বাংলাদেশের কৃষি: গবেষণা প্রতিষ্ঠান, শস্যের উন্নত জাত ও আধুনিক তথ্য

কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর। বাংলাদেশের জিডিপিতে সেবা খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি হলেও মোট জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগ কৃষিতে নিয়োজিত। উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধির জন্য কৃষির ভূমিকা অনবদ্য।
দেশের জিডিপিতে কৃষি খাত (ফসল, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ এবং বন) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। কৃষি সামাজিক কর্মকাণ্ডের এক বিশেষ ক্ষেত্র, যা জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা, আয়ের সুযোগ সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য হ্রাসকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ ও খাতসমূহ
বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদকে প্রধানত ৪টি সেক্টরে ভাগ করা যায়:
শাকসবজি
সম্পদ
সম্পদ
সম্পদ
বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র্য
বাংলাদেশের মোট ঋতু ৬টি। প্রতিটি ঋতুর সময়কাল নিচে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হলো:
কৃষি মৌসুম: রবি ও খরিপ শস্য
ফসল উৎপাদনের ভিত্তিতে শস্য বা ফলনকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
- রবিশস্য (শীতকালীন): আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত। উদাহরণ: ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, মুলা, লাউ, শিম ইত্যাদি।
- খরিপ শস্য (গ্রীষ্মকালীন):
- খরিপ-১: চৈত্র থেকে জ্যৈষ্ঠ। উদাহরণ: করলা, পটোল, কাঁকরোল, পুঁইশাক।
- খরিপ-২: আষাঢ় থেকে ভাদ্র। উদাহরণ: আমলকী, জলপাই, তাল।
কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ
নিচে বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের অবস্থান ও প্রতিষ্ঠাকালের তালিকা দেওয়া হলো (হুবহু চিত্র অনুযায়ী):
| প্রতিষ্ঠানের নাম | অবস্থান | প্রতিষ্ঠাকাল |
|---|---|---|
| বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট | জয়দেবপুর, গাজীপুর | ১৯৭৬ |
| বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট | ময়মনসিংহ | ১৯৬১ |
| বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট | জয়দেবপুর, গাজীপুর | ১৯৭০ |
| বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট | মানিকমিয়া এভিনিউ, ঢাকা | ১৯৫১ |
| বাংলাদেশ পাট গবেষণা বোর্ড | মানিকগঞ্জ | |
| বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট | শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার | ১৯৫৭ |
| বাংলাদেশ চা বোর্ড | চট্টগ্রাম | ১৯৭৭ |
| বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট | ঈশ্বরদী, পাবনা | ১৯৮৭ |
| বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট | রাজশাহী | |
| বাংলাদেশ আম গবেষণা কেন্দ্র | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ১৯৮৫ |
| বাংলাদেশ গম গবেষণা কেন্দ্র | নশীপুর, দিনাজপুর | ১৯৮৫ |
| বাংলাদেশ ডাল গবেষণা কেন্দ্র | ঈশ্বরদী, পাবনা | ১৯৮৭ |
| বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্র | শিবগঞ্জ, বগুড়া | ১৯৮৭ |
| বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ড | ফার্মগেট, ঢাকা | ১৯৭২ |
| বাংলাদেশ রবার গবেষণা বোর্ড | চাঁন্দগাঁও, চট্টগ্রাম | ১৯৭২ |
| বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদ | ফার্মগেট, ঢাকা | ১৯৭৫ |
বাংলাদেশের কৃষি-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান ও ইতিহাস
নিচে বাংলাদেশের কৃষি-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস হুবহু তুলে ধরা হলো:
- কৃষি বিভাগ: ১৮৭০ সালে ব্রিটিশ সরকার বাংলায় প্রথম কৃষি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে।
- কৃষি গবেষণা ল্যাবরেটরি: ১৯০৯ সালে ঢাকার উপকণ্ঠ ফার্মগেটে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- কৃষি ইনস্টিটিউট: ১৯৩৮ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা বর্তমান শেরেবাংলা নগরে কৃষি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬১ সালে ময়মনসিংহে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হলে একে তার অধীনে নেওয়া হয়। ২০০১ সালে এটিকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করা হয়।
- ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র: ১৯৫১ সালে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- চা গবেষণা কেন্দ্র: ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- পাট গবেষণা কেন্দ্র: ১৯৫৭ সালে বর্তমান শেরেবাংলা নগরে গড়ে তোলা হয়।
- বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (BADC): ১৯৬১ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
- কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: ১৯৬১ সালে ময়মনসিংহে এদেশের প্রথম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৫টি:
- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়- ময়মনসিংহ
- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়- ঢাকা
- বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়- জয়দেবপুর
- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়- সিলেট
- খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়- খুলনা
- রেশম গবেষণা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট: ১৯৬২ সালে রাজশাহীতে গড়ে তোলা হয়।
- BRRI: ১৯৭০ সালে জয়দেবপুরে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- BINA: ১৯৭২ সালে ঢাকার আনবিক গবেষণা কেন্দ্রে কৃষি পারমাণবিক গবেষণা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার অ্যাগ্রিকালচার (INA) প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিকে 'বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার অ্যাগ্রিকালচার (BINA)' হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এটি স্থানান্তর করা হয়।
- তুলা উন্নয়ন বোর্ড: ১৯৭২ সালে দেশে তুলার চাষ সম্প্রসারণ করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে তুলা উন্নয়ন বোর্ড গঠিত হয়।
- জুট রিসার্চ ইনস্টিটিউট: ১৯৭২ সালে 'জুট অ্যাক্ট'-এর মাধ্যমে প্রাক্তন জুট অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ ল্যাবরেটরিকে 'জুট রিসার্চ ইনস্টিটিউট' নামে পুনর্গঠন করা হয়।
- বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (BARC): ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল। এটি কৃষিতে গবেষণা সমন্বয়ের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। এটি গঠনের দায়িত্ব প্রদান করেন স্বনামখ্যাত কৃষিবিদ ড. কাজী বদরুদ্দোজাকে।
- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক: ১৯৭৩ সালে President's order No 27 of 1973 এর মাধ্যমে কৃষি ব্যাংক নামে একটি বিশেষায়িত সরকারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়।
প্রধান কৃষিজ ফসল ও উৎপাদন
ধান: বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান চাষ করা হয় আবাদি জমির প্রায় ৭০ ভাগ জমিতে। বাংলাদেশে ধানের শ্রেণিভেদ ৩টি। যথা: আউশ, আমন, বোরো।
- আউশ: উঁচু জমিতে চাষ করা হয়। বৈশাখ মাসে বোনা হয় এবং শ্রাবণ মাসে কাটা হয়।
- বোরো: বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় বোরো ধান। এটি অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে রোপণ করা হয় এবং বৈশাখ মাসে কাটা হয়। শীতকালীন ফসল হিসেবে সেচ দিয়ে উৎপাদন করা হয়।
- আমন: বৈশাখ মাসে বোনা হয় এবং আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে রোপণ করা হয়। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে কাটা হয়।
- লবণাক্ততা সহিষ্ণু: বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত ধান বিনা-৮, যা লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে।
- উৎকৃষ্টমানের ধান: বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের বালাম, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, ময়মনসিংহের বিরই এবং নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলের কালিজিরা ও চিনিগুঁড়া।
- উন্নত জাত: সোনার বাংলা-১, ইরাটম, নারিকা-১, সুপার রাইস, হাইব্রিড হীরা, ব্রিশাইল, ময়না, হরিধান, চান্দিনা, মালাইরি ইত্যাদি। সর্বপ্রথম যে উফশী ধান চালু হয়ে এখনো বর্তমান আছে- ইরি-৮।
পাট: 'সোনালি আঁশ' বলা হয় পাটকে। ২০১০ সালে পাটের জিনবিন্যাস আবিষ্কার করেন ড. মাকসুদুল আলম। বাংলাদেশ পাটের ৩টি জেনোমের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।
- পাট উৎপাদনে ভারত বিশ্বের শীর্ষ দেশ এবং বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। তবে রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম।
