর জীবন - ৭ম শ্রেণি স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ২য় অধ্যায় সমাধান


Post a Comment

4Comments
  1. ৩য় অধ্যায় দয়া করে

    ReplyDelete
  2. I want the solution of 3 rd chapter.

    ReplyDelete
    Replies
    1. দেওয়া হয়েছে। একটু চেক করুন

      Delete
Post a Comment