ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন: জীবনী, সাম্রাজ্যবাদ ও মার্কসীয় দর্শন
বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জনক এবং রুশ বিপ্লবের মহান নায়ক ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ, যিনি ইতিহাসে লেনিন নামেই সর্বাধিক পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন কট্টর মার্কসবাদী এবং মার্কসবাদই ছিল তাঁর সমস্ত রাজনৈতিক ও দার্শনিক চিন্তার ভিত্তি। আজকের আলোচনায় আমরা তাঁর জীবন, লেনিনবাদ, সাম্রাজ্যবাদ তত্ত্ব এবং মার্কসবাদের সাথে তাঁর মতবাদের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত জানব।

লেনিনের পরিচয় ও বিপ্লবী জীবন
১৮৭০ সালের ২২শে এপ্রিল রাশিয়ার সিমবার্কস নামক স্থানে ভলগা নদীর তীরে লেনিন জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন একজন প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং মাতা ছিলেন বিদুষী নারী। ছোটবেলা থেকেই লেনিন ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। কাজাখ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়ার সময় থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতি ও বিপ্লবী সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। এই বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁকে এক বছরের নির্বাসন দণ্ড ভোগ করতে হয়।
নির্বাসিত জীবনে তিনি বসে থাকেননি; বরং দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি বিষয়ে গভীর পড়াশোনা করেন। এ সময়েই কার্ল মার্কসের বিখ্যাত গ্রন্থ "দাস ক্যাপিটাল" (Das Kapital) পড়ে তিনি মার্কসীয় দর্শনে উদ্বুদ্ধ হন। ১৮৯১ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রথমে আইন পেশায় যোগ দিলেও পরবর্তীতে তিনি পুরোপুরি রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন।
রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে তাঁকে আবারও আটক হতে হয়। ১৯০০ সালে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি মিউনিখে আশ্রয় নেন এবং সেখান থেকে 'ইসক্রা' (Iskra) নামক একটি প্রচারপত্র প্রকাশ করেন। এর মাধ্যমে তিনি একটি 'পেশাধারী বিপ্লবী' দল গঠনের আহ্বান জানান। ১৯০২ সালে লেনিন সস্ত্রীক লন্ডনে পাড়ি জমান এবং সেখানেই ট্রটস্কির সান্নিধ্যে আসেন। এ সময়েই তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ "What is to be done" প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি পার্টির বুদ্ধিজীবী ও বিপ্লবী এলিটদের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে, সে বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন।
১৯০৫ সালে দেশে ফিরে তিনি শ্রমিক শ্রেণির মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা জাগিয়ে তোলার কাজে এবং মার্কসবাদী চিন্তার বিকাশে মনোনিবেশ করেন। ১৯০৭ সালে নিরাপত্তার খাতিরে তিনি ফিনল্যান্ডে আশ্রয় নেন এবং সেখান থেকেও দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজ চালিয়ে যান। তাঁর এই প্রচেষ্টার ফলেই ১৯১০ সালে বলশেভিক কর্মীরা "Zveyda" নামক সংবাদপত্র প্রকাশ করতে সক্ষম হন। ১৯১২ সালে ৪ এপ্রিল শ্রমিকদের একটি শান্তিপুর্ণ মিছিলে জারের বাহিনী গুলি চালালে প্রায় ২৫০ জন শ্রমিক নিহত হন, যা রাশিয়ার রাজনীতিতে এক অগ্নিশিখার জন্ম দেয়।
অবশেষে ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বৈরাচারী জার শাসনের পতন ঘটে। এর দুই মাস পর লেনিন দেশে ফিরে আসেন এবং বিপ্লবের নেতৃত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই ১৯১৭ সালের ২৬শে অক্টোবর রুশ বিপ্লব সফলতা পায় এবং তিনি 'কাউন্সিল অব পিপলস কমিশনারস'-এর প্রধান নির্বাচিত হন। ১৯২৪ সালের ২১ জানুয়ারি এই মহান বিপ্লবীর জীবনাবসান ঘটে।
লেনিনবাদ কী?
