বাংলাদেশের বিস্তারিত ইতিহাস: সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়

বাংলাদেশের বিস্তারিত ইতিহাস: সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের গৌরবগাঁথা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ , মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,
Join our Telegram Channel!
Table of Contents

বাংলাদেশের বিস্তারিত ইতিহাস: সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের গৌরবগাঁথা

বাংলাদেশের বিস্তারিত ইতিহাস: সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের গৌরবগাঁথা


একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাস সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের এক মহাকাব্য। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর শুরু হওয়া রাজনৈতিক বঞ্চনা, অর্থনৈতিক শোষণ এবং সাংস্কৃতিক নিপীড়নই বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার পথে ধাবিত করে। চলুন, সেই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা যাক।


১. স্বাধীনতার পটভূমি ও জাতীয়তাবাদের উত্থান (১৯৪৭–১৯৭০)

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে পূর্ব বাংলা 'পূর্ব পাকিস্তান' নাম ধারণ করে। জনগণ আশা করেছিল এবার তাদের প্রত্যাশিত স্বাধীনতা আসবে। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও অর্থনৈতিক শোষণ শুরু করে। পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদে পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়ন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়, যা ক্ষোভের জন্ম দেয়।

১.১ ভাষা আন্দোলন (১৯৫২)

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানায়। ১৯৪৮ সালে উর্দুকে একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করলে প্রতিবাদ শুরু হয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে রফিক, সালাম, বরকত, জববারসহ অনেকে শহীদ হন। এই ঘটনা বাঙালি জাতীয়তাবাদকে নতুন মাত্রা দেয় এবং ১৯৫৬ সালে বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি অন্যতম প্রধান জাতীয় ভাষা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

১.২ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামরিক শাসন

  • ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন: যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করলেও মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে (৩০শে মে) মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়।
  • ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন: জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখল করেন। সামরিক শাসন তুলে নেওয়ার পর ১৯৬২ সালে শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধেও দেশব্যাপী গণ-আন্দোলন শুরু হয়।

১.৩ ছয় দফা ও গণ-অভ্যুত্থান

  • ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন: ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় পূর্ববাংলার অরক্ষিত অবস্থা স্পষ্ট হলে ৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। এটি বাঙালির মুক্তিসনদ হিসেবে পরিচিত।
  • আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা: ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দায়ের করা হয়।
  • ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান: আগরতলা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশব্যাপী প্রচণ্ড আন্দোলন শুরু হয়। ২০শে জানুয়ারী'৬৯ ছাত্র আসাদুজ্জামান এবং ২৪শে জানুয়ারী'৬৯ স্কুল ছাত্র মতিউর রহমান পুলিশের গুলিতে নিহত হন। আন্দোলনের মুখে সরকার মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় এবং ২৩শে ফেব্রুয়ারি '৬৯ শেখ মুজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

১.৪ ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন

২৫শে মার্চ'৬৯ সামরিক শাসন জারির পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান এক ব্যক্তি এক ভোটের নীতিতে সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ৭ই থেকে ১৯ই ডিসেম্বর '৭০ এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদে ৩১০ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসনে জয়লাভ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, যা অনিবার্য সংঘাতের জন্ম দেয়।


২. অসহযোগ আন্দোলন ও অপারেশন সার্চলাইট (মার্চ ১৯৭১)

নির্বাচনের ফলাফল মেনে না নিয়ে সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান সরকার গঠনে অস্বীকৃতি জানালে বঙ্গবন্ধু ১লা মার্চ ১৯৭১ দেশব্যাপী অসহযোগের আহবান জানান। ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের পতাকা প্রদর্শিত হয়।

২.১ ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ

৭ই মার্চ ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সমগ্র বাঙালি জাতিকে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেন। এই ভাষণে তিনি সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হতে আহবান জানিয়ে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন:

‘‘আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। ……… এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’’

২.২ অপারেশন সার্চলাইট ও ২৫ মার্চের গণহত্যা

আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী মাত্র ২২ দিনে দুই ডিভিশন অবাঙালি সৈন্য পূর্ব বাংলায় স্থানান্তর করে। ২৫শে মার্চ ১৯৭১ রাত ১১টায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিত আক্রমণের প্রস্ত্ততি নিয়ে সেনানিবাস ত্যাগ করে। তাদের পূর্বপরিকল্পিত এই গণহত্যার নাম ছিল "অপারেশন সার্চলাইট"। ঢাকার পিলখানা, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (বিশেষ করে জহুরুল হক হল ও জগন্নাথ হল) সহ দেশের সমস্ত বড় শহর ও বাঙালি রেজিমেন্টসমূহ আক্রান্ত হয়। ধারণা করা হয়, সেই রাতেই শুধু ঢাকা ও তার আশেপাশে প্রায় এক লক্ষ নিরীহ নর-নারীর জীবনাবসান ঘটে।

২.৩ স্বাধীনতার ঘোষণা

২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ৩০ মিনিট) ধানমন্ডি বাসভবন থেকে বন্দী হবার পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এম. এ হান্নান এবং পরবর্তীতে ২৭ মার্চ ৮ম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পাঠ করেন।


৩. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর) ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব একটি কাঠামোগত সরকার গঠন করে এবং সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়।

৩.১ মুজিবনগর সরকার গঠন

১০ই এপ্রিল '৭১ নির্বাচিত সাংসদগণ আগরতলায় একত্রিত হয়ে সরকার গঠন করেন। ১৭ই এপ্রিল '৭১ মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথ তলায় এই সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। স্থানটির নামকরণ করা হয় ‘মুজিব নগর’।

