বাংলাদেশের অর্থনীতি: বাজেট, কর ব্যবস্থা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

বাংলাদেশের অর্থনীতি: বাজেট ও কর ব্যবস্থা , মৌলিক অর্থনৈতিক পরিভাষা ও তত্ত্ব, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও নীতি, জাতীয় আয় ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা

বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি বিকাশমান ও সম্ভাবনাময় খাত। এই আর্টিকেলে উন্নয়ন পরিকল্পনা, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, জাতীয় আয়-ব্যয়, রাজস্ব নীতি এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে।

বাজেট ও এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট | Economy of Bangladesh

বাংলাদেশের অর্থনীতি: বাজেট ও কর ব্যবস্থা , মৌলিক অর্থনৈতিক পরিভাষা ও তত্ত্ব, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও নীতি, জাতীয় আয় ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা

সরকারি অর্থব্যবস্থায় কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে, সরকারের আয়-ব্যয়ের পূর্ণ বিবরণীকে বাজেট বলে। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ১৭৩৩ সালে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী কমনস সভায় 'বাজেট' শব্দটির গোড়াপত্তন করেন। মূলত Budget শব্দটি ফরাসি 'Bougette' থেকে এসেছে, যার অর্থ ব্যাগ বা থলে। বাজেটে সাধারণত দুটি খাত থাকে—একটি আয়ের খাত, অন্যটি ব্যয়ের খাত।

এছাড়াও, বাজেটে নির্দিষ্ট সময়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা থাকে। বাংলাদেশের সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৮৭ অনুযায়ী একে 'বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাজেটের প্রকারভেদ

বাজেটকে প্রধানত রাজস্ব ও মূলধন বা উন্নয়ন বাজেট—এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

  • রাজস্ব বাজেট: যে বাজেটে সরকারের চলতি বছরের জন্য রাজস্ব আয় ও রাজস্ব ব্যয়ের হিসাব অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাকে রাজস্ব বাজেট বলে। এ বাজেটে রাজস্ব আয়ের খাত ও প্রশাসনিক ব্যয়ের খাত থাকে।
  • মূলধন বা উন্নয়ন বাজেট: অন্যদিকে, যে বাজেটে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি তথা উন্নয়নমূলক কাজের হিসাব অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাকে মূলধন বাজেট বা উন্নয়ন বাজেট বলে। মূলত রাজস্ব বাজেটের উদ্বৃত্তই উন্নয়ন বাজেটের আয়ের প্রধান উৎস।

এছাড়া আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্যের ওপর ভিত্তি করে বাজেটকে আরও কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়:

  • সুষম ও অসম বাজেট: বাজেটে প্রত্যাশিত আয়-ব্যয় সমান হলে তাকে সুষম বাজেট বলে। আর যদি আয়-ব্যয় অসমান হয়, তবে তাকে অসম বাজেট বলে।
  • উদ্বৃত্ত ও ঘাটতি বাজেট: প্রত্যাশিত ব্যয়ের চেয়ে আয় বেশি হলে তাকে উদ্বৃত্ত বাজেট বলে। উদাহরণস্বরূপ—কুয়েত, নরওয়ে, ব্রুনেই, ডেনমার্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো উদ্বৃত্ত বাজেট প্রণয়ন করে।

উন্নয়ন ধারণা ও গিগ ইকোনমি

অর্থনীতিতে উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। উন্নয়ন হলো একটি ব্যাপক ও গতিশীল প্রক্রিয়া, যার দ্বারা দীর্ঘ মেয়াদে একটি দেশের অর্থনীতিতে কাঠামোগত ও গুণগত ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হয়। পক্ষান্তরে, প্রবৃদ্ধি একটি সংকীর্ণ ধারণা। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে জাতীয় উৎপাদন এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হারকে প্রবৃদ্ধি বলে।

গিগ ইকোনমি (Gig Economy)

এটি হচ্ছে একধরনের খণ্ডকালীন কাজের ব্যবস্থা। সেখানে স্বল্প সময়ের জন্য কিছু বিশেষজ্ঞ কর্মী বিশেষ শর্তে নিয়োগ পান। এক্ষেত্রে অনেক প্রতিষ্ঠান স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করে না এবং তাদের কাজের নির্দিষ্ট সময় থাকে না। কর্মী নির্দিষ্ট সময়ে চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে দেন।

"উদাহরণস্বরূপ—সকালে হয়তো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি লেকচার দিলেন, দুপুরে কিছুক্ষণ আউটসোর্সিংয়ের কাজ করলেন, সন্ধ্যায় কিছুক্ষণ উবার অ্যাপে যুক্ত হয়ে কয়েক ঘণ্টা কাজ করলেন। এটাই হলো গিগ ইকোনমি।"

এক্ষেত্রে প্রতিটি কাজই সমাজের সবাই সম্মানের চোখে দেখেন। কর্মী খুশি থাকেন কারণ আয় বেশি এবং কাজের স্বাধীনতাও বেশি। ইউরোপের মতো বিভিন্ন দেশে এ গিগ অর্থনীতির প্রচলন অনেক বেশি।