সহজ কথায়, রুশ বিপ্লবের নায়ক লেনিন তাঁর সমগ্র জীবনের পরিশ্রম যে তত্ত্বের পেছনে ব্যয় করেছেন, সেটাই 'লেনিনবাদ' নামে পরিচিত। মার্কস ও এঙ্গেলসের মতবাদগুলোকে কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তব জীবন ও সমাজের পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করার নামই লেনিনবাদ।
লেনিন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে মার্কসবাদকে রাশিয়ার আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রয়োগ করেছিলেন। সমাজতন্ত্রীদের কবল থেকে মার্কসবাদের বিপ্লবধর্মিতা ও বিশ্বজনীনতার বৈশিষ্ট্যগুলো রক্ষা করে তিনি পুঁজিবাদ, সমাজবাদ ও প্রলেতারিয়েত বিপ্লবের প্রেক্ষিতে নতুন পথ দেখান। স্ট্যালিন লেনিনবাদের একটি বিখ্যাত সংজ্ঞা দিয়েছেন:
লেনিনের মূল লক্ষ্য ছিল বিপ্লবের মাধ্যমে প্রলেতারীয় একনায়কত্ব স্থাপন এবং একটি সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠন করা। লেনিনবাদ শুরু হয় রুশীকরণ দিয়ে আর শেষ হয় আন্তর্জাতিকীকরণের মধ্য দিয়ে। যখন পুঁজিবাদ সাম্রাজ্যবাদে পরিণত হয়, ঠিক তখনই লেনিন মার্কসবাদকে বাস্তবসম্মত করে তোলেন। মূলত, সাম্রাজ্যবাদ ও প্রলেতারিয়েত বিপ্লবের যুগে লেনিন মার্কসবাদের যে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেটাই লেনিনবাদ।
লেনিনের সাম্রাজ্যবাদ তত্ত্ব
লেনিনের রাজনৈতিক দর্শনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত বিষয় হলো তাঁর 'সাম্রাজ্যবাদ তত্ত্ব'। সাম্রাজ্যবাদ শব্দটি শুনলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে শোষণ, অত্যাচার ও নির্যাতনের এক চিত্র। লেনিন মনে করতেন, সাম্রাজ্যবাদ হলো পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ স্তর। তিনি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ "Imperialism: The Highest Stage of Capitalism" এবং "State and Revolution"-এ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
লেনিন দেখিয়েছেন যে, যখন পুঁজিবাদ একচেটিয়া কারবার ও মহাজনী পুঁজির ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, তখনই তা সাম্রাজ্যবাদে রূপ নেয়। এটি এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে এক জাতি অন্য জাতির ওপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আধিপত্য বিস্তার করে শোষণ চালায়।
সাম্রাজ্যবাদ বলতে কী বুঝ?