- শ্রেষ্ঠ পাট বলয়: ময়মনসিংহ-ঢাকা-কুমিল্লা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় ফরিদপুর জেলায়।
- ওজন: একটি কাঁচা পাটের গাঁইটের ওজন সাড়ে তিন মণ (৩.৫ মণ)।
- পচন পদ্ধতি: রিবন রেটিং।
- শ্রেণিবিভাগ: পাটকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়- ১. সাদা, ২. তোষা ও ৩. মেসতা।
- জুট পলিমার: পাট থেকে জুট পলিমার তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কারের পথিকৃৎ বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মোবারক আহমদ খান।
- জুটন: পাট ও তুলার মিশ্রণে তৈরি কাপড় (৭০% পাট + ৩০% তুলা)। আবিষ্কারক: ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুল্লাহ।
- উপযোগী জলবায়ু: উষ্ণ অঞ্চল, অধিক তাপমাত্রা (২০-৩৫° সে.), প্রচুর বৃষ্টিপাত (১৫০-২৫০ সেমি.), পলিযুক্ত দোআঁশ মাটি।
| শস্য/ফসল | উন্নত জাত |
|---|---|
| আলু | ডায়মন্ড, কার্ডিনেল, হীরা, গ্রানোলা, কার্ডিনাল, চমক, আলমেরা, কুফরী, সিন্দুরী, মিউজিকা নৈনিতাল |
| কলা | অগ্নিশ্বর, কানাইবাসি, মোহনবাসি, বীটজবা, অমৃতসাগর, সিংগাপুরী, সবরি |
| পাট | সিভিএল-১, সিভিই-৩, তোষা-১, তোষা-৩, তোষা-৪, রবি-১ |
| ভুট্টা | বর্ণালী, শুভ্র, উত্তরণ (ব্র্যাক উদ্ভাবিত) মোহর, সুপার সুইট কর্ণ |
| গম | বলাকা, দোয়েল, শতাব্দী, অগ্রণী, সোনালিকা, আনন্দ, আকবর, কাঞ্চন, বরকত, জোপাটিকা, ইনিয়া-৬৬, প্রতিভা, সৌরভ, গৌরব, সোনালিকা, আনন্দ, সুফী, বিজয়, প্রদীপ |
| ধান | হীরা, ময়না, হরি, সোনার বাংলা, ইরাটম, ব্রিশাইল, চান্দিনাম মালা, সুপার রাইস, মুক্তা, প্রগতি, আশা, বিপ্লব, দুলাভোগ, আশা, বাউ-১৬, আলোক-৬২১০, নারিকা-১, সোনার বাংলা-১, সুপার রাইস প্রভৃতি |
| তুলা | রুপালী, ডেলফোজ, সি বি-১০ |
| টমেটো | বাহার, মানিক মিন্টো (বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রথম হাইব্রিড টমেটো) রতন, ঝুমকা, শ্রাবনী, সিদুর, অপূর্ব, রোমা, মিন্টু, চৈতি, অপূর্ব, শীলা, লালিমা, শিলা, পাথরকুচি |
| মরিচ | যমুনা, বাংলালংকা |
| পুঁইশাক | চিত্রা, মাধুরী, মনীষা, গ্রিন লিক, রূপসা গ্রিন |
| আম | মহানন্দা, মোহনভোগ, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, গৌড়মতি (বারোমাসি আম) |
| মিষ্টিকুমড়া | হাজী ও দানেশ |
| তামাক | সুমাত্রা, ম্যানিলা, কেয়ামন, মতিহারী, হোয়াইট বার্লি, পোকার ২৫৪, সেসমারিয়া, হ্যারিসন স্পেশাল |
| বেগুন | উত্তরা (বিটি বেগুন-১), কাজলা (বিটি বেগুন-২), নয়নতারা (বিটি বেগুন-৩), সিংনাথ, দোহাজারী, খটখটিয়া, ইসলামপুরী, তারাপুরী, ঈশ্বরদী-১, চ্যাগা, ইত্তরা, শুকতারা, তারাপুরী |
| চীনাবাদাম | ত্রিদানা, মাইজচর বাদাম, ঝিংগা বাদাম, বাসন্তী |
| বাঁধাকপি | গোল্ডেন ক্রস, কে ওয়াই ক্রস, গ্রিন এক্সপ্রেস, অ্যাটনাম-৭০, ড্রাম হেড, অগ্রদূত, টোকিও প্রাইড, গ্রিন এক্সপ্রেস, এটলাস ৭০, কে কে ক্রস |
| ব্রোকলি | জুপিটার, গ্রিন ডিউক, ক্যাপ কুইন, ক্রুসেজর |
| ফুলকপি | আর্লি স্নোবল, হোয়াইট ব্যারন, ট্রপিক্যাল, রাক্ষুসী, বারী, কার্তিকা, রূপা, অঘ্রাণী হোয়াইট, রোবল, বেনারসি |
| সরিষা | সফল, অগ্রণী, কল্যাণীয়া, দৌলত, সোনালী, ধলি (বারি সরিষা-৬), টরি-৭ |
| তেলবীজ | সফল, অগ্রণী কিরনী, ডিএস-১ |
| গর্জন তিল | শোভা |
কৃষি বিষয়ক বৈজ্ঞানিক পরিভাষা
- অ্যাপিকালচার (Apiculture): মৌমাছি চাষ।
- পিসিকালচার (Pisciculture): মৎস্য চাষ।
- হর্টিকালচার (Horticulture): উদ্যান বিদ্যা।
- সেরিকালচার (Sericulture): রেশম চাষ।
- অ্যাভিকালচার (Aviculture): পাখি পালন।
- প্রনকালচার (Prawnculture): গলদা চিংড়ি চাষ।
- শ্রিম্পকালচার (Shrimpculture): বাগদা চিংড়ি চাষ।
- হাইড্রোপনিক্স: মাটি ছাড়া পানিতে চাষাবাদ।
- এরোপনিক্স: শূন্যে বা বাতাসে ভাসমান চাষাবাদ।
এক নজরে কৃষি পরিসংখ্যান (BBS রিপোর্ট ২০২২ অনুযায়ী)
- গম: ঠাকুরগাঁও
- আম: রাজশাহী
- মসুর ও পাট: ফরিদপুর
- তামাক: কুষ্টিয়া
- ধান: ময়মনসিংহ
- ভুট্টা ও লিচু: দিনাজপুর
- আলু: বগুড়া
- চা: মৌলভীবাজার
- তুলা: ঝিনাইদহ
সরকারি খাদ্যশস্য বিতরণ
সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি পরিচালনা করে:
- ওএমএস (OMS): ওপেন মার্কেট সেল।
- কাবিখা: কাজের বিনিময়ে খাদ্য।
- ভিজিএফ (VGF): ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং।
- টিআর (TR): টেস্ট রিলিফ।
If you believe any content on our website infringes your rights, please contact us. We will review and take action promptly.