মৌলিক অর্থনৈতিক পরিভাষা ও তত্ত্ব

'Economics' শব্দটি গ্রিক 'Oikonomia' থেকে এসেছে, যার অর্থ গৃহস্থালি পরিচালনা। অর্থনীতির জনক বলা হয় অ্যাডাম স্মিথকে এবং আধুনিক অর্থনীতির জনক পল স্যামুয়েলসন। র‍্যাগনার ফ্রেশ অর্থনীতিকে দুই ভাগে ভাগ করেন—ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক।

  • অ্যাডাম স্মিথ: অর্থনীতি হলো সম্পদের বিজ্ঞান।
  • আলফ্রেড মার্শাল: অর্থনীতি মানবজীবনের সাধারণ কার্যাবলি আলোচনা করে। তিনি অর্থনীতিকে কল্যাণের বিজ্ঞান বলে অভিহিত করেন।
  • এল রবিন্স: অর্থনীতি মানুষের অভাব ও বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সীমিত সম্পদের সম্পর্কবিষয়ক মানব আচরণ নিয়ে আলোচনা করে।

ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতি

ব্যষ্টিক অর্থনীতি (Micro Economics): Micro অর্থ ক্ষুদ্র, যা গ্রিক শব্দ Mikros থেকে এসেছে। ব্যষ্টিক অর্থনীতিকে ক্ষুদ্র বা আংশিক দিক থেকে আলোচনা করা হয়। এটি একটি ফার্ম বা ব্যবসার সম্পূর্ণ পৃথকভাবে আলোচনা করে। যেমন—একটি ফার্মের উৎপাদিত দ্রব্যের পরিমাণ, মুনাফা বা একজন মানুষের ব্যয়।

সামষ্টিক অর্থনীতি (Macro Economics): অর্থনীতির যে শাখায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিয়ে আলোচনা না করে গোটা দেশের অর্থব্যবস্থার সামগ্রিক আলোচনা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ—জিডিপি, জিএনপি, মোট সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান।

কর, শুল্ক ও ভ্যাট ব্যবস্থাপনা

কর হলো সরকারি কর্তৃপক্ষ দ্বারা সরবরাহকৃত দ্রব্য বা সেবার বিনিময়ে প্রদেয় মূল্য। কর দুই প্রকার: ১. প্রত্যক্ষ কর ও ২. পরোক্ষ কর।

  • প্রত্যক্ষ কর: যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর আরোপ করা হয়, সেই উক্ত কর পরিশোধ করে। যেমন—আয়কর, ভূমি রাজস্ব কর, অস্থাবর সম্পত্তি কর।
  • পরোক্ষ কর: একজনের উপর আরোপিত হলেও পরিশোধ করে অন্যজন। যেমন—মূল্য সংযোজন কর (মূসক/VAT)।

আয়কর ও রিটার্ন: আয়কর হচ্ছে ব্যক্তি বা সত্তার আয় বা লভ্যাংশের ওপর প্রদেয় কর। করদাতা তাঁর যাবতীয় উৎস থেকে অর্জিত আয়ের বিবরণী সরকার নির্ধারিত ফর্মে জমা দিলে তাকে আয়কর রিটার্ন বলে। আয়কর প্রদানে ব্যর্থ হলে তাকে খেলাপি ঋণদাতা বলা হয়।

ই-টিআইএন (E-TIN): এটি আয়কর নিবন্ধনের আধুনিক সংস্করণ, যা ১২ ডিজিটের একটি নম্বর। করদাতারা যাতে ঘরে বসে সহজে নিবন্ধন নিতে পারেন, সেজন্য www.incometax.gov.bd সাইটে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শুল্ক ও ভ্যাট: মূসক বা ভ্যাট (Value Added Tax) হলো এক ধরনের পরোক্ষ কর। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্ক (Tariff) গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্য শুল্ক আমদানি-রপ্তানির ওপর এবং আবগারি শুল্ক দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত পণ্যের ওপর ধার্য হয়। সমাজের ক্ষতিকর দ্রব্যের ওপর 'Sin Tax' বা পাপ কর আরোপ করা হয়।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও নীতি

বিশ্বায়নের যুগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বায়নের প্রবক্তা মার্শাল ম্যাকলুহান, যার 'Global Village' ধারণা থেকেই আজকের বিশ্বায়ন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয় নিচে আলোচনা করা হলো:

  • লেটার অব ক্রেডিট (LC): ব্যাংক আমদানিকারকের পক্ষে পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয়। এলসির তিনটি পক্ষ থাকে—আমদানিকারক, আদিষ্ট এবং রপ্তানিকারক।
  • কোটা (Quota): বিদেশি পণ্য প্রবেশে নিরুৎসাহিত করতে পণ্যের পরিমাণ বা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়াকে কোটা বলে।
  • ডাম্পিং ও অ্যান্টি-ডাম্পিং: নিজ দেশ থেকে কম দামে বিদেশে পণ্য বিক্রি করে বাজার দখল করাকে ডাম্পিং বলে। এর বিপরীতে দেশীয় শিল্প রক্ষায় যে শুল্ক আরোপ করা হয়, তা অ্যান্টি-ডাম্পিং।
  • জিএসপি (GSP): উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশকে শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্কে রপ্তানি সুবিধা দেয়, একে জিএসপি বলে। ইইউ (EU) বাংলাদেশের বৃহত্তম জিএসপি বাজার।