পদ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা
রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (পাকিস্তানে বন্দী)
উপ-রাষ্ট্রপতি (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ
অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান

৩.২ মুক্তিবাহিনীর সংগঠন ও সেক্টর বিন্যাস

স্বাধীনতার সনদ বলে গঠিত এই সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সামরিক কাঠামো তৈরি করে।

  • প্রধান সেনাপতি: কর্নেল এম এ জি ওসমানী।
  • সেক্টর বিন্যাস: সরকার সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি যুদ্ধ সেক্টরে বিভক্ত করে এবং সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। একমাত্র ১০ নম্বর সেক্টর ছিল নৌ-সেক্টর, যা প্রধান সেনাপতির নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হতো।
  • ব্রিগেড সংগঠন: সম্মুখ সমরের জন্য তিনটি নিয়মিত পদাতিক ব্রিগেড গঠন করা হয়:
    • জেড ফোর্স: লেঃ কর্নেল জিয়াউর রহমান (জুলাই '৭১)
    • কে ফোর্স: লেঃ কর্নেল খালেদ মোশাররফ (সেপ্টেম্বর '৭১)
    • এস ফোর্স: লেঃ কর্নেল কে এম সফিউল্লাহ (অক্টোবর '৭১)
  • নৌ ও বিমান বাহিনী: নৌ কমান্ডোরা 'অপারেশন জ্যাকপট' নামে সমুদ্র ও নদী বন্দরে বিধ্বংসী আক্রমণ পরিচালনা করে। 'কিলো ফ্লাইট' নামক গুপ্তনামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যাত্রা শুরু হয় সেপ্টেম্বর '৭১ এ।
  • বি এল এফ (মুজিব বাহিনী): ছাত্র সমাজের নেতৃস্থানীয় প্রায় ১০,০০০ ছাত্রকে বিশেষ সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই বাহিনীকে ৪টি রাজনৈতিক অঞ্চলে বিভক্ত করে নেতৃত্ব দেন শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ সহ অনেকে।

৩.৩ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও গণমাধ্যম

মুক্তিযোদ্ধা ও অবরুদ্ধ এলাকার জনগণের মনোবল চাঙ্গা রাখতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ৩০ মার্চ পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর আক্রমণে চট্টগ্রামের কেন্দ্রটি ধ্বংস হলেও পরবর্তীতে কলকাতা থেকে এর সম্প্রচার নিয়মিত শুরু হয়। চরমপত্র ছিল এখানকার সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। এছাড়াও 'জয় বাংলা', 'বাংলাদেশ', 'বঙ্গবাণী' সহ বিভিন্ন সংবাদপত্র বিদেশে বাঙালিদের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়।


৪. দখলদার বাহিনীর সহযোগী ও শরণার্থী পরিস্থিতি

দেশের ভেতরে পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কিছু সংগঠন কাজ করে, যারা মুক্তিকামী মানুষের উপর জঘন্য অত্যাচার চালায়।

  • শান্তি কমিটি: ৪ঠা এপ্রিল '৭১ টিক্কা খানের সাথে সাক্ষাৎ করে নাগরিক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৭ই এপ্রিল এর নাম পরিবর্তন করে 'শান্তি কমিটি' রাখা হয়।
  • রাজাকার বাহিনী: মে '৭১ মওলানা এ কে এম ইউসুফের নেতৃত্বে গঠিত এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০,০০০। তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান সহযোগী হিসাবে বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে কাজ করে।
  • আলবদর ও আলশামস: ধর্মীয় আদর্শের উপর ভিত্তি করে গঠিত এই বাহিনী বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী বিশেষ ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডে এই বাহিনীর ভূমিকা ছিল সবচেয়ে পৈশাচিক।
  • শরণার্থী: পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বর্বর অত্যাচারে প্রায় এক কোটি বাঙালি দেশ ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। ভারত সরকার ও জনগণ তাদের সার্বিক সাহায্যে এগিয়ে আসে।

৫. বিজয়ের পরিকল্পনা, সম্মিলিত আক্রমণ ও ১৬ ডিসেম্বরের আত্মসমর্পণ

নভেম্বর '৭১ এর প্রথম দিকে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সমন্বয়ে সম্মিলিত বাহিনী গঠিত হয়। ৩রা ডিসেম্বর '৭১ পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করলে যুদ্ধের মোড় ঘুরে যায় এবং সম্মিলিত বাহিনী চূড়ান্ত আক্রমণে নামে।

  • আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: ৬ই ডিসেম্বর '৭১ ভারত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
  • বুদ্ধিজীবী হত্যা: ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের দোসররা ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে বহু বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে।
  • চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ: দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র যুদ্ধের পর ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ৯৩ হাজার সৈন্য বিনা শর্তে সম্মিলিত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

এই আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন পূর্বাঞ্চলের সম্মিলিত বাহিনী প্রধান লেঃ জেনারেল জগজিত সিং অরোরা এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় অধিনায়ক লেঃ জেঃ এ কে নিয়াজী। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন মুক্তিবাহিনীর উপ-সেনা প্রধান ও বিমান বাহিনী প্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মদান এবং ২ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। প্রতি বছর এই দিনটি 'বিজয় দিবস' হিসাবে পালিত হয়।

ইতিহাসের এই মহান অধ্যায় সম্পর্কে আপনার যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করুন।

Join Our Telegram Group For All New Updates Class 8 New Curriculums Textbook, TG Guide, Suggestions etc. PDF for Join Helptrickbd Telegram Group - অষ্টম শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই, শিক্ষক সহায়িকা, গাইড বই, সাজেশন ইত্যাদি পিডিএফ পেতে টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করুন
Related Posts

নতুন নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন

Post a Comment

//