সাম্রাজ্যবাদ শব্দটির কোনো সর্বজনস্বীকৃত সংজ্ঞা নেই। তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা একে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। মূলত একটি দেশের জনগণের ওপর বলপ্রয়োগ এবং হিংসার মাধ্যমে বৈদেশিক শাসন চাপিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাই হলো সাম্রাজ্যবাদ।
- Parker T. Moon বলেন: "Imperialism means domination of non-European native races by totally dissimilar European nations." (ইউরোপীয় জাতি কর্তৃক অ-ইউরোপীয় স্থানীয় জাতিগুলোর ওপর আধিপত্য বিস্তার করা।)
- Charles Beard-এর মতে: "সাম্রাজ্যবাদ হলো সরকারি যন্ত্র এবং কূটনীতির মাধ্যমে অন্যের ভূখণ্ড দখল এবং শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা।"
- C. D. Burns বলেন: "সাম্রাজ্যবাদ হলো বিভিন্ন দেশ ও জাতির ওপর আরোপিত একই ধরনের আইন ও সরকারি ব্যবস্থা।"
পরিশেষে বলা যায়, অন্য ভূখণ্ড দখল করে এবং সর্বদিক থেকে আধিপত্য বিস্তার করাই হলো সাম্রাজ্যবাদ।
মার্কসবাদ ও লেনিনবাদের সাদৃশ্য (মিল)
মার্কসবাদ ও লেনিনবাদের মধ্যে গভীর সাদৃশ্য রয়েছে কারণ উভয়েরই মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজতন্ত্রকে বাস্তবে প্রয়োগ করা এবং শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করা। তাদের প্রধান মিলগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:
লেনিনবাদের মিল
- একই ধরনের উদ্দেশ্য: কার্ল মার্কস ও মহামতি লেনিন রাষ্ট্রক্ষমতা লাভের ক্ষেত্রে যে সংগ্রামের কথা বলেছেন, তা মূলত একই। উভয় সংগ্রামই কেবল নির্দিষ্ট রাষ্ট্রের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং তা বিস্তৃত।
- লক্ষ্যগত দিক: কার্ল মার্কস ও লেনিন উভয়েরই লক্ষ্য ছিল সমাজকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। শোষণ ও বঞ্চনার হাত থেকে জনগণকে মুক্ত করে একটি সাম্যবাদী সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই ছিল তাঁদের স্বপ্ন।
- রাষ্ট্রের ধারণা: কার্ল মার্কস ও লেনিন রাষ্ট্র সম্পর্কে একই ধারণা পোষণ করতেন। তাঁরা উভয়েই মনে করতেন রাষ্ট্র হচ্ছে শোষণের হাতিয়ার।
- বুর্জোয়া ও শোষক শ্রেণির আধিপত্য: তাঁরা উভয়েই বিশ্বাস করতেন যে, রাষ্ট্র ব্যবস্থা মূলত বুর্জোয়া ও শোষক শ্রেণির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করে।
- রাষ্ট্রের বিলুপ্তি: লেনিন ও কার্ল মার্কসের একই ধারণা ছিল যে, সংগ্রামের মাধ্যমে রাষ্ট্রে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এক পর্যায়ে রাষ্ট্রের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে বা রাষ্ট্রের বিলুপ্তি ঘটবে।
- বিষয়বস্তুগত দিক: তাঁদের দুজনেরই আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল সমাজের শোষিত বঞ্চিত মানুষের মুক্তি সংগ্রামের পথ প্রদর্শন করা।
৫। মার্কসবাদ ও লেনিনবাদের পার্থক্য (বৈসাদৃশ্য)
সাদৃশ্য থাকলেও পদ্ধতিগত ও প্রায়োগিক দিক থেকে মার্কসবাদ ও লেনিনবাদের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। পার্থক্যগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
- ১. পদ্ধতিগত দিক: কার্ল মার্কস সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শ্রমিক ও কৃষক শ্রেণিকে সমবেত হবার কথা বলেছেন। অন্যদিকে, মহামতি লেনিন সরাসরি বিপ্লবের মাধ্যমে শ্রমিক শ্রেণিকে সংগঠিত ও সমবেত হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
- ২. চিন্তাচেতনার দিক: মার্কস মনে করতেন যে, শ্রেণি সচেতনতা শ্রমিকদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিকাশ লাভ করবে এবং বিপ্লবের মধ্য দিয়ে প্রলেতারিয়েতদের একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। পক্ষান্তরে, লেনিন এই ধারণাটিকে অবাস্তব মনে করতেন এবং বিশ্বাস করতেন যে বাইরে থেকে রাজনৈতিক জ্ঞান ও নেতৃত্ব শ্রমিকদের মধ্যে প্রবেশ করাতে হবে।
- ৩. বিপ্লবের ধরন ও অবস্থান: কার্ল মার্কস মনে করতেন বিপ্লব সংঘটিত হবে শুধুমাত্র শিল্পোন্নত পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোতে। পক্ষান্তরে, লেনিন প্রমাণ করেছেন যে, যেসব রাষ্ট্রে পুঁজিবাদ পুরোপুরি বিকশিত হয়নি (যেমন রাশিয়া), সেখানেই বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।
- ৪. ঔপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গি: মার্কস এশিয়া ও ইউরোপীয় দেশগুলোর ঘটনাসমূহ বিশ্লেষণ করেছেন সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে। অন্যদিকে, লেনিন জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ ও ঔপনিবেশিক বিপ্লবের স্পষ্ট রূপরেখা দিয়েছেন এবং ঔপনিবেশিক সমস্যাগুলোকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন।
- ৫. সময়ের প্রেক্ষাপট: মার্কসের সমসাময়িককালে যেসব সমস্যা দেখা দেয়নি বা তিনি যেসব বিষয়কে সমস্যা মনে করেননি, লেনিন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেসব সমস্যার যথার্থ সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
- ৬. তত্ত্ব বনাম প্রয়োগ: মার্কসবাদের অন্যতম দিক ছিল তত্ত্বের সমন্বয় বিধান। পক্ষান্তরে, লেনিনবাদ হলো একটি প্রায়োগিক মতবাদ বা কৌশল।
- ৭. দ্বান্দ্বিকতার ধারণা: মার্কস মনে করতেন গুণগত পরিবর্তনের ফলে সমাজের প্রগতি সাধিত হয়। তবে লেনিন মনে করতেন বৈপরীত্যের ঐক্য ও সংগ্রামই হলো দ্বান্দ্বিকতার কেন্দ্রবিন্দু।
লেনিনের দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে যখন মার্কসীয় দর্শনকে বিকৃত করার চেষ্টা চলছিল, তখন লেনিন কঠোর হাতে তা মোকাবিলা করেন। তিনি বলেন, প্রতিক্রিয়াশীল বুর্জোয়াদের মিথ্যার কবলে পড়েই অনেকে মার্কসবাদকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে।
লেনিন মার্কসের দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে তৎকালীন বৈজ্ঞানিক দৃষ্টবাদের সঙ্গে সামঞ্জস্য করার চেষ্টা করেন। তিনি ঘোষণা করেন, "মার্কসীয় দর্শনের বস্তুনিষ্ঠ সত্যকে বর্জন করে তোমরা মার্কসবাদের কোনো গুরুত্বপূর্ণ অংশ কিংবা তার কোনো মৌল নীতিকে বর্জন করতে পারো না।" মার্কসবাদকে এই বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই তিনি ১৯০৯ সালে তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ "Materialism and Empirio-Criticism" রচনা করেন।
লেনিন তাঁর গুরুর (মার্কসের) মতবাদকে আরও সম্প্রসারিত করে ঘোষণা করেন যে, দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ কেবল সমাজবিজ্ঞানের বিষয় নয়, এটি একটি বিশ্বজনীন পদ্ধতি যা সামাজিক ও প্রাকৃতিক সর্বপ্রকার বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তিনি একে "জ্ঞানের একটি উন্নত প্রকরণ, ধর্মশাস্ত্রের একটি শাখা" হিসেবে অভিহিত করেন।
লেনিন স্পষ্টভাবে বলেন, দর্শন, অর্থনীতি বা রাষ্ট্রনীতিতে 'নিরপেক্ষ' বলে কিছু নেই। দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের কাঠামোতে দুটি পক্ষ থাকে—একটি মধ্যবিত্ত বা শোষক শ্রেণির স্বার্থ, অন্যটি প্রলেতারিয়েত বা শোষিত শ্রেণির স্বার্থ। শিল্প ও সাহিত্যের ক্ষেত্রেও এই বুর্জোয়া ও প্রলেতারিয়েতের প্রভেদ বিদ্যমান।
পরিশেষে বলা যায়, লেনিন মার্কসের দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে যুগের প্রয়োজনে আরও শাণিত ও যুগোপযোগী করে তোলেন এবং এর মৌলিকত্ব বজায় রেখে একে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান।
If you believe any content on our website infringes your rights, please contact us. We will review and take action promptly.