জাতীয় আয় ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা

বিশ্বে চার ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু রয়েছে: পুঁজিবাদী, সমাজতান্ত্রিক, মিশ্র এবং ইসলামি। বাংলাদেশের অর্থনীতি মিশ্র প্রকৃতির, যেখানে ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় মালিকানা বিদ্যমান। বাংলাদেশে অর্থবছর ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত গণনা করা হয়।

জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি

জাতীয় আয় সাধারণত তিনটি পদ্ধতিতে পরিমাপ করা হয়:

  1. উৎপাদন পদ্ধতি: এক বছরে উৎপাদিত সব দ্রব্য ও সেবার আর্থিক মূল্য।
  2. আয় পদ্ধতি: উৎপাদনের উপাদানগুলোর বার্ষিক মোট আয়।
  3. ব্যয় পদ্ধতি: সমাজের মোট ব্যয়ের যোগফল।

জাতীয় আয়ের সূত্র ও সংজ্ঞা:

  • মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP): সূত্র: $GDP + (X - M)$। যেখানে X হলো প্রবাসীদের আয় এবং M হলো বিদেশিদের আয়।
  • নিট জাতীয় উৎপাদন (NNP): কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো অর্থনীতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবার আর্থিক মূল্য থেকে মূলধন ব্যবহারজনিত অপচয় ব্যয় বাদ দিলে যা থাকে, তাকে নিট জাতীয় উৎপাদন বলে। সূত্র: $NNP = GNP - Dc$ (এখানে Dc হলো অপচয়জনিত ব্যয়)।

অর্থনীতি সংক্রান্ত তত্ত্ব ও প্রবক্তা

অর্থনীতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব এবং সেগুলোর প্রবক্তাদের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

  • শ্রম বিভাগ তত্ত্ব, লেইস ফেয়ার নীতি: অ্যাডাম স্মিথ
  • খাজনা তত্ত্ব, তুলনামূলক খরচ তত্ত্ব: ডেভিড রিকার্ডো
  • সামাজিক চয়ন তত্ত্ব: অমর্ত্য সেন
  • মজুরের উদ্বৃত্ত মূল্য তত্ত্ব: কার্ল মার্কস
  • স্বাভাবিক মুনাফা, ভোক্তার উদ্বৃত্ত তত্ত্ব: আলফ্রেড মার্শাল
  • ম্যালথাসবাদ: টমাস ম্যালথাস
  • কাম্য জনসংখ্যা তত্ত্ব: ডালটন
  • মজুরি তহবিল তত্ত্ব: জে.এস. মিল
  • মজুরি নির্ধারণ তত্ত্ব: ল্যাসলেকে
  • গ্রেশাম বিধি: স্যার টমাস গ্রেশাম
  • সুদের নগদ পছন্দ তত্ত্ব: লর্ড কিনস
  • অর্থের পরিমাণ তত্ত্ব: আরভিং ফিশার
  • অভাব সাম্যের তত্ত্ব: হ্যান্স সিংগার
  • দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র: র‍্যাগনার নার্কস
  • বিশ্বগ্রাম: মার্শাল ম্যাকলুহান

বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা 'সিইবিআর' (CEBR)-এর মতে, ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। প্রাইস ওয়াটার হাউজ কুপারস (PwC) এবং এইচএসবিসি (HSBC)-এর প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০৩০ বা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ৩০টি অর্থনীতির মধ্যে স্থান করে নেবে।

বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে নতুন 'এশিয়ান টাইগার' হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনের সাফল্যকে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে বর্ণনা করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে চীনের প্রেসিডেন্টও বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

১. 'কর স্বর্গ' বা Tax Haven বলতে কী বোঝায়?
যে দেশগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য করের হার অত্যন্ত কম রাখে এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার নিশ্চয়তা দেয়, তাদের কর স্বর্গ বলা হয়।
২. মুদ্রাস্ফীতি ও স্ট্যাগফ্লেশনের মধ্যে পার্থক্য কী?
মুদ্রাস্ফীতি হলো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও অর্থের মান কমে যাওয়া। আর স্ট্যাগফ্লেশন হলো এমন একটি অবস্থা যখন দেশে একই সাথে উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং অধিক বেকারত্ব বিরাজ করে।
৩. বাংলাদেশের জিডিপি ও জিএনপির মূল পার্থক্য কী?
জিডিপি হলো দেশের ভৌগোলিক সীমানার ভেতরের মোট উৎপাদন। আর জিএনপি হলো দেশের নাগরিকদের দ্বারা দেশ ও বিদেশের মোট আয় (রেমিট্যান্সসহ)।
Content Protection & Copyright

If you believe any content on our website infringes your rights, please contact us. We will review and take action promptly.

Post a